ভূমিকা বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের তথ্য সম্ভারকে হাতের মুঠোয় আনার এবং তথ্য যোগাযোগের অভাবনীয় মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। এর বিশাল পরিমণ্ডলে রয়েছে- বিচিত্র বিষয়ের তথ্যানুসন্ধানের অবাধ সুযোগ, অন-লাইন আলাপচারিতা (লিখন পদ্ধতি, শব্দময় বাক্যালাপ পদ্ধতি, সচিত্র আলাপচারিতা), পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রচলিত ই-কমার্স সুবিধা, সংগীত ও চলচ্চিত্র উপভোগ, সকল বিষয়ের সর্বশেষ বিশ্ব-সংবাদ প্রাপ্তি ইত্যাদি।
এত সকল বিষয়াদির জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি। যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করলে, উল্লিখিত সুবিধার কোনটিই আপনি উপভোগ করতে পারবেন না। যেমন ব্রাউজিং পদ্ধতি অনুসরণে তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের জন্য প্রয়োজন হবে- উপযুক্ত একটি ব্রাউজার, প্রয়োজন হবে তথ্য ভাণ্ডারে প্রবেশের জন্য যথাযথ ঠিকানা। শব্দযুক্ত বাক্য বিনিময়ের জন্য প্রয়োজন হবে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ছাড়ও মাইক্রোফোন স্পিকারের মতো হার্ডওয়্যার সামগ্রী। ই-মেইল, নেট-টু ফোন, চ্যাটিং ইত্যাদির জন্য লাগবে এমনি কিছু সহায়ক উপযুক্ত উপকরণ।
এই বইয়ের মাধ্যমে আমি ই্টারনেট ব্যবহারকারীদের অত্যবশ্যকীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। এটি অবশ্যই ইন্টারনেট ব্যবহারের সকল তথ্যের অব্যর্থ বই নয়। এর বিষয়াবলীকে উপস্থাপন করা হয়েছে সহজাত কিছু প্রশ্নের দ্বারা এবং সমাধান দেওয়া হয়েছে বিবরণমূলক উত্তরের মধ্য দিয়ে। যাঁরা কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, নি তাঁদের জন্যই সহজতর আঙ্গিকে এই বইটি প্রণীত হলো। ব্যবহারিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে বইটি সাজানো হয়েছে বিষয়ানুসারে। আশা করি বেইটি পাঠকদের বহুবিধ চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
ধন্যবাদ কামরুল হায়দার
সূচিপত্র * ইন্টারনেটের সাধারণ পরিচিতি * ব্রাউজার ও ব্রাউজিং * ডাউনলোড ও তার ব্যবহার * ইমেইল * চ্যাট * ইন্টারনেট ফোন ও ফ্যাক্স * সহায়ক পাঠ * পরিশিষ্ট
কামরুল হায়দার ১৯৬০ সালে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় নানা বিষয়ে লেখালেখির মধ্য দিয়ে দিয়ে তার লেখক জীবনের শুরু। ২০০৪ সালে তিনি সেইফওয়ার্কস' নামক কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের সংস্পর্শে এসে এই বিষয়ে সমৃদ্ধ হন। ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি সেইফওয়ার্ক’-এর তত্ত্বাবাধনে বাংলা বর্ণনা ইজি কীবাের্ডের উন্নয়ন করেন, যা বর্তমান ইউনিকোড-ভিত্তিক ‘অভ্র লিখনপদ্ধতিতে যুক্ত আছে। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনেই ‘অনুশীলন’ নামক বাংলা ভাষায় বৈদ্যুতিন মাল্টিমিডিয়া বিশ্বকোষ উন্নয়ন করেন। ১৯৯৮ সালে এই বিশ্বকোষটি বাণিজ্যিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ১৯৯৯-২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি মাসিক কম্পিউটার বিচিত্রা' পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের বই মেলায় তাঁর প্রথম কম্পিউটার বিষয়ক গ্রন্থ। ‘এইচটিএমএল ৪.০' প্রকাশিত হয়। পরবর্তী কয়েক বছর রচনা করেন ক্যাসকেডিং স্টাইল শিট, জাভাস্ক্রিপ্ট, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, কম্পিউটার বিশ্বকোষ, এএসপি ইত্যাদি গ্রন্থাবলি। ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর 'ডাইনােপেডিয়া' নামক কোষগ্রন্থ। ২০০৪ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের 'Centre for Research on Bangla Language Processing (CRBLP)' -কার্যক্রমে ভাষাতাত্ত্বিক এবং গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কামরুল। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল- বাংলা শব্দের শব্দকোষ, রূপতাত্ত্বিক বিশেষণ এবং শব্দ-উর্ধবক্রমবাচকতা। ১৯১০ সালে এই প্রকল্পের কাজ সুসম্পন্ন হওয়ার পর, প্রায় দুই বছর (২০১০-২০১১) এশিয়াটিক সােসাইটির 'Universal Networking Language (IBUNL) প্রকল্পের অধীনে। ভাষা-গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে 'ছায়ানট'-এ সঙ্গীত-গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া তাঁর ইন্টারনেট-ভিত্তিক অনুশীলন’ (www. onushilon.org) নামক বিশ্বকোষ উন্নয়নের কাজ করছেন।