গঙ্গা পৃথিবীর প্রাচীন এবং দীর্ঘতম নদ-নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম। গঙ্গার বিভিন্ন নাম রয়েছে। এর ভাটির প্রবাহ নলিনী, পদ্মা এবং পদ্মাবতী নামে পরিচিত। নলিনী অর্থ পদ্ম। পদ্ম থেকে পদ্মা ও পদ্মাবতী। গঙ্গা পৌরাণিক নদী। ভারতবর্ষে এর তীর্থ মাহাত্ম্য অপরিসীম। প্রাচীন পৃথিবীর যেসব নদ-নদীর তীরে উন্নত মানব বসতি গড়ে উঠেছে, নিশ্চিতভাবে এগুলোর মধ্যে গঙ্গার অবস্থান সামনের কাতারে। যদিও নীল নদের তীরে গড়ে ওঠা মিসরীয় সভ্যতা (Nile vally civilization), ইউফ্রেটিস ও তাইগ্রিস নদী তীরবর্তী ভূমিতে গড়ে ওঠা ব্যাবিলনীয় সভ্যতা কিংবা সিন্ধু নদের তীরে গড়ে ওঠা হরপ্পা- মহেঞ্জোদারোর সিন্ধু সভ্যতা (Indus Vally Civilization) এগুলো গাঙ্গেয় সভ্যতার চেয়ে আরও অনেক বেশি প্রাচীন। গঙ্গা বা পদ্মা অববাহিকা পললযুক্ত উর্বর মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত। এই অববাহিকাটি পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ জনপদগুলোর মধ্যে একটি। সম্ভবত গঙ্গা ও পদ্মা পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য বৃহৎ নদ-নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম, যার শাখা-নদীর সংখ্যা সর্বাধিক। গঙ্গার অনেক উপনদী রয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের মতো এত অধিক নয়। পৃথিবীর বৃহৎ দুটি নদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমাজান এবং ব্রহ্মপুত্র। হাজার হাজার কিলোমিটারব্যাপী চলার পথে এই দুটি নদ সর্বাধিক উপনদ-নদী ধারণ করেছে।
মাহবুব সিদ্দিকী জন্ম গঙ্গা পাড়ের রাজশাহী শহরে । পিতার চাকরি সূত্রে বাল্যকাল ও কিশোর সময় কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় । পেশাগত জীবনে পুলিশ বিভাগে চাকরির সুবাদে দীর্ঘ ৩৬ বছরের অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশকে দেখেছেন খুব নিকট থেকে। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য সর্বপরি এখানকার মানুষদের বৈচিত্র্যপূর্ণ সামাজিক জীবন নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন । বাংলাদেশের নদ-নদী এবং স্থানীয় ইতিহাস বিষয়ক একাধিক মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ— 'আম', 'শহর রাজশাহীর আদিপর্ব', 'বাংলাদেশের বিলুপ্ত দীঘি- পুষ্করিণী-জলাশয়', 'নারদ নদ', 'বড়াল নদের ইতিকথা', 'ফিরিয়ে দাও সেই প্রবাহ', 'গঙ্গা-পদ্মা- পদ্মাবতী', 'আমাদের নদ-নদী', 'ব্রহ্মপুত্র নদ', “কোন আমটি কখন খাবেন', 'রাজশাহীতে পর্যটন সম্ভাবনা', 'বৃহত্তর সিলেটের সংক্ষিপ্ত বিবরণ- সিলেট মহানগরীর বিলুপ্ত জলাশয়' ইত্যাদি । ভালোলাগার বিষয় : বাংলাদেশের প্রকৃতি এবং এদেশের মানুষ ।