প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
এ.এফ.এম. আব্দুল জলীল
আবুল ফজল মোহাম্মদ আব্দুল জলীলের জন্য ইং ১৯১৩, বাংলা ১৩২০ সালে খুলনার তেরখাদা থানার পানতিতা গ্রামে। পিতা উমেদ আলী মোল্লা, মাতা নজিবুন্নেছা। পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান, বাড়িতেই শিক্ষা শুরু। ১৯২৮ সালে তেরখাদা জুনিয়ার মাদ্রাসা থেকে বোর্ড পরীক্ষায় জুনিয়ার মাদ্রাসা পাস, ১৯৩৩ সালে খুলনা শহরের বি.কে. স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, দৌলতপুর বি.এল, কলেজ থেকে ১৯৩৬ সালে আই.এ এবং ১৯৩৮ সালে বি.এ. পাশ করে সরকারি চাকরী নিয়ে ঐ বছরই কর্মজীবনের শুরু। কলকাতায় চাকুরীরত অবস্থায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে ইসলামের ইতিহাসে এম এ ও বি.এল পাশ করেন। ১৯৪৭-এ কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরাসরি এএ্যাডভোকেটশীপ পাশ করে সেখানেই আইন পেশায় যোগ যেন। ঐ বছরই কলকাতা ছেড়ে খুলনা আসেন এবং একজন দক্ষ ফৌজদারী আইনজ্ঞ হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। সাময়িক ভাগে খুলনা ভারত ভূক্ত হলে খুলনাকে পাকিস্তানভূক্তির দাবিতে গঠিত বাউন্ডারী কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং খুলনা পাকিস্তানভুক্ত হয়। মুসলীম লীগের রাজনীতি শুরু করলেও অত্যল্পকাল মধ্যেই খান-এ- সবুরের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তিনি ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেন এবং ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে পূর্ব পাকিস্তান এসেমব্লির এম.পি.এ. নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগের ডেপুটি চিপ হুইপ নিযুক্ত হন। ইতিপূর্বে ১৯৫২ সালে খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মার্শাল ল'র পর আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে কয়েকবার হাজত বাস করেন। স্কুল জীবনেই লেখালেখি শুরু, বিভাগপূর্ব কলকাতা থেকেই প্রকাশিত হয় ৪খানা গ্রন্থ। তার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ৫৬খানা গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ 'সুন্দরবনের ইতিহাস'। ১৯৪৪-এ বিয়ে করেন রাজশাহী শহরের কাদিরগঞ্জ মহল্লার পারভেজ আলী মিয়ার কন্যা গোলে-নূর বেগমকে। তিন পুত্র, তিন কন্যা সবাই উচ্চশিক্ষিত, বিবাহিত এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত। তিনি ১৯৭৮ সালের ২রা নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।