প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম
মাজেদা বেগম ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জানুয়ারী বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা সদরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বরগুনার বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম ডাক্তার এনতাজ উদ্দীন আহমেদ, মাতা রত্নগর্ভা সফল মা মরহুমা আছিয়া আহমেদ। শৈশবে তাঁর পিতা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তালতলী নামক স্থান থেকে হারিয়ে যান। তাঁর লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মা অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তাঁর অনাথ সন্তানদের মানুষ করেন। মাজেদা বেগম শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরগুনা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বরগুনা কলেজ (বরগুনা সরকারি কলেজ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে যশোর বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এস এস সি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় তিনি সকল গ্রুপে মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং ছেলেমেয়েদের মধ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে ( অনুষ্ঠিত ১৯৮৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিষয়ে এম কম পাশ করেন। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে চাকুরীরত অবস্থায় বাউবি থেকে ম্যানেজমেন্টে পোস্ট প্রাজুয়েট ডিপ্লোমা অর্জন করেন। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে বি আই এইচ আর এম থেকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে প্রফেশনাল এম বি এ করেন। এছাড়া তিনি এইচ এস টি টি আই ও নায়েম থেকে শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যাবস্থাপনার উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মাজেদা বেগম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর শিক্ষকতা শেষে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জানুয়ারী সরকারি জনতা কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসরে যান। সফল শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক অভিনন্দিত ও পুরুস্কৃত হন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের অধিনে রোকেয়া দিবস ২০১৪ সালে জেলায় শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে রোকেয়া দিবসে জয়িতা নির্বাচিত হন। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক সিনিটের সদস্য মনোনীত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং এলামনাই এসোসিয়েশন এর সদস্য এবং রোকেয়া হল এলামনাই এসোসিয়েশন এর আজীবন সদস্য। মাজেদা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকাল থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। যা স্থানীয় প্রকাশনায় প্রকাশিত হত। অবসর জীবনে তিনি একাধিক অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়মিত লেখেন। শক্তি জীবনে তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, অধ্যাপক জনাৰ আ.ক.ম "মোস্তফা জামানের সহধর্মিণী। তাঁদের দুই ছেলে সন্তান সাম্য জামান ও অনন্য জামান অর্ক।