"স্বরণে বঙ্গবন্ধু" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অনন্য নাম। জননন্দিত দেশনায়ক তিনি, আমাদের রাষ্ট্রস্বপ্নের সুমহান রূপকার। তাঁর সমুন্নত শির এবং গৌরবময় মহিমার কোনাে তুলনা নেই, তাঁর মহাজীবন। আমাদের ইতিহাসের সবচাইতে উজ্জ্বল অংশ । প্রাক্তন কূটনীতিবিদ এবং খ্যাতিমান কলামিস্ট ফারুক চৌধুরী তার কর্মসূত্রে এই অসাধারণ। ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে এসেছিলেন, পররাষ্ট্রবিষয়ক নানা কর্মকাণ্ড, উদ্যোগ ও উদ্ভাবনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে সদ্যস্বাধীন স্বদেশের সূচনাপর্বের দিনগুলােতে পালন করেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেই কর্মসম্পাদনকালেই অন্তরঙ্গ আলােকে তার। বঙ্গবন্ধুকে দেখা-শুধু দেখা নয়, উপলব্ধির মর্মমূলে পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সাহস, দেশপ্রেম এবং নেতৃত্বের অনন্যতাকে চিনে নেওয়া। পরবর্তী সময়ে লেখালেখির জগতে এসে সেই জ্যোতির্ময় স্মৃতির কাছে তিনি ফিরে গেছেন বারবার; বিভিন্ন। লেখায় ক্রমাগত উন্মােচন করেছেন তাঁর রাষ্ট্রনায়ক চরিত্রের নানা আলেখ্য, তাঁর আদর্শ, বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির উপর আলােকপাত করেছেন নির্লিপ্ত সত্যনিষ্ঠায়। রাষ্ট্রকর্মের জটিল ঘটনাবর্তের বিবরণ লিপিবদ্ধ করবার ফাঁকে ফাঁকে উন্নতশির সেই মানুষটির হার্দ, মানবিক ও রসসংবেদী পরিচয় দিতেও তিনি ভােলেন নি। স্মরণে বঙ্গবন্ধু লেখকের এইসব লেখারই এক অসাধারণ সংকলন। বঙ্গবন্ধুচর্চা ও অনুশীলনের। ক্ষেত্রে এ-বইটি নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযােজন হয়ে থাকবে।
জন্ম ১৯৩৪ সালের ৪ জানুয়ারি । ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব। ১৯৮৫ সালে সার্কের জন্মলগ্নে প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ব্র্যাকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বাের্ডের সদস্য। তাঁর লেখা বই-এর মধ্যে রয়েছে দেশ দেশান্তর’, ‘প্রিয় ফারজানা', 'নানাক্ষণ নানাকথা’, ‘স্বদেশ স্বকাল স্বজন’, ‘সময়ের আবর্তে’, ‘গতকাল সমকাল ইত্যাদি। তিনি একজন বিশিষ্ট কলাম-লেখক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াদির বিশ্লেষক। জীনাত চৌধুরী তার সহধর্মিণী। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা।