প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
জন্ম ১৯২২ ইং মৃত্যু, ১৯৮৭ ইং) অতি সাদাসিধে জীবন যাপনকারী দ্বীনের এই খাদেম আমৃত্যু ইসলামী জ্ঞান সাধনায় নিবেদিত ছিলেন। বহুবিধ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এই মহান মুজাহিদ দৈনন্দিন জীবনে জেগে ওঠা সমসাময়িক দ্বীনী সমস্যাগুলোর মোকাবেলা করা প্রয়োজনীয় মনে করতেন। তিনি যেমন শক্তিশালী আমলার শরীয়ত বিরোধী রচনা বন্ধের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি গ্রামের অতি সাধারণ মানুষের হক আদায়ের সংগ্রামেও ছিলেন অগ্রসৈনিক। জ্ঞানার্জন এবং এর অনুশীলন দু'টোই তাঁর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সিলেট আলীয়া মাদ্রাসার ছাত্র থাকাকালীন মওলানা মোহাম্মদ হোসাইন জৈন্তার (রহঃ) আদর্শ তাঁকে ইসলামী আইন শাস্ত্র অধ্যয়নে অনুপ্রাণিত করে। এবং তাঁরই নির্দেশে 'সিংকাপনী বাদ্রার্স' মওলানা আব্দুল কাদির সিংকাপনীর (রহঃ) শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি মওলানা সিংকাপনী তনয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর পিতা মওলানা মোহাম্মদ ওয়াতির (রহঃ) এবং নিকটাত্মীয় মওলানা সাইফুল্লাহর (রহঃ) উত্তরসূরি হিসাবে প্রচুর মূল্যবান কেতাবের অধিকারী হন। পরবর্তী কালে জীবিকা ও জ্ঞানপিপাসার প্রয়োজনে বার বার ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ভ্রমণ করার সুবাদে অসংখ্য মূল্যবান কেতাব ও গ্রন্থ সংগ্রহ করেন। তাফসীর, হাদীস, ফেকাহ শাস্ত্র, ইসলামের ইতিহাস, মান্তিক, উসুল-সকল ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ ব্যুৎপত্তি ছিলো। এবং সৌভাগ্যবশতঃ মওলানা আব্দুল কাদির সিংকাপনীর (রহঃ) মতো তাফসীরকার ও হাফেজে হাদীসের সঙ্গে তাঁর মত বিনিময় করার সুযোগ ছিলো। কুয়েত সরকার কর্তৃক সংকলিত 'ইসলামী আইন বিশ্বকোষ'-এর অন্যতম গবেষকের দায়িত্ব পালনকালে, গতশতাব্দীর ৮০'র দশকে, দামাস্কাসে' আল্লামা ইবনে আবেদীন শামীর (রহঃ) পৌত্রসহ সমসাময়িক অন্যান্য বিশিষ্ট মুহাক্কিক আলেমের সান্নিধ্যে আসেন। হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত 'অভিযাত্রিক' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম এবং পত্রিকাটির সম্পাদক হিসাবেও তিনি দীর্ঘকাল দায়িত্ব পালন করেন। হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এলাকার বিদগ্ধজন হিসাবে মনোনীত স্থানীয় সরকারের সদস্যের অর্পিত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আইন পরিষদের সদস্য পদে একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দী ছিলেন। সিলেট অঞ্চলে তৎকালীন 'দোয়াদ'-'যোয়াদ' বিতর্ক অকাট্য দলিল দ্বারা খণ্ডনের প্রয়াস তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত আকিদার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন মুখর প্রতিবাদী। তাঁর রচনাবলীতে কোরআন ও হাদীসের প্রকাশ্য দলিল এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'তের সর্বজনমান্য ইমাম-ফকীহদের সর্বসম্মত রায়ের সঠিক জ্ঞান সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়েছে। তাঁর অসংখ্য রচনাবলীর মধ্যে 'পাকিস্তান আওর মখলুক কি ইনতেখাব', 'আত্তারদীদু আলাত তবরীদ,' 'শরীয়তের দৃষ্টিতে গায়বের জ্ঞান ও রুহের অবস্থান,' 'শরীয়তের দৃষ্টিতে অসীলা,' 'শিরক একটি জঘন্যতম অপরাধ', ইমাম আবু হানীফার (রঃ) 'আল ফিকহুল আকবর' (ভাষান্তর ও টীকা) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
(Showing 1 to 1 of 1 items)
demo content