"কী কথা তাহার সাথে" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ প্রদীপ আরাে একবার আকাশের দিকে তাকালাে। সূর্য মধ্যগগনে। বিন্দুমাত্র মেঘ নেই। ঢাকা কলেজ থেকে শংকর। রিক্সায় যেতে চল্লিশ টাকা। পকেটে একমাত্র সহায় পঞ্চাশের একটা নােট। বাসেও উঠতে ইচ্ছে করছে না আজ। চিটচিটে গরমে গিজগিজে ভিড়। সিদ্ধান্ত নিলাে হেঁটেই যাবে। কারণ আজ তার বিশেষ এক দিন। সিটি কলেজ পর্যন্ত পৌছাতেই পেছন থেকে কেউ একজন আচমকা হাত ধরে বসলাে ওর। নারীস্পর্শ। কী ব্যাপার, হিমু হয়েছাে বুঝি! চলাে আমিও আজ তােমার সাথে নারী-হিমু হবাে। কী নেবে তাে? অবাক হলাে না প্রদীপ। কারণ, এমনটা করতেই পারে লুনা। তাহলে কি কথাগুলাে এখানেই বলে ফেলবে লুনাকে? বেশ কিছুদিন ধরেই কথাগুলাে বলবে বলবে বলে ভাবছিলাে রােলা। এভাবে আর কতােদিন! চাকরিটা ছেড়ে দিতে হবে যেকোনাে সময়। পঞ্চাশাের্ধ্ব মমিন সাহেব এসি-টা বাড়িয়ে যােলােতে অ্যাডজাস্ট করলেন। এ ধরনের গরমে একরকম অস্থিরতা আসে তার। হাঁসফাঁস লাগে। এরকম পরিবেশে ঢাকার বাহিরে যেতে হবে। অফিসের তিন সহকর্মীকে সাথে নিয়ে। তা-ও আবার জরুরি কোনাে কাজ নয়। জরুরি কথায়। কী এমন কথা থাকতে পারে তার সাথে ওদের। কী কথা! কী কথা তাহার সাথে!
জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫। বাবা মজিদ সরকার। মা লায়লা মজিদ। স্থায়ী নিবাস কুড়িগ্রাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। চাকরিজীবী বাবার বদলির সুবাদে দশ স্কুল, তিন কলেজ আর আট জেলায় শিক্ষাজীবন। পিএইচডি হিসাববিজ্ঞানে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি বিদ্যায়তনে। পেশায় শিক্ষক। একটি ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত আছেন দীর্ঘদিন। স্বপ্ন দেখেন, দেশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। আপন আঙিনা কুড়িগ্রাম জেলার মধুপুরে তৌহিদুর রহমান সাহিত্য পরিষদ গড়বার। লেখালেখির শুরু একদম ছোটবেলায়। ইতোমধ্যে অর্জন করেছেন বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক ও সম্মাননা। বনলতা সাহিত্য পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, বামসাফে, স্বাধীনতা সংসদ, মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার, মহাকবি কায়কোবাদ স্বর্ণপদক উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও কবিতা, ছোটগল্প, শিশু-কিশোরসাহিত্য সবদিকে তাঁর সমান বিচরণ।