"আকাশভরা সূর্যতারা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: স্কুলজীবনেই মতিউর রহমান শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন দেশের পথিকৃৎ তিন শিল্পীকে। শিল্পভুবনের প্রতি সেই তার আগ্রহের সূচনা। তারুণ্যে তাঁর অভিষেক বামপন্থী রাজনীতিতে । ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাঝপথে, উত্তাল ষাটের দশকে, প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি আর সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল ওতপ্রােত। বাংলাদেশের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা তখন এ আন্দোলনের পুরােভূমিতে। মতিউর রহমানও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েন সংগ্রামশীল এই শিল্পসাহিত্যের সঙ্গে। তাঁর নিবিড় অন্তরঙ্গতা গড়ে ওঠে তাঁদের সঙ্গে। মতিউর রহমানের মনের একটি দিক গড়ে উঠেছে প্রগতিশীল রাজনীতির রাজপথে, আরেকটি দিকের উন্মেষ ঘটেছে নান্দনিকতার রহস্যময় চন্দ্রালােকে। বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের পথরেখায় প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, বিচিত্র অনুষ্ঠানমালা, স্বৈরাচারবিরােধী সংগ্রামে সমর্পিত শিল্পী-সাহিত্যিক-গায়কেরা উর্বর করেছেন তাঁর ব্যক্তিমন, তাঁকে প্রাণিত করেছেন সৃষ্টিশীল জনমুখী কর্মোদ্যোগে। তিনি সান্নিধ্য পেয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার সংস্কৃতিজগতের কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্বদের। এ বই একদিকে তুলে ধরেছে তাদের অন্তর্জগৎ, অন্যদিকে মতিউর রহমানের জীবনেরও এক সারাৎসার।
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর । সাপ্তাহিক একতার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৭০-৭৩) এবং পরে সম্পাদক ছিলেন (১৯৭৩-৯১)। সম্পাদক * ছিলেন ভােরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার । প্রথম আলাের সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ধনিকগােষ্ঠীর লুটপাটের কাহিনী (যৌথ, ১৯৮৭), খোলা হাওয়া খােলা মন (১৯৮৮), ইতিহাসের সত্য সন্ধানে বিশিষ্টজনদের মুখােমুখি (২০০৪), শহীদ নূর হােসেন (যৌথ, দ্বি. স. ২০১৩), আকাশভরা সূর্যর্তারা : কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায় (২০১৪), মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ | রাজনীতি, বাংলাদেশ ১৯৯২-২০১২ (২০১৪)। এ ছাড়া উল্লেখযােগ্য সম্পাদিত গ্রন্থ একুশের পটভূমি : একুশের স্মৃতি (২০০৩), আমাদের কালের নায়কেরা ( (২০০৩), কৃতীদের মুখ (২০০৪), আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি (২০০৫) ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যােগাযােগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ।।