"ক্বেয়ামতের বর্ণনা" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ কেয়ামত অবশ্যই সংগঠিত হবে কেউ মানুক আর না মানুক এই অঙ্গীকার পূর্ণ হবেই। বিদ্যমান বইটিতে কেয়ামত সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে মােটামুটি বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। যেমন প্রথমে মউত ও সাকরাতুল মউত, মৃত্যুর সময় এবং মৃত্যুর পর কবর ও কবরের আযাব, কেয়ামত ও কেয়ামতের আলামতসহ, আলামতে মুতাওয়াসিতাহ (মধ্যবর্তী আলামতসমূহ) আলামতে করীবাহ (নিকটবর্তী আলামতসমূহ) ইমাম মাহদী ও ঈসা (আ.) এর আগমন, দাজ্জালের বহি:প্রকাশ, ইয়াজুজ মাজুজের ধ্বংস, কেয়ামত ও ক্বেয়ামতের ভয়াবহতা, হাশরের ময়দান, হিসাব-নিকাশ ও বিচার, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুপারিশ, হাউজে কাউসার, মীযান বা ইনসাফের দাড়িপাল্লা, পুলসিরাত ও পুলসিরাতের বিভিন্ন ধাপসমূহ। পুলসিরাত সম্পর্কে চল্লিশ হাদীস ইত্যাদি বিষয় নিয়ে খুঁটিনাটিসহ যথাসম্ভব বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে এবং পাঠকদেরকে সহজে বুঝানাের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। মােটকথা কেয়ামত সত্য, তা সংগঠিত হওয়া অবশ্যম্ভাবী, অর্থাৎ তা সংগঠিত হবেই । যখন আল্লাহ্ তা'আলার ইচ্ছা হবে, তখনি শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে, আর তৎক্ষনাৎ কেয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে। তখন আর কেউ কেয়ামত সংগঠিত হওয়া নিয়ে অস্বীকার করা তাে দূরের কথা সন্দেহের অবকাশও থাকবে না। কেয়ামত কখন সংগঠিত হবে তার সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলার ইলমেই রয়েছে। অর্থাৎ, কেয়ামত সংগঠিত হওয়ার সঠিক সময় শুধু আল্লাহ্ তআলাই জানেন, আর কেউ জানে না, জানা সম্ভবও নয়।