প্রোডাকশন ডেসক্রিপশন: ইসলাম নিয়ে সারা বিশ্ব যখন আলোড়িত তখন আমাদেরও বোঝা দরকার হয়ে ওঠে, কীভাবে আরবের মানুষের জীবন ও বাস্তবতাকে কথাসাহিত্যে তুলে ধরেন সেখানকার এই সময়ের অগ্রগামী সাহিত্যিকেরা। এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক ‘বিপন্ন সিরিয়ার কথাকার জাকারিয়া তামেরের গল্প’ গ্রন্থ। গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলোর মাধ্যমে সিরিয়ার সমাজ ও রাজনীতিকে সেখানকার বিপন্ন ও বিপর্যস্ত মানুষের জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে অনায়াসে বুঝে নেওয়া যায়। আধুনিকতার অন্ধপূজারী হয়ে আমাদের অগ্রগণ্য সাহিত্যকদের অনেকেই মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের মানুষকে কথাসাহিত্যে কীভাবে নিতান্ত বানানো মানুষে পরিণত করেছেন তারও একটি তুলনামূলক উপলব্ধির সুবিধা করে দেয় এই গ্রন্থ। আরবি সাহিত্যের অনুপ্রেরণা-সঞ্চারী মাস্টার জাকারিয়া তামের প্রায় তিরিশ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে আছেন নির্বাসনে। ৮৬ বছর বয়সেও তার কলম সচল। সিরিয়ার এই বিশ্বনন্দিত কথাসাহিত্যিকের অনেকগুলো গল্পের অনুবাদ ছাড়াও গ্রন্থটিতে রয়েছে সাক্ষাৎকার, সিরিয়ার সমাজ, রাজনীতি ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা এবং জাকারিয়া তামেরের জীবন নিয়ে একটি নাতিদীর্ঘ নিবন্ধ। বাংলাভাষার পাঠকের জন্য গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন জাকারিয়া তামের নিজেই। গ্রন্থটিকে বাংলাসাহিত্যের সাম্প্রতিক অনুবাদ গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন বলা যেতে পারে।
অথর ইনফরমেশন: পেশায় সাংবাদিক। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশনে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন তিনি। ছোটগল্প দিয়েই লেখালেখির শুরু। প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘আলো-অন্ধকারে আলো-অন্ধকারের যাত্রা’ প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। ‘দুই দশক ধরে লেখালেখিতে ধীর কিন্তু স্থির। গল্প, গদ্য ও অনুবাদ নিয়ে মাঝেমধ্যেই হাজির হন পত্রপত্রিকা, ছোটকাগজ ও অনলাইনে। বিশ্বসাহিত্যে বিপুল প্রচার পাওয়া কোনো রচনা নয়, বরং অপ্রচারের আড়ালে পড়ে থাকা ভালো লেখা খুঁজে বেড়ান। ফলে তাঁর অনুবাদের কাজগুলো উদ্দেশ্যপূর্ণ আলোকপাত থেকে ভিন্ন আলোর উৎসের দিকে মুখ ফেরানোর আহ্বান।’
Shoroishorjo Muhommod পেশায় সাংবাদিক। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশনে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন তিনি। ছোটগল্প দিয়েই লেখালেখির শুরু। প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘আলো-অন্ধকারে আলো-অন্ধকারের যাত্রা’ প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। ‘দুই দশক ধরে লেখালেখিতে ধীর কিন্তু স্থির। গল্প, গদ্য ও অনুবাদ নিয়ে মাঝেমধ্যেই হাজির হন পত্রপত্রিকা, ছোটকাগজ ও অনলাইনে। বিশ্বসাহিত্যে বিপুল প্রচার পাওয়া কোনো রচনা নয়, বরং অপ্রচারের আড়ালে পড়ে থাকা ভালো লেখা খুঁজে বেড়ান। ফলে তাঁর অনুবাদের কাজগুলো উদ্দেশ্যপূর্ণ আলোকপাত থেকে ভিন্ন আলোর উৎসের দিকে মুখ ফেরানোর আহ্বান।’