প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
সাজ্জাদ শরিফ
সাজ্জাদ শরিফ। জন্ম শিক্ষাশহর ময়মনসিংহে। ঐতিহ্যবাহী দীনি পরিবারে বেড়ে ওঠা সাজ্জাদ শরিফ হাফেজে কোরআন। স্বর্ণপ্রসবিনী ময়মনসিংহে শৈশব কেটেছে তার। কাজী বাড়ির ছেলে সাজ্জাদ শরিফের নানা শিক্ষাবিদ আল্লামা মঞ্জুরুল হক ছিলেন হাকিমুল উম্মতের সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত আল্লাহওয়ালা আলেম। বাবা মাওলানা মীর কাসেম রহ. ছিলেন ময়মনসিংহ দুধমহল জামে মসজিদের দীর্ঘ পাঁচ দশকের ইমাম ও খতিব। তিনি ছিলেন হাফিজুল হাদিস আল্লামা আব্দুল্লাহ দরখাট্টি রহ. ও ইসলামি রাজনীতির পুরোদা ব্যক্তিত্ব মাওলানা আতহার আলী রহ.-এর একান্ত শিষ্য। মরহুম মাওলানা মীর কাসেম ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। আজীবন হাদিসের সেবা করেছেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী খান্দানের সন্তান সাজ্জাদ শরিফ প্রখর মেধাবী। মাত্র এগারো বছর বয়সেই লেখালেখির শুরু । বাসায় নিজস্ব বইয়ের সংগ্রহ ঈর্ষণীয়। বইয়ের ভবনে কাটে তার সময়। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী মাওলানা সাজ্জাদ শরিফের কর্মজীবনও শুরু সালে। দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ম্যাগাজিনে দেশ-বিদেশের নানা প্রসঙ্গে লিখে থাকে। আরও লেখে ঐতিহাসিক বিষয়, প্রবন্ধ, ফিচার ও গল্প। ২০০৫ সালেই গল্পে 'সাপ্তাহিক এখন বিশেষ পুরস্কার অর্জন করে। তার বইয়ের মধ্যে ‘আমি ছিলাম আল-কায়েদার লোক, লক্ষ্মী পাগলী (উপন্যাস), মিথ্যাবাদী, ধূসর, নুরজাহান, আল-আকসার পথে প্রান্তরে, চাচ্চু ! আমাকে শিক্ষকতার মাধ্যমে। পাশাপাশি লেখালেখি। নির্মাণশৈলীতে রয়েছে ভিন্নতা। লেখালেখি জগতে সক্রিয়ভাবে প্রবেশ ২০০৫ আল্লাহ দেখাও (গল্প), নতুন পৃথিবীর সন্ধানে (সমকালীন প্রসঙ্গ) অন্যতম । মাসিক ম্যাগাজিন সম্পাদনার কাজে রয়েছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। মাসিক রহমত, মাসিক সুফফা ও দৈকি ইজতেমাতে কাজ করেছে নিরসভাবে। অভিজাত প্রকাশনী মাহফিল, দিলরুবা ও সুবহে সাদিক-এর সম্পাদনা বিভাগে কাজ করে তিন বছর। ইসলামিক মিডিয়া সেন্টার-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর ছিলো তিন বছর। বর্তমানে নন্দিত ইসলামি প্রকাশনা 'মাকতাবাতুল ইসলাম-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডিটর ও কাতেবিন প্রকাশন-এর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। তার গদ্যশৈলীতে ভিন্নমাত্রা রয়েছে দেবে সাজ্জাদ। নতুন বই উপহার জ্ঞানপিপাসী এই সাজ্জাদ শরিফের পড়ালেখার বিষয়বৈচিত্র্য মুগ্ধকর। বাংলাসাহিত্যে নিত্য লেখালেখিতে আরও সরব ও সক্রিয় হয়ে জাতীয় অঙ্গনে প্রত্যাশা আমাদের সবার বিশেষ অবদান রাখবে এই আশা করতেই পারি প্রতিশ্রুতিশীল এই তুর্কি তরুণের কাছে। আমানাত ও সাদাকত এই দুই গুণে আলোকিত হোক তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। হাফেজ মাওলানা সাজ্জাদ শরিফ দুনিয়ার আলো প্রথম দেখে ১৯৮৬ সালে। সেই ভোরের মিষ্টি আলোয় ফুটে ছিলো হাসনাহেনা,চামেলী-বেলী। আল্লাহ তার জীবন ফুলের করুন। আগামী দিনের প্রতিটি মুহূর্ত হোক আলোদ্ভাসিত। ভালো থাকুক সবসময়, সবখানে।