বিজ্ঞান আমাদের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ―এ নিয়ে একসময় নানা রকম তর্ক-বির্তক হতো। কিন্তু সেই তর্ক-বির্তকের দিন এখন আর নেই। কারণ বিজ্ঞান ছাড়া আমরা আজ অচল হয়ে পড়েছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বিজ্ঞান নেই। এমনকি আমাদের সাহিত্যেও বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে লেখা হচ্ছে। সায়েন্স ফিকশন অনেক দিন ধরেই একটি জনপ্রিয় সাহিত্যের ধারা। মূলত বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের নানা রকম কাল্পনিক দিকগুলো নিয়ে এসব গল্প রচিত হয়ে থাকে। আখতারুল ইসলামের লেখা ‘নীল গ্রহ লাল আকাশ’ তেমনই একটি সায়েন্স ফিকশন বই। ৪০ পৃষ্ঠার বইটিতে পাঁচটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলো হলো―মঙ্গলগ্রহে সেতু, নিউটন ফিউটন, অদৃশ্য মানুষ, সাপ্লেকা গাড়ি এবং নীল গ্রহ লাল আকাশ। বইটির শেষ গল্প ‘নীল গ্রহ লাল আকাশ’। “ঐশী হঠাৎ জেগে ওঠে। ঐশীর মনে হলো সে লিফটে বিশ তলা ভবন হতে নিচে নামছে। আবছা আলোতে ছলছল চোখে চারদিকে তাকিয়ে ‘ক্রিন’কে বলল, আমি কোথায় ক্রিন? আমরা এতো নিচে, এত দ্রæতগতিতে নামছি কোথায়? ক্রিন ঐশীর কথায় জবাব না দিয়ে বলল, ওঠো ঐশী। চোখ মেলে দেখো সব বলছি তোমাকে। ঐশী চোখ খুলতে চেষ্টা করেও গভীর ঘুমে থাকা চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছে।” ‘নীল গ্রহ লাল আকাশ’ গল্পের শুরুটা এভাবেই ঘটে। এরপর ঘটতে থাকে অদ্ভুত সব ঘটনা। ঐশী আর ক্রিন মহাকাশ ভ্রমণ শেষে ফেরে আবার পৃথিবী। মহাকাশে তার কী করে? কী দেখতে পায়? এসব জানা যাবে এই গল্পটি পড়লে। এ বইয়ের আরেকটি মজার গল্প ‘নিউটন ফিউটন’। তোমরা সবাই বিজ্ঞানী নিউটনের নাম শুনেছ। কিন্তু ফিউটনের নাম কি কেউ শুনেছ? না শুনলে এ বইয়ে ফিউটনকেও পাবে। কিশোর-তরুণদের একটি প্রিয় বই হবে এটি। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ওপর যাদের খুব আগ্রহ তারা বইটি পড়ে অনেক মজা পাবে। বিজ্ঞানের নানা যন্ত্রপাতি ও মহাকাশের অনেক গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে খুব সাবলীল ও সরল ভাষায় লিখিত সচিত্র এই সায়েন্স ফিকশনটি শুধু ছোটরা না, বড়রাও পড়ে আনন্দ পাবে। তোমাদের বিজ্ঞানমনস্ক বন্ধুদের বইটি উপহার দিলে তারাও অনেক খুশি হবে।