প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
মঈনুদ্দিন কাজল
কথাসাহিত্যিক Moinuddin Kajol চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া বিএ ও এলএলবি ডিগ্রি রয়েছে তার। ১৯৫৪ সালের ১২ নভেম্বর ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার দরবারপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবদুল বাছেদ মজুমদার ও মা সামছুন্নাহার চৌধুরী। কলেজ জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় সম্পৃক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো তাঁর কৈশোর স্মৃতির সবচেয়ে বড় সম্পদ ও অহংকার, তাই শেকড়মুখী সংস্কৃতি ও সাহিত্য তার প্রেরণা। সত্তর দশক থেকেই তার ধারাবাহিক সাহিত্যচর্চায় উঠে এসেছে অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাসের উৎস থেকে মানুষের ভাঙাগড়ার জীবন-জীবিকার সংগ্রাম, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার দ্বন্দ্ব। তিনি বিনয়ী প্রাণবন্ত হাস্যোজ্জ্বল নিরহংকারী ও পরোপকারী একজন মানুষ। শিশুদের তিনি ভালবাসেন। তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। মঈনুদ্দিন কাজলের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো: হৃদয়ের সুর, শ্রমজীবীর পালা, কণ্ঠে জীবনের স্লোগান, চারদিকে রাজাকার, রূপবতী, চন্দ্রালোকিত রাত, ঘরের ভিতর সাপ, একাত্তরের মেয়ে, বুকের মধ্যখানে, কৈরবী, পরীর সাথে বন্ধুত্ব, ইয়াবা সুন্দরী, তোমার মাঝে আলো দেখেছি, বৈশাখী মেয়ে, আবদুল হালিমের সৌদিযাত্রা, মেধাবী মেয়ে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, নির্বাচিত ছোটগল্প, তুমি আমার, মুক্তিযুদ্ধে জুই পলাশ, মুক্তিযুদ্ধে মায়াবতী, মায়াময় স্পর্শ, সাতটি নির্বাচিত উপন্যাস, নীলগিরি নীলাচল, তোমার আমার ভালোবাসা, দশটি নির্বাচিত উপন্যাস ইত্যাদি। নিরলস সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন থেকে যেসব পুরস্কার পেয়েছেন তা হলো- মুক্তধারা একুশে সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৪, নিপা স্বর্ণপদক ২০০১, আবদুল হামিদ ভাসানী স্বর্ণপদক ২০০৪, নন্দন সাহিত্য পুরস্কার ২০০৫, রাইটার্স ফাউন্ডেশন এওয়ার্ড ২০০৫, স্বাধীনতা সংসদ পুরস্কার ২০০৬, ময়মনসিংহ সেবা সম্মানপদক ২০০৬, হিউম্যান রাইটার রিভিউ সোসাইটি এওয়ার্ড ২০০৬, নবকল্লোল পুরস্কার ২০০৬, আয়োজন সাহিত্য সংসদ পুরস্কার ২০০৬, রোদষী কৃষ্টি সংসদ ২০০৭, আলোর ভুবন এওয়ার্ড ২০০৭, শিশু সংগঠন ঐক্যজোট পুরস্কার ২০০৭, বাফেসাফ স্বর্ণপদক ২০০৭, পদক্ষেপ বাংলাদেশ পুরস্কার ২০১০, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪। তার রুচিশীল লেখা, সাহিত্য শিল্পমূল্য সহজেই মননশীল পাঠককে আকৃষ্ট করে। নিষ্ঠা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে তিনি লিখেন কম কিন্তু যা লিখেন তার সাহিত্য মূল্য রয়েছে অপরিসীম। একজন সুসাহিত্যিক হিসাবে কথাসাহিত্যের সমৃদ্ধ ভুবনে সামাজিক, প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প উপন্যাস লেখক হিসাবে পাঠকের কাছে ভবিষ্যতেও তাঁর উপস্থিতি অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা সকলের।