"ধ্যানের শক্তি এবং নবজীবন" বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া: এই বইটিকে আমি লিখেছি নিজেই ধনী হওয়ার জন্য! আর্থিক, মানসিক, শারিরীক, সামাজিক, এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সব অর্থে । লিখতে লিখতেই তার ফল পেয়েছি। তা আরেকবার প্রমাণিত হবে বইটি প্রকাশিত হবার পর, ইনশাল্লাহ। এ কারণে ভেবেছিলাম বইটির নাম দেব ‘ধ্যান . করে ধনী হওয়া। কিন্তু ‘ধন’ শব্দটির অর্থ এক-এক জনের কাছে এক-এক রকম হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা ঢালাওভাবে একপেশে ইঙ্গিত পাবে আশংকায় বর্তমান নামটি নির্বাচন করেছি। আমাদের ধনের বড় অভাব। কারণ, প্রধানত, আমরা ‘ধ্যানী’ নই। যা কিছু ধন আমাদের আছে, তার বিপরীতে আছে সমপরিমাণ দারিদ্র্য কারণ.....কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের ধন থাকলেও আমরা নিজেদেরকে ধনী মনে করি না। সুতরাং আমরা যদি ধ্যানের গােপন সুড়ঙ্গ পথটিকে চিনে ফেলতে পারি, তাহলে প্রত্যেকেই অনায়াসে পেয়ে যেতে পারি অমূল্য রত্নরাজির সন্ধান। এই ধ্যানের উপায়টি জানতে পারলে আমরা যেমন আক্ষরিক অর্থে ধনী হতে পারব, তেমনি হতে পারব সুস্থ মন, শক্তিশালী মেধা, তুখােড় আবেগের যােগ্যতা, এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ব্যক্তিগত জীবনে দুশ্চিন্তাহীন এবং সুখী হবার ক্ষেত্রে এই বইতে উপস্থাপিত ধ্যানের কোনাে বিকল্প নেই।
প্রখ্যাত লেখক এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমগ্র ইংরেজি ভাষা থেকে শুরু করে সাহিত্য, ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, ম্যানেজমেন্ট, গণিত, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্বসহ নানাবিধ বিষয়ের উপর লিখিত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করা এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সংখ্যা এখন ৩৬০। বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাশিক্ষায় তার বইগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রগতিশীল আধ্যাত্মিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন এস. এম. জাকির হুসাইন এর জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১শে অক্টোবর, খুলনা জেলার এক ছোট্ট গ্রামে। বাবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিশু বয়সেই জ্ঞানচর্চা আর লেখালেখিতে উদ্বুব্ধ হন তিনি; অনানুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করেন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই। পড়ালেখায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষাবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমূহ ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য পাঠোপযোগী। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করলেও লেখালেখিই তার মূল আকর্ষণ। ভাষার উপর দারুণ দখল থাকায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ব্যাকরণ, শ্রবণ এবং লিখিত দক্ষতার উপর তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। ভাষা শিক্ষার বইয়ের পাশাপাশি ‘বাংলাভাষা পরিক্রমা’, ‘ধ্যানের শক্তি ও নবজীবন’, ‘অন্ধকারের বস্ত্রাহরণ’ (দুই খণ্ড), ‘গোপন মৃত্যু ও নবজীবন’ ( দুই খণ্ড) ইত্যাদি বইও তার বই সমূহের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।