"আমাদের আধুনিক কবিতার দুই দশক : বরেন্য কবিদের নির্মাণকলা" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ অত্যুক্তি হবে না যদি বলা হয় সম্প্রতি আমাদের দেশে কবিতাবিষয়ক আলােচনার অধিকাংশই বায়বীয় বাক্যের ধুম্রজাল। পাঠযােগ্য যেগুলাে, তাতেও রয়েছে কেবল কবিতার বিষয়বস্তুনির্ভর আলােচনা। কবিতার বক্তব্য-বিষয় থেকে কখনােই সম্ভব নয় কারাে কাব্যকৃতির মূল্যায়ন, কেননা ফুল নিয়ে যেমন রচিত হতে পারে একটি নিকৃষ্ট কবিতা, তেমনি মল নিয়ে রচিত হতে পারে একটি উৎকৃষ্ট মানের কবিতা। তাই, কোনাে কবির শক্তিমত্তা মূল্যায়নের নির্বিকল্প মানদণ্ড তার কবিতার নির্মাণকলা। এই বইটিতে রয়েছে আমাদের আধুনিকতা চর্চার সূচনালগ্ন থেকে প্রথম দুই দশকে আবির্ভূত ৮ জন বরেণ্য কবির কবিতার নির্মাণকলাবিষয়ক আলােচনা। কবিতার বিশ্লেষণে এমন এক পদ্ধতি প্রয়ােগ করা হয়েছে যা নতুন, লেখকের নিজস্ব, ও আধুনিক। দীর্ঘকাল লালিত একাডেমিক বিশ্বাসের বেড়া ডিঙিয়ে আমাদের কবিতাবিষয়ক আলােচনা এগােয় নি বেশিদূর; অথচ নতুন প্রজন্মের মেধাবী ছাত্রশিক্ষক তাদের নিয়তজাগ্রত জ্ঞান-পিপাসা মেটানাের তাগিদে, আর সচেতন ও অনুসন্ধিৎসূ কবিতাকর্মী তাঁদের নিজনিজ সৃষ্টিকর্মের উৎকর্ষ ও নতুনত্বের প্রয়ােজনে জানতে চান কোনাে কোনাে অগ্রজ কবি তাঁদের কবিতায় কী কী উপাদান যুক্ত করে বরেণ্য হয়ে উঠেছেন। বইটি তাঁদের জন্য যেমন সহায়ক হবে, তেমনি সাধারণ পাঠক—যারা কেবল পাঠতৃষ্ণা মেটানাের জন্যই কবিতা পড়েন-তাঁদেরকেও আধুনিক কবিতার প্রতি আরাে বেশি আগ্রহী করে তুলবে...
Title
আমাদের আধুনিক কবিতার দুই দশক : বরেন্য কবিদের নির্মাণকলা
আবিদ আনােয়ার-এর জন্ম ১৯৫০ সালের ২৪ জুন কিশােরগঞ্জ জেলায় কটিয়াদী থানার চর আলগী গ্রামে। বাবা মােঃ আজিমউদ্দিন ও মা হাসিনা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে অনার্সসহ ১৯৭২ সালে এমএসসি এবং পরে ১৯৮৭ সালে কেবল লেখালেখির সূত্রেই বিশ্বব্যাংকের বৃত্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড মার্কসহ সাংবাদিকতায় এমএ পাশ করেন। সাংবাদিকতা-সংক্রান্ত গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের National Journalism Scholarship Society-1 সম্মানসূচক সদস্যপদ লাভ করেন। কবিতা, ছড়া, গল্প ও গান রচনায় এবং সাহিত্য সমালােচনায় তিনি সমান পারদর্শী । প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চৌদ্দ ।। বিজ্ঞানবিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি পদক, সাহিত্যকর্মের জন্য ১৯৯৬ সালে রাইটার্স-এর স্মারক পদক ও সংবর্ধনা, ১৯৯৭ সালে । বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সংবর্ধনা ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তি পুরস্কার সৈয়দ নজরুল ইসলাম পদক এবং ২০০৬ সালে সুকুমার রায় সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের চাকুলিয়া ক্যাম্প থেকে কমান্ডাে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে কিশােরগঞ্জ এলাকায় যুদ্ধ করেন। ধূলদিয়া রেলসেতু অপারেশনে কৃতিত্বের জন্য । স্বাধীনতার পর কিশােরগঞ্জ মহকুমা মুক্তিযােদ্ধা ক্যাম্পের প্রথমে সহ-অধিনায়ক ও পরে অধিনায়কের দাযিত্ব পান। তিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)-র প্রকাশনা বিভাগে কনসালট্যান্ট এডিটর হিসেবে।