প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
ড. আবুল হাসান চৌধুরী
ড. আবুল হাসান শামসুদ্দিন ১৯৩৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভােলা জেলার জয়নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা স্কুলশিক্ষক মােখলেছুর রহমান, মাতা আম্বিয়া খাতুন। তিনি পিতামাতার দ্বিতীয় সন্তান। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ১৯৭৯ সালে ‘বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য : মধুসূদন ও অনুসারীবৃন্দ বিষয়ক অভিসন্দর্ভের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৯ সালে বিদূষী রমণী সেলিমা সাঈদ ওরফে শিউলির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গীতিকার, গল্পকার, গবেষক, অনুবক, শিক্ষাবিদ, সম্পাদক, উপস্থাপক, সমাজ সংস্কারক, ভাষাসৈনিক শিক্ষা কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ও পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা ছিলেন। ১৯৫৭ সালে পটুয়াখালী কলেজে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে ঐতিহ্যবাহী সরকারি জগন্নাথ কলেজে অধ্যাপক ও বাংলার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন। সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য ও অনুরাগ। মধুসূদন সাহিত্য গবেষণা ছাড়াও তিনি ছােটগল্প, কবিতা, শিশুবিষয়ক গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেন। ‘বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য : মধুসূদন ও অনুসারীবৃন্দ শীর্ষক গবেষণাগ্রন্থ দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়। মুখর প্রান্তর’ ও ‘মানুষের মূল্য' শীর্ষক দুটি ছােটগল্পের সংকলন, “তিমির জাগরী', 'সমুদ্রের দিকে ও ‘নির্বাচিত ২০০০' নামে তিনটি কবিতা সংকলন বিশেষ উল্লেখ্য। বালজাকের ‘ওল্ড ফাদার গােরিও’র। অনুবাদ ‘জনক’, ‘আংকেল টমস কেবিন’ ও ‘ডক্টর জ্যাকেল ও মিস্টার হাইড’ অনুবাদগ্রন্থ হিসেবে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। তাঁর সম্পাদিত দুটি গ্রন্থ হলাে- নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠ গল্প’ ও ‘সুকান্ত রচনা সম্ভার'। দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। বড় কন্যা সাঈদা হাসান দীপা, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারি অধ্যাপক। ছােট কন্যা ডাঃ সানজিদা হাসান নিপা এনজেভার হেলথ নামক স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক একটি বেসরকারি সংস্থার। সিনিয়র বিশেষজ্ঞ। একমাত্র পুত্র রওনক হাসান তিতু কম্পিউটার প্রকৌশলী, তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তা। ২০০১ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গুণি এই গবেষক।