"ক্যাম্প"বইটির পূর্বেরকথা: নয়-দশ বছরের একটা কিশাের খালের পাড় দিয়ে ছুটে যাচ্ছে। ক্ষেতে উবু হয়ে নিড়ানি দিচ্ছিল মাহতাব মিয়া, সে সােজা হয়ে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এই কাচু, ... See more
TK. 200 TK. 172 You Save TK. 28 (14%)
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
"ক্যাম্প"বইটির পূর্বেরকথা: নয়-দশ বছরের একটা কিশাের খালের পাড় দিয়ে ছুটে যাচ্ছে। ক্ষেতে উবু হয়ে নিড়ানি দিচ্ছিল মাহতাব মিয়া, সে সােজা হয়ে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এই কাচু, দৌড়াস কেন? কী হইছে? | ‘মেরে ফেলছে, মাহতাব চাচা। চোখের পানি এবং নাকের পানিতে তার মুখটা মাখামাখি হয়ে আছে, সে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে নাকটা মুছে বলল, ‘ফজল ভাইকে মেরে ফেলেছে। | মাহতাব মিয়ার মুখ দেখে মনে হলাে সে কথাটা ঠিক বুঝতে পারেনি। কয়েকবার চেষ্টা করে বলল, ‘মেরে ফেলেছে? ‘জি চাচা। খালের মুখে দাঁড় করে গুলি করেছে।' মাহতাব মিয়া আবার বলল, ‘মেরেই ফেলল? ছেলেটা উত্তর না দিয়ে আবার দৌড়াতে শুরু করল। এতক্ষণ সে নিঃশব্দে কাঁদছিল, এখন সে ফোঁপাতে শুরু করেছে। নয়-দশ বছরের ছেলেটি ফোঁপাতে ফোঁপাতে খালের পাড় দিয়ে গ্রামের দিকে একটি মৃত্যুসংবাদ নিয়ে ছুটে যেতে লাগল।
একই ঘটনা একেক দর্শক ঘটনাটা কিভাবে দেখেছে, ভেবেছে সেটাই একেক দর্শকের আলোকে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ ছোট্ট একটি ঘটনা বার বার বর্ণনা করা হয়েছে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Hasin Arman,
13 Apr 2016
Verified Purchase
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ............
Read More
Was this review helpful to you?
By prottoy pijush,
30 Dec 2016
Verified Purchase
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম: ক্যাম্প লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণ: মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনৈতিক গল্প প্রকাশনা: অনন্যা মুল্য: একশত ত্রিশ টাকা
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহঙ্কার। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে নানা শোকগাথা। রয়েছে অজস্র বেঈমানের বেঈমানি করার শোকাবহ ইতিহাস। যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক, তাদের মনের মধ্যে প্রায়সই একটা চিন্তা উকি দিয়ে যায়, যারা নিজের দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছিল ঠিক কী চিন্তা তাদের মনের মধ্যে চলছিল যুদ্ধকালীন সময়ে? মুহম্মদ জাফর ইকবালের এই ক্যাম্প যেন রাজাকার, পাকিস্তানী মিলিটারীর এ চিন্তাভাবনাকেই তুলে ধরে। একারণেই মুক্তিযুদ্ধের অন্য সকল বই থেকে এটা ব্যতিক্রমধর্মী। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখিত এ উপন্যাস শুরু হয়েছে নয় দশ বছরের একটি ছেলের মৃত্যুর খবর নিয়ে দৌড়ে যাওয়ার মাধ্যমে। সচেতন লেখক এইভাবেই যুদ্ধের অনিশ্চয়তার একটি ছবি একে দেন, যেখানে একটি ছোট বাচ্চার কাছেও মৃত্যু হয়ে উঠে স্বাভাবিক ব্যাপার। এরপর চলতে থাকে গল্পের পালাক্রম। একই ঘটনা কখনো মুক্তিযোদ্ধা, কখনো রাজাকার, কখনো সেপাই, কখনো মেজর, কখনো বা গ্রামের অবুঝ পাগলের দ্বারা উত্তম পুরুষে বর্ণিত হয়। ঘটনা একই হলেও কখনোই এক বাক্য দুইবার আসে নি। ছিল না বর্ণনার ঘনঘটা। অভিজ্ঞ লেখকের স্বার্থকতা এখানেই। তবে লেখকের মুল স্বার্থকতা ছিল, পাঠক খুব ভালোভাবেই একাত্তরের রাজাকার, মিলিটারীর ভয়াবহ চিন্তা পৈশাচিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেও উপন্যাস পড়ার সময় কখনো কখনো মনে হয়, রাজাকার রা কী ঠিক ছিল? এই উপন্যাসের সবচেয়ে হৃদয়ঘন মুহুর্ত ছিল রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধার উপর নির্যাতন, যা পড়লে যে কোনো মানুষের চোখ অশ্রুসজল হতে বাধ্য। যখন মুক্তিযোদ্ধাকে রাস্তায় পিছমোড়া করে বেধে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন এমন কিছু ঘটেছিল যা গোটা উপন্যাসে নিয়ে আসে ভিন্ন মাত্রা। সেই মাত্রাই একাত্তর আর তার পরবর্তী দশকের প্রজন্মের মাঝে তৈরী করে এক যোগসূত্র। কী ছিল সেই ঘটনা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পারে??? আর কী হয়েছিল সেই মুক্তিযোদ্ধার? সে কী ফিরে আসতে পেরেছিল? তাহলে বালক কার মৃত্যুর খবর নিয়ে ছুটে যাচ্ছিল? চিন্তা-প্রতি চিন্তায় এগিয়ে যাওয়া এ উপন্যাস পাঠকের হৃদয় ছুয়ে যাবে অবশ্যই। পাঠপ্রতিক্রিয়া: এটিএন নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাফর ইকবাল বলেছেন: আমি চাইনা একাত্তর-প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠুক কেবল একটি সংখ্যা। আমি চাই প্রজন্ম একে ধারণ করুক। কার্যত লেখকের এ বই কোনো গবেষণামুলক বই নয়। এ বই থেকে নতুন কোনো কিছু জানা না গেলেও দেশের প্রতি কোনো কিছু করার যে দায়িত্ব সে দায়িত্বের নাগপাশে পাঠককে আরেকটু আবদ্ধ করে দেয়, এ বই। লেখক সফলতার সাথে প্রত্যেক চরিত্রের চিত্রায়ন করেছেন। যেমন: একজন রাজাকার চিন্তা করছে দেশের যত স্থাপনার হিন্দু বা বৌদ্ধ নাম আছে সবগুলো কে পাল্টে নিজেদের মত করে নাম রাখার। তার প্রাথমিক ইচ্ছা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে বি বাড়িয়া, বি বাড়িয়া থেকে এম বাড়িয়া, এম বাড়িয়া থেকে মৌলভিবাড়িয়া করে দেওয়া। তার স্বকীয় চিন্তায় উঠে আসে শহিদ মিনারের কথা, তার ভাবনার কিছু অংশ সরাসরি তুলে দেওয়া হল 'শহিদ মিনার নিয়ে কী ঢংটাই না করত পোলাপাইন। এখন সেই শহিদ মিনারের কোনো চিহ্ন নাই।একেবারে গুড়ো করে দেওয়া হয়েছে। এখন দেখি একুশে ফেব্রুয়ারি করো কী রকম? ফুল দিয়ে পুজাটা করো কোন শিবলিঙ্গরে? বেপর্দা মেয়েদের নিয়ে ঢলাঢলি করো টা কোনখানে? আরে আল্লাহ যদি পাকিস্তানের পক্ষে থাকে তাহলে বাংলাদেশটা হবে কেমন করে?' আশ্চর্যের বিষয় হল এই ধরনের চিন্তাভাবনা আজো আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হয়। এই অশরীরি প্রেতাত্মা সমূহ যেন ইতিহাসের অন্ধকারের গহ্বর থেকে উঠে এসে আমাদেরই চারপাশে ফিসফিস করে উঠে আবারও। একজন মৃত্যুপথযাত্রীর শেষ ভাবনা ছিল: 'হেই খোদা, তুমি আমাকে একটু শক্তি দাও। একটুখানি সাহস। আর কিছু চাইনা খোদা তোমার কাছে......আমি থাকব না খোদা, কিন্তু এই দেশটা থাকবে। এই দেশটারে তুমি স্বাধীন করে দিও। হেই খোদা,দোহাই লাগে তোমার,কসম লাগে--- এই যে গাদ্দার বা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রত্যেক্যেই তাদের ঈষ্ট বা আরাধ্য কে ডাকছেন এই বিষয়গুলো উপন্যাসে উঠে এসেছে সাবলীলভাবে। যা পাঠকের হৃদয় আদ্র করতে যথেষ্ট। লেখক নিজে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হওয়া সত্বেও মেজর, সেপাই প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বকে ঠিক রেখেছেন। যা এ নাতিদীর্ঘ উপন্যাসকে করে তুলেছে তাৎপর্যমণ্ডিত। তাই যারা এ বইটি পড়েন নি, বিজয় মাসে এটি পড়ার এখনিতো উপযুক্ত সময়। এ সব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে এর রেটিং ৪/৫।
Read More
Was this review helpful to you?
By Jannatul Ferdouse,
08 Mar 2017
Verified Purchase
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ ক্যাম্প লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনৈতিক উপন্যাস প্রকাশনীঃ অনন্যা মূল্যঃ ১৩০ টাকা (রকমারি মূল্য ৯৮ টাকা) . ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে "স্বাধীন বাংলাদেশ" একটি রাষ্ট্র গড়ে উঠলেও এই ভয়াবহ এবং গৌরবময় যুদ্ধের ইতিহাস ঘাটালে বেরিয়ে আসে যেমন বাংলার অগনিত বীর সন্তান মুক্তিযুদ্ধাদের গৌরবময় কাহিনী, ঠিক তেমনই সামনে আসে কিছু নরপিশাচ, অকৃতজ্ঞদের বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনী। রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী গড়ে তোলা হয় এই দেশকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়ার জন্য। তারই ভিত্তিতে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এবং বিপক্ষের কিছু কল্পিত চরিত্রকে একই মলাটে বন্দি করে, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি বই #ক্যাম্প রচনা করেন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। . বইটি উত্তম পুরুষে রচিত। . বইটির শুরু চরিত্র একটি পাগল। #জালু_পাগলা নামেই সে গ্রামে পরিচিত এবং পাগল হওয়ার সুবাদে সবার কাছে সে মোটামুটি স্নেহের পাত্র। পাগলটা বলতে গেলে একদিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ভক্ত! কিন্তু, তা সত্বেও খেয়াল করলেই বুঝা যায়, জালু পাগলার ভেতর একটি বাংলাদেশপ্রেমি হৃদয় রয়েছে...... . দ্বিতীয় চরিত্রটি হচ্ছে #মোতি_রাজাকার। ভীষন আত্মবিশ্বাসী এক বিশ্বাসঘাতক! যে ধরেই নেয় পূর্বপাকিস্তান কোনদিন স্বাধীন হবেনা। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের কোন মানচিত্র অঙ্কিত হবেইনা!! সে পরম আগ্রহের সাথে পাকিস্তানি মেজর-সৈন্যদের বাংলার ছোট ছোট গ্রাম গুলি চিনিয়ে দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের সাহায্যার্থে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে!!! আহা কি মনোবল!.... এই মনোবল, এই মমতা যদি দেশের জন্য, দেশের মুক্তিসেনাদের দেখাতো তাহলে কি এত নৃশংস ঘটনা এত রক্তপাত, এত ধর্ষনের স্বীকার হতে হত বাংলার মাটিকে? . তৃতীয় চরিত্রটি একজন মেজর, #মেজর_সামশেদ। এই মেজর তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ঘাঁটি গাড়েন গ্রামের স্কুলঘরে। বেশ কৌতূহলী হয়ে থাকতে দেখা যায় এই মেজরকে। তার কৌতূহলের অবশ্য বেশ একটা কারণ আছে! বেশ ভদ্র আর মার্জিত ব্যবহার তার, তবে সব সময় বাইরে চেহারার সাথে ভেতরের চেহারার যে নাও থাকতে পারে তা এই মেজরের কথাবার্তায় বেশ ভাল ভাবেই বুঝা যায়। . এছাড়াও #সেপাই_সরফরাজ নামে এক সেপাইয়ের কথাও থাকে। . কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছে- #ফজল। তার একটা পরিচয়ই তাকে আজীবন মনে রাখার জন্য যথেষ্ট! আর সেটা হল- সে একজন "মুক্তিযুদ্ধা"!!! এই ফজল নামের মুক্তিযুদ্ধা ছেলেটিকে নিয়েই #ক্যাম্প গল্পের কাহিনী আবর্তিত হতে থাকে। বলতে গেলে অদৃশ্য ভাবে শুরু চরিত্র এবং শেষ চরিত্র এই ছেলেটিই।...... তার মুক্তিযুদ্ধা হওয়ার কারণেই ঘটে একটি বিষাদময় ঘটনা এবং সেই বিষাদময় ঘটনার সময় একটি কিশোরী মেয়ের বিষাদগ্রস্ত অপরূপ চোখ দেখা যায়- জাফর ইকবালের #ক্যাম্প নামক সাধারণ ভাষার অসাধারণ গল্পে.....। . #পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বুকে জন্মগ্রহ করেন এই খ্যাতিনামা লেখক। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর মাধ্যমে তিনি কুঁড়িয়েছেন অজস্র সুনাম এর সেই সাথে তার লিখা কিশোর উপন্যাস গুলো পাঠক মহলে হয়েছে যথেষ্ট সমাদৃত! "ক্যাম্প" গল্প মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি অন্যধারার গল্প। পড়লে বেশ অন্যরকম ভাল লাগা আর খারাপ লাগা মিশে থাকে মনে, পড়ে দেখুন- হ্যাপি রিডিং......
Read More
Was this review helpful to you?
By Shamim Khan,
19 Jan 2020
Verified Purchase
Based on the Liberation War of 1971 of Bangladesh, this book tells us about a single incident that takes place during the war. What is intriguing about this book is how the story is narrated. The writer describes the same story from the perspective of the 6 people involved in the incident. Each perspective gives the story a new angle, adding more to the idea of the readers. It's amazing how the same story can appear to be so different only if you look at it from a different point of view. এ বইটা মুজাই এর অন্য সব বই থেকে আলাদা।একটি ঘটনাকে একেক জন একেক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে,বুঝে,ভাবে।এ গল্পটা এমনই
Read More
Was this review helpful to you?
By Nabony ,
09 Dec 2019
Verified Purchase
Camp is an astounding book by M Z I, based on the settings of the Liberation War in 1971. It is not a regular war story. It is a story of fear, of loathing and anticipation, of hope and dread. The author presents to us the horrors of the war that the people of this country had to withstand every second of every day during the war. It tells us about a single event, told from the perspective of many characters, delving deeper into the thoughts. Reading this will give you goosebumps.
Read More
Was this review helpful to you?
By শৌণক,
26 Apr 2015
Verified Purchase
১৯৭১ এর ক্যাম্প, পাকিস্তানীদের বর্বরতা আর কিছু সাধাসিধে বিবরণ