প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
কবি ও ছড়াকার গোপেশচন্দ্র সূত্রধর ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৩রা আগস্ট সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলাধীন আসলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা-জীবন শেষ করে চুনারুঘাট দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষকতা করাই ছিল তাঁর নেশা। তাই জীবনের প্রথমেই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি চাকরি হওয়ায় তাঁর একজন প্রিয় শিক্ষক (এই স্কুলেরই প্রাচীন শিক্ষক) সহিদ স্যারের অনুপ্রেণায় ও তাঁর চাপে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামে গিয়ে যোগদান করেন। সেখান হতে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক হলে পরে সিলেট-এ বদলী হয়ে আসেন। দীর্ঘদিন চাকরিজীবন শেষ করে সিলেট শাখা থেকেই ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে ২০১০ খ্রিস্টব্দে ২রা আগস্ট অবসর গ্রহণ করেন। আজ তের বছর পার হয়ে গেল তাঁর অবসর-জীবন। তবে অবসরে গেলেও তাঁর জীবনে কোনো অবসর নেই। কারণ, লেখালেখির সুবাদে বই কিনতে কিনতে তাঁর মাতৃদেবী পুষ্পরাণী’র নামে ‘পুষ্প পারিবারিক গ্রন্থগার’Ñনামে একটি গ্রন্থাগার তাঁর বাসায় সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্রন্থাগারেই বই পড়া আর লেখালেখি করেই এখন তাঁর অবসর-জীবন কাটছে। গোপেশচন্দ্র সূত্রধর-এর পারিবারিক পরিমন্ডলই ছিল ধর্মীয় সংস্কৃতির বাতাবরণে মোড়ানো। তাঁর বাড়িতে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকত। যারফলে তিনি ধর্মীয় ভাবগঙ্গার মধ্যদিয়েই গড়ে উঠেছেন। তিনি স্কুল-জীবনেই পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য, দর্শনসহ বিভিন্ন গ্রন্থাদি পাঠে খুবই অনুরক্ত ছিলেন। তিনি স্কুল-জীবনে স্কুলের লাইব্রেরী থেকে বই এনে পড়তেন। তাঁর অনিসন্ধিৎষু জ্ঞান পিপাসাই তাঁর এই পারিবারিক গ্রন্থাগার সৃষ্টি করেছে। তিনি বাল্যকালে ছিলেন অত্যন্ত নিভৃতচারী। তিনি সকলের অলক্ষ্যেই ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি লিখতেন। এসবের পাশাপাশি ধর্ম-দর্শনের লেখালেখিও চলতে থাকে। বাংলাদেশের একমাত্র ধর্মীয় মুখপত্র মাসিক ‘সমাজ দর্পণ’ এ আজ দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে লিখে যাচ্ছেন। এর ফলশ্রুতিতে তাঁর এই ধর্মীয় ভাবধারা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় সভা-সমিতিতে ধর্মীয় আলোচনা ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বিশেষ অবদান রেখে আসছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সৎ, কর্মঠ ও ন্যায়-নিষ্ঠ, ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তাঁর সহধর্মিনী কৃষ্ণা সূত্রধর, বড় মেয়ে কল্যাণী সূত্রধর এবং ছোট মেয়ে ফাল্গুনী সূত্রধর এই নিয়েই তাঁর ছোট্ট সংসার।
(Showing 1 to 1 of 1 items)
demo content