দেশের সমৃদ্ধিতে শ্রমিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শ্রমিকরাই হলেন দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের চালিকাশক্তি। কিন্তু আমাদের দেশে হোটেল শ্রমিক, ব্যাংক কর্মচারী, ক্ষেত মজুর ও দিন মজুর গৃহকর্মীসহ অন্য শ্রমিকদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম ঘণ্টার জন্য মালিকরা তাদের বঞ্চিত করে থাকেন। অথচ হাদিসে আছে, 'ঘাম শুকানোর পূর্বেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিয়ে দাও' এরপরও মালিক পক্ষ কাজ শেষে শ্রমিকদের কাজের মজুরি সঠিকভাবে প্রদান করেন না। গৃহশ্রমিকরা সবসময়ই অবমূল্যায়িত হয়ে থাকেন। নির্যাতন করে, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তারা। দেশের সমৃদ্ধিতে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন আমাদের দেশের হতদরিদ্র কৃষক শ্রেণী। দিনের পর দিন, খেয়ে না খেয়ে, রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়কে উপেক্ষা করে তারা ক্ষেতে ফসল ফলায়। কল-কারখানার চাকা সচল রাখা, বিভিন্ন ভবন নির্মাণ, রাস্তাঘাট-কালভার্টসহ দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব ক্ষেত্রে অবদান রাখেন যারা তাদের শ্রমের বিনিময়ে মালিকরা সুখ-বিলাসিতায় জীবনযাপন করছেন। পৃথিবীর শ্রমিক শ্রেণীর সংহতিকে তুলে ধরার জন্য আদর্শের ভিত্তিতে পালিত হয়ে থাকে মে দিবস। সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের দ্বারা মানুষ শোষিত হবার যে মারাত্মক ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চলে আসছিলো তা অবলুপ্ত করতে এবং বিশ্ব ব্যবস্থায় ধনতন্ত্রকে উৎখাত করে সমাজতন্ত্রের প্রবর্তনের মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থায় সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে এসেছিলো 'মে'। বাংলাদেশে কি তা আজো এসেছে?
মোঃ আলতাফ হোসেন, পেশায় শিক্ষক, সাংবাদিক কলামিস্ট । শিক্ষকতার পাশাপাশি পরিবেশ ও খেলাধুলা নিয়েও কাজ করেন তিনি । শুধু শিক্ষক হিসেবে তাঁকে আখ্যায়িত করলে ভুল হবে। তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও । পরিবেশ ও খেলাধুলা ছাড়াও তিনি সামাজিক সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন । স্কুল জীবনে খেলাধুলায় চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জনের মাধ্যমে তিনি হন একজন শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ । বি.এ. পাশের পর তিনি বি.পি.এড. কোর্স সম্পন্ন করেন শারীরিক শিক্ষা কলেজ ঢাকা থেকে, ১৯৯৩-৯৪ সালে ৷ একই বছরে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন, শিক্ষকতা দিয়ে হাসনাবাদ কামুচানশাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেরাণীগঞ্জে । প্রায় দু'বছর কর্মতৎপরতার মধ্যে দিয়ে একই পদে তিনি ১৯৯৬ সালে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন ঐতিহ্যবাহী জিনজিরা পী.এম.পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে । ২০০৬ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই 'A book of Golden Touch Quotations' বাংলাদেশে প্রথম বাণী-চিন্তনীর বাংলা-ইংরেজী একসঙ্গে লিপিবদ্ধ করেন তিনি । জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে সম্মাননা পদক- ২০১৩ লাভ করেন। ২০১৩ সালে শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতির কেরাণীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি পদে তাকে নির্বাচিত করা হয় । পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা ও কলাম লেখায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক সম্মাননা পদক লাভ বিভিন্ন সংগঠন থেকে ।