১৯৭১ সাল। একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য কৃষক, শ্রমিক, মুচি, কুলি, কামার-কুমার জেলে তাঁতীসহ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সারাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ কামানের গোলার সামনে হালের পেন্ডি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, একটি মানচিত্র, একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘরে ফেরে। ঘরে ফেরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, কথা বলার স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, অপশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্ন আজ কতোটা পূরণ হয়েছে লক্ষ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা গণমানুষকে কতোটা মুক্তি দিয়েছে তা সহজে অনুমান করা যায় যখন পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, থানায় থানায় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার, প্রভাবশালী, ক্ষমতাবান লিডারদের ক্ষমতার অপব্যবহার, সন্ত্রাস, দুর্নীতির চিত্র দেখে। রাজনৈতিক দূর্বৃত্তদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে নীতিবান রাজনীতিবিদরা হারিয়ে যাচ্ছে এবং রাজনীতির মাঠ চলে যাচ্ছে রাজনৈতিক দূর্বৃত্তদের দখলে। তেমনি একজন রাজনৈতিক দূর্বৃত্তকে নিয়ে লেখা উপন্যাস গডফাদার।
জিল্লুর রহমান ভ্রমণ অন্তপ্রাণ নিভৃতচারী। বানের জলের মতো প্রকৃতি টানে প্রবলভাবে। নগর জীবনে থেকেও ছোটা হয় পাহাড়-পর্বত, হাওর-বাঁওড়-সমুদ্র। দেখা হয় প্রকৃতি কাছ থেকে। কখনও পূর্ণিমার ভরা জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া সমুদ্র চরাচর; আবার অমাবস্যার কালো অন্ধকারে ঢাকা শৈল-পাহাড়। দক্ষিণ বংগের কোল জুড়ে বয়ে যাওয়া নোনা জল আপন রূপে ধরা দেয় নিসর্গ প্রেমীদের শ্যেন দৃষ্টিতে। সমুদ্রের অপার সৌন্দর্য কুহক ছড়ায় ভ্রমণ পিয়াসীদের মনে। আবার পাহাড়ের দৃঢ় অবয়ব কেড়ে নেয় কোমনীয় হৃদয়। নৈসর্গের এক একটি সোপান পেরিয়ে যেন আকাশের ঠিকানায় পৌঁছান। আজতক নিসর্গ প্রেমী এক শিক্ষকের ভ্রমণনামায় যুক্ত হওয়া দ্বিতীয় বই জল ছুঁয়ে হাওয়া। পড়েছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পিএইচডি গবেষণা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশাঃ সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন, ইংরেজি বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব ডেভলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ইউডা। আগ্রহ প্রকৃতি ও ভ্রমণে। কাব্যগ্রন্থঃ এই জলে এই জ্যোৎস্নায় গল্পগ্রন্থঃ নীল খামের গল্পেরা ভ্রমণ সাহিত্যঃ শার্দুলের খোঁজে সুন্দরবনে সম্পাদনাঃ সাহিত্য পতিতা 'প্যাটা