প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী
পৃথিবীতে প্রথম চীৎকার ১৯৬৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর-ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুই বছর বয়সে মাতৃক্রোরচ্যুত। বেড়ে উঠা জামালপুর পৌরসভার বেলটিয়া ও তার চারপাশের অন্তত দশটি গ্রামের উদার প্রকৃতি ও মানুষের স্নেহ ও প্রশ্রয়ের ছায়ায় মায়ায়। শৈশব কাটে কট্টর ধর্মীয় আবহে- দাদা মৌলোভী আবু সাঈদের কোঠর তত্ত্বাবধানে। পরবর্তীতে, বিশ্বাস নয়, শৃঙ্খলার নিগড় ক্রমশ আলগা হতে হতে খুলে যায় বহির্বাটির দরজাও। গবখালে যতেচ্ছ অবগাহন, কেসমত কাকার পুকুরে ঝাঁপ, বেলটিয়া স্কুলের মাঠ-তৈরি করে স্বেচ্ছাচারী আপনবিহারি কিশোরসত্তা। সাদামাটা শিক্ষাজীবনের শুরু বেলটিয়া মাদ্রাসায়। মুক্তিযুদ্ধের পরে পিটিআই স্কুল ছেড়ে বেলটয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে টানা দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা- এসএসসি সনদ লাভ দিগপাইত ধরণী কান্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে-কারণ অবোধ্য পারিবারিক। ১৯৮০ সালে আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক; ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বিএ অনার্স ( দ্বিতীয় স্থান) ও ১৯৮৫ সালে এমএ ( প্রথম স্থান) পাশ এবং ২০১৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ। গ্রামীণব্যাংক, সংবাদপত্রের চাকরি ছেড়ে কলেজ শিক্ষকতায় যোগদান ১৯৮৯ সালে- শিক্ষা ক্যাডারে ১৯৯৩-এ। দেশের নানা প্রান্তে চাকরিজীবনের শেষে শেষে বর্তমানে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন। ভাষাসৈনিক, শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল আশরাফ ফারুকী ও জয়িতা মা বেগম সুরাইয়া ফারুকীর নয় সন্তানের মধ্যে লেখক চতুর্থ। স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র লেখকের। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সাংবাদিক সাংবাদিক মুজতাহিদ ফারুকি কবি ও কথাসাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিমান। কবিতা, গান, গল্প, প্রবন্ধ, প্যারডি লেখালেখি দীর্ঘকালের। মুদ্রিত গ্রন্থ এটাই প্রথম। সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সামাজিক কর্মে লেখকের সমান উৎসাহ ও অংশগ্রহন রয়েছে।