লেখকের কথা সত্যি কথা বলতে কি- শরৎ চন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ যখন শেষবার পড়লাম, তখন খুব বাজে অনুভূতি হলো এবং উপন্যাসটি ভাল লাগে নি। কিন্তু প্রথমবার পড়ার পর এতই ভাল লাগলো যে, আরও একবার পড়লাম। পরে আরও একবার, এভাবে বহুবার। আর শেষবার ছিল পাঠ্য পুস্তকের জন্য ১০০ মার্কের সাবজেক্ট। বুঝুন, ব্যাপারটা! গল্পের বই হিসাবে যে বইটি এত প্রিয়-ক্লাসের বইয়ের সাবজেক্ট হলেই- কেমন যেন নিরস। যাই হোক Photoshop কিন্তু তেমন না। এই সফটওয়্যারটিতে আমি নিয়তই বিস্ময়কর নতুন জিনিস খুঁজে পাই, আর আশ্চর্য হই। আপনি যদি Photoshop এর পুরাতন ইউজার হয়ে থাকেন অথবা যদি মাত্র গতকাল আপনার মেশিনে Photoshop লোড দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্যও কথাটি প্রযোজ্য। Photoshop এবং এই বই দুটোতেই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে দারুন চমক।
একথা অনস্বীকার্য যে, আমাদের দেশের একটি শিশু কথা বলা শেখার পর থেকে কখনও গ্রামাটিক্যালি ভুল বাংলায় কথা বলে না। তেমনি ইউরোপের একটি শিশু কখনও ইংরেজিতে গ্রামাটিক্যালি ভুল ইংরেজি বলে না। কথা বলার জন্য নিশ্চয় তারা কোন গ্রামার বই ব্যবহার করে না। তারা দ্যাখে, শোনে এবং বলতে শেখে। নিত্য দিনেই আমরা কত মনকাড়া ডিজাইন দেখি। এভাবে একটি সুন্দর ডিজাইন আগে দেখে নিন। পরে নিজে করুন- এটাই হচ্ছে মূল বিষয়।
আর বরাবরের মতো এবারেও বলবো, আমি অতিরিক্ত আলোচনার বদলে ব্যবহারিক প্রয়োগে বিশ্বাসী। সেই উদ্দেশ্যেই বইটি প্রোজেক্ট নির্ভর করে লেখা হয়েছে। সমস্ত চ্যাপটারের নির্ধারিত ফাইনাল প্রোজেক্টটি খুলে আগে দেখে নিন এবং পরে Step by step Instruction অনুসারে নিজেই প্রোজেক্টটি তৈরী করুন। মেনু এবং টুলবারের উপর গতানুগতিক আলোচনা বর্জন করেছি। অনেকটা প্রোজেক্ট করতে করতে সমস্ত মেনু এবং টুলবার লিখে ফেলার মত ব্যাপার।
Teach Yourself বা ‘নিজে শিখুন’- এ প্রক্রিয়া রপ্ত করার পূর্ণাঙ্গ কৌশল আলোচনা করেছি বইটিতে, একবার অনুশীলন করে দেখুন। ব্যাপারটি অপ্রত্যাশিত রকম সহজ।
এই বইয়ের পাঠক হিসেবে, আপনিই হচ্ছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমালোচক বা মন্তব্যকারী। আর আপনাদের মন্তব্য আমার কাছে মূল্যবান, কারণ আপনিই বলতে পারবেন আপনার উপযোগী করে বইটি লেখা হলো কিনা অর্থাৎ বইটি কিবাবে পাবলিস হলে আরও ভাল হতো। সামগ্রিক ব্যাপারে আপনাদের যে কোন পরামর্শ আমাকে উৎসাহিত করবে।
বাপ্পি আশরাফ
সূচীপত্র ভূমিকা Photoshop In Hours Special Effect তৈরী করা Layer বেসিক Pen Tool এর ব্যবহার Mask
অভিনেতা হিসেবে সুখ্যাতি কুড়ানো বাপ্পি আশরাফ কর্মজীবনে শুধু অভিনয়ই করে যাননি, সুনাম কুড়িয়েছেন লেখালেখির মাধ্যমেও। টেলিভিশন মিডিয়ার কল্যাণে আমরা প্রায় সবাই-ই চিনি এই অভিনয়শিল্পীকে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নাটক, টিভি সিরিয়াল, টেলিফিল্ম ও সিনেমায় তার সরব উপস্থিতি ও মানসম্পন্ন অভিনয়ের জন্য। বিশেষ করে 'কমন জেন্ডার' ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার' এই দুটি চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। গুণী এই অভিনেতা ও লেখক জন্মগ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়া জেলার মিলপাড়ায়, যার ফলে তার শৈশব কেটেছে গড়াই নদীর সুন্দর চর এলাকায়। তবে বাবার সরকারি চাকরির কারণে বেশি দিন এক জায়গায় থাকা হয়নি তার। বাবার সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আর তিনি শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেছেন ঝিনাইদহের গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল ও কে. সি. কলেজে। স্কুল ও কলেজ পাশ করার পর তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখান থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি আবদুল্লাহ আল মামুন থিয়েটার স্কুলের একাদশ ব্যাচের ছাত্র, যেখানে তিনি নিয়েছেন অভিনয়ের পাঠ। কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন এবং বর্তমানে তিনি 'নোভা কম্পিউটার' এর স্বত্বাধিকারী। এরই ধারাবাহিকতায় বাপ্পি আশরাফ এর বই সমূহ এর প্রায় সবগুলোই কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রচিত। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফটোশপ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি দক্ষতা রাখেন এবং এসকল বিষয়ে অন্যদের সম্যক ধারণা দিতেই তিনি তার বইগুলো রচনা করেছেন। বাপ্পি আশরাফ এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'মাস্টারিং এক্সেল এক্সপি-২০০৩', 'কমপ্লিট এডোবি ফটোশপ', 'ওয়েব পেজ ডিজাইন (HTML) কম্পিউটারে হাতেখড়ি', 'এডোবি প্রিমিয়ার প্রো সিএস ৬', 'মাস্টারিং ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট', 'উইন্ডোজ ৮ এন্ড ৭', 'কোয়ার্ক এক্সপ্রেস-৭' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অভিনয় ও কম্পিউটার নিয়ে লেখালেখি করেই বেশ কেটে যাচ্ছে বাপ্পি আশরাফের কর্মজীবন।