লেখকের কথাঃ আমিনুল ইসলাম (1943) কুমিল্লা শহর সংলগ্ন জামবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 1958 খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা এবং 1960 খ্রিস্টাব্দে আই.এ. পাশ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন এবং 1963 খ্রিস্টাব্দে বি. এ. অনার্স ও 1964 খ্রিস্টাব্দে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। 1973 খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ড্র ুজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. করেন। প্রফেসর ইসলাম 1965 খ্রিস্টাব্দের 1 মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিগত চার দশক ধরে অধ্যাপনাকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান, উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট, গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এবং কলা অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ দর্শন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ দর্শন সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি। বিভিন্ন বিষয়ে গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনার জন্য একজন লেখক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো প্রাচীন ও মধ্যযুগের পাশ্চাত্য দর্শন, আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শন, সমকালীন পাশ্চাত্য দর্শন, মুসলিম ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম দর্শন, বাঙালির দর্শন, নীতিবিজ্ঞান ও মানবজীবন।
আমিনুল ইসলাম ১৯৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার টিকলীচর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা : বেলায়েত আলী মন্ডল, মাতা : সাজেনুর নেসা। বিবাহিত। জীবনসঙ্গিনী : রােকশানা পারভীন লীনা। মেয়ে : ডালিয়া নওশিন লুবনা; ছেলে- রাগিব ইশরাক সজল। চাকরিজীবনে তিনি ভারত, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ইটালি, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিজি, স্পেন, পর্তুগাল। প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। কবি-প্রাবন্ধিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ নব্বই দশকে। লেখার বিষয় : কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া এবং সংগীত বিষয়ে গবেষণাধর্মী নিবন্ধ। বলা চলে তিনি নিভৃতচারী মানুষ। কবিতা রচনায় দশকের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে শব্দ ও ভাষার ব্যবহারে তিনি কবিতার নিজস্ব একটি ধরন নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন বলে তার কবিতার আলােচকগণ প্রায় সকলেই বলেছেন। দুর্বোধ্য নয় অথচ গভীর ব্যঞ্জনাময়-এটি হচ্ছে তার কবিতার সবচেয়ে বড় দিক। মননশীল প্রবন্ধের জন্যও তিনি সমানভাবে স্বীকৃত। তাকে এসময়ের একজন মৌলিক ও শক্তিমান কবি হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি নজরুলসঙ্গীত নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক কাজ করে চলেছেন।