‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ বইয়ের কথাঃ একাত্তর-পরবর্তী বিশ্ব গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ের পরিবর্তে বাংলাদেশকে অনেকে তলাবিহীন ঝুড়ি, দুর্ভিক্ষ ও দরিদ্র দেশ হিসেবে চিত্রিত করেছিল। অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতি যে টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সে কথা এখন বহির্বিশ্বও স্বীকার করছে। বিশ্বের নামকরা গণমাধ্যম ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জনকে বিরাট সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে যে গুটিকয়েক দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন— উভয় ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রগণ্য। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অভাবনীয় সফলতা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পরই বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বলে অভিহিত করেছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, কিছু বাধা সত্ত্বেও দ্রুত বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি দশকে ১ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ বইটিতে দেশের কৃষি সেক্টরের সাফল্যের কিছু বয়ান তুলে ধরা হয়েছে।
জন্ম ১৬ নভেম্বর, ১৯৭৯। নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর । বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স। সিনিয়র রিপাের্টার- দৈনিক সমকাল আগে কাজ করেছেন। দৈনিক প্রথম আলাে ও দৈনিক যায়যায়দিনে। আগ্রহের বিষয়- কৃষি, প্রকৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতি। ইউনেস্কো জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ইউএনডিপি অ্যাওয়ার্ড, রিহ্যাব বর্ষসেরা সাংবাদিক ২০১৪, কৃষিবিদ অ্যাওয়ার্ড ২০০৮, ডিকেআইকৃষিপদক ২০০৯, আইভী রহমান স্মৃতিপদক ২০০৯, কৃষি বাংলাপদক ২০১০, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ অ্যাওয়ার্ড, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারসহ পেয়েছেন অনেক সম্মাননা । কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক তার বেশ কিছু প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ইন্ডিয়ার একতরফা কর্মকাণ্ড, নীতি ও শর্তের সমালােচনা নিয়ে লেখকের প্রবন্ধ বিভিন্ন সভা-সেমিনারে উপস্থাপন করা হয়েছে। বদলে যাওয়ার গল্প’ ‘বিশ্বায়ন ও কৃষি অর্থনীতি ‘জলবায়ু রাজনীতি এবং প্রথম দিনের সূর্য' (সম্পাদিত) ‘সবুজ বিপ্লব ও খাদ্য নিরাপত্তা’ নামে তার আরাে পাঁচটি বই রয়েছে । পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি লেখক সার্ক অ্যাগ্রিকালচারাল জার্নালিস্ট ফোরামের সদস্য। ‘আমাদের কৃষি' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল রিপাের্টার্স ফোরামের সভাপতি। নদীবিষয়ক অলাভজনক উদ্যোগ “রিভারাইন পিপল'-এর সিনেটর। পেশাগত কাজে ভ্রমণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পােল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, ব্রাজিল, দুবাই, কাতার, কুয়েত, চায়না, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল, ইন্ডিয়া ও থাইল্যান্ড।