গ্রামের নাম সোলেমানপুর। পাহাড় ও নদী ঘেরা সুন্দর মনোরম গ্রামটি। নদীর পূর্ব তীরে নিকেরি পাড়ায় বসবাস করে, আব্দুল্লা নামে এক শ্রমজীবি। এলাকার মানুষ তাকে সৎ ও চরিত্রবান বলে জানে। কিন্তু অভাব-অনটন যেন তার সর্বদাই সঙ্গী। পরের জমিতে কামলা খেটে, নদীতে মাছধরে তার জীবিকা নির্বাহ হয়। বছরে প্রায় অর্ধেকটা সময় কোনো কাজ হয় না বললেই চলে। যার কারণে সে সময়টা তাদের অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করতে হয়। আব্দুল্লার একটা পোষা গাঙ্গালিক ছিল। পাখিটিকে সে কথা বলা শিখিয়েছে। নিজে অনাহারে থেকেও পাখির খাদ্য জোগাড় করতে মোটেই সে অলসতা করে না। আব্দুল্লার ছেলে-মেয়েরা ক্ষুধার জ্বালায় কান্না-কাটি করতে দেখে পাখিটির দুচোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। স্বার্থপরের মত তার খেতে ইচ্ছা করে না। পাখিটি প্রায় সময় আব্দুল্লার কাঁধের পরে থাকে। পাখিটিকে সে আদর করে মানিক বলে ডাকে। একদিন মানিকের মাথায় এক বুদ্ধি এলো। বাড়ির সকলের অজান্তে আকাশে ডানা মেলে ঐ ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বসে তার স্বজাতিদের ডাকলো। ঝাঁকে-ঝাঁকে তার স্বজাতিরা উঠে এসে তাকে ঘিরে বসে পড়লো। মানিক লাফ দিয়ে একটা উঁচু পাথরের উপর উঠে তার সকল স্বজাতির উদেশ্য করে বললো, হে আমার প্রিয় স্বজাতি ভাই বোনেরা! আজ তোমাদের এখানে ডাকা হয়েছে একটা ভাল মানুষের উপকার করার জন্য।