ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা কাদের সিদ্দিকী এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম। এক বীর বাঙালির নাম। এক ইতিহাস-পুরুষ তিনি, এক প্রকৃত দেশগৌরব। এই কিংবদন্তি-বিনাশী ভীরুতাবিলাসী দেশে তাঁর মতো একজনের জন্ম, বিকাশ ও অক্ষয় কীর্তি স্থাপন নিঃসন্দেহে এক অপার বিস্ময়। এমন পতনমুখী আত্মঘাতী দেশে একজন বিপরীত স্রোতের যাত্রীর উদ্ভব ও অভ্যুদয় সকল অর্থেই অবাবনীয়, অকল্পনীয়। দুঃসময়-কবলিত একাত্তর যখন একজন লড়াকু বীরের স্বপ্ন দেখছিল তখনই গর্জে উঠেছিল রণাঙ্গনের সাহসী নায়ক কাদের সিদ্দিকীর অস্ত্র-হানাদার শত্রুর প্রতি অমোঘ লক্ষ্যভেদী সেই অস্ত্রই ছিল মুক্তিযুদ্ধের উদাত্ত ঘোষণা। ঠিক তেমনই ‘৭৫-এর ২৫ ই আগস্ট পিতাকে হারিয়ে জাতি যখন দিশেহারা, তখনো তিনি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেননি। সেই দুর্দিনে নিজেকে জাতির পিতার চতুর্থ সন্তান বলে দীপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করে প্রতিরোধ দ্বিধা করেননি।
সূচিপত্র *শোকাবহ আসষ্ট *কুশি কাহিনী *সিলেটে মহান একুশে *সময়ে সবই অপ্রাসঙ্গিক *সশস্ত্র বাহিনী দিবস *আমাদের সংসদ *কে স্বাধীনতার ঘোষক? *নারী মুক্তিযোদ্ধা *মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন মালা *মুক্তিযোদ্ধাদের বিড়ম্বনা ও প্রধানমন্ত্রী *নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনুস *মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ *লাঞ্ছিত জয়নাল আবেদীন *যেন বেলা নাই *তিন মহারথীর যাদুর কাঠি *হোক কুকুর তবুও তো তার প্রাণ আছে *হরতালে মোবাইল কোর্ট *হারিযে যাওয়া সেই সব দিনগুলি *ফেলানীদের ভাগ্যে কি চিরকালেই এমন হবে?-১ *ফেলানীদের ভাগ্যে কি চিরকালই এমন হবে?-২ *ধলাপাড়া রাজাকার বাড়ীতে অন্ত্র উদ্ধার অভিযান-১ *ধলাপাড়া রাকাজার বাড়ীতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান-২ *বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলাম
(জন্ম: ১৯৪৭) ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঘা কাদের নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক, যিনি ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য ব্যতিরেকেই ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঢাকা আক্রমণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তাঁকে বঙ্গবীর নামেও ডাকা হয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বাহিনী কাদেরিয়া বাহিনী তাঁর নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।