বাংলাদেশের সাহিত্য শুরু ১৯৪৭-এ। পঞ্চাশবছরের লেখকের রচনা ও রচনার অভিমুখ সম্পর্কে এ গ্রন্থটিতে আলোকপাত করার চেষ্টা হয়েছে। কার্যত ত্রিশোত্তর বাংলা সাহিত্যের অনুসৃত ধারায় বাংলাদেশের সাহিত্যের সৃষ্টি। বাঙালি মুসলমানের সাহিত্যচর্চায় সে ধারাটির পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান মসৃণ বলা যায় না। এর কারণ, সংস্কারগত। তবে আর্থ-রাজনীতিক কারণও দুর্লক্ষ্য নয়। বাংলাদেশের সাহিত্যচর্চায় এবম্বিধ প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে অনেকেই ভাষা-সংস্কৃতির চর্চা করেছেন- শঙ্কা-দ্বিধা ও জড়তায় আচ্ছন্ন থেকে। সে কারণে কবিতার সার্বভৌম শক্তি, কথাসাহিত্যের সংস্কারমুক্ত চিন্তা, নাটকের নিরীক্ষা ও পরিচর্যা সাহিত্যিকের কল্পনা ও প্রেরণার প্রতিশ্রুতি অর্জন করতে সক্ষম হয় না। বিভাগোত্তর সময়ে কবিতা-কথাসাহিত্য-নাটক- প্রবন্ধে বাঙালি মুসলমানদের ভাষা-সংস্কৃতিচর্চায় দ্বিধা ও আড়ষ্টতার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় প্রতিবন্ধকতাও অনুল্লেখ্য থাকে না। এ পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী ভাষা আন্দোলনের পর ভাষার অধিকার, ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের চেতনা বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ সৃষ্টি করে। ক্রমাগত আর্থ-রাজনীতিক সচেতনতাও সংস্কৃতির মূল ভিত্তিকে সমাজের গভীরে প্রোথিত করে, চিনিয়ে দেয় আত্মসত্তার বিচিত্র অভিমুখি প্রবণতাকে।
শহীদ ইকবাল। (জন্ম : ১৩ আগস্ট ১৯৭০)।। লেখক ও অধ্যাপক; বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমপরিবর্তমান। শিক্ষার্থীদের নিয়ে করে যাচ্ছেন সাহিত্য-আন্দোলন। চিহ্ন (উজানের টানে...) ছােটকাগজের মাধ্যমে গঠন। করছেন সবুজ শিক্ষার্থীদের মানস, গঠিত হচ্ছেন নিজে; এবং এভাবে একটি যত্নশীল আকাঙ্ক্ষায় উত্তুঙ্গের পথে। এখন একটু পা চালিয়ে হাঁটছেন... গ্রন্থসমূহ : প্রবন্ধ : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস : মানুষ ও কথাশিল্প বাংলাদেশের উপন্যাস : রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য (পিএইচ.ডি. অভিসন্দর্ভের গ্রন্থরূপ) বাংলাদেশের কবিতার ইতিহাস, কালান্তরের উক্তি ও । উপলব্ধি, বাংলাদেশের কবিতার সংকেত ও ধারা, মুখশ্রীর পটে, সাহিত্যের চিত্র-চরিত্র, রবীন্দ্রনাথ ভারতচন্দ্র ও বিহারীলাল, কথাশিল্প : ঈষৎ বীক্ষণ কবিতা : মনন ও মনীষা উপন্যাস : হয়নাকো দেখা, সমস্ত ধূসর প্রিয় (প্রকাশিতব্য)। আত্মদর্শনমূলক রচনা : বিশ শতকের রূপকথার নায়কেরা। সম্পাদিত গ্রন্থ : নয়নে তােমার বিশ্বছবি (শহীদ হবিবুর রহমান স্মারকগ্রন্থ) সম্পাদক : চিহ্ন উজানের টানে