প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
অভিজিৎ বসু
শিল্পের কী কোনো সত্য থাকে? সত্য বলে কী কিছুই আছে নাকি? আমি তোমাকে একটা মিথ্যা তথ্য দিলাম, সেটা উপায়ান্তরে সত্যে পরিণত হতে পারে। সত্য হলো একটি আচরণ। এই আচরণ দ্বারা সমাজ নিয়ন্ত্রিত হয়। তাহলে- কী সেই আচরণ যা সমাজের ভিতরে থেকে সমাজসিদ্ধ একক ব্যাক্তিকে চালনা করতে চায়, পিষে দেয়। ব্যাক্তির খাওয়া-শোয়া, হাঁটা-চলা, অভ্যাস এইসব নিয়ে যেসব ভাবনা এই সমাজে চালু তার থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে যারা নিজস্ব পথ বানাতে চান বা চেষ্টা করেন তাদের মধ্যে গল্পলেখক হিসাবে অভিজিৎ বসু একজন যিনি নীরবে নিজের জায়গা করে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই ছিলেন, আমরা যখন তার গল্পের ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছে যাবো তখন দেখতে পাবো প্রকৃত জীবনকাঠামো কিভাবে গড়ে ওঠে- চিরঞ্জীব, নিপু, সায়ন্তন, ব্রিজেশ, আবিরা, শান্তা... প্রত্যেকেই আগুনের দলা হাতে করে ঘুরে বেড়ায়। জাদুকর বারবার ঘুরেঘুরে সামনে চলে আসে। তাঁর গল্পে কাহিনী আছে আবার কাব্যময়তার গভীরতর ব্যঞ্জনাও ভাবনা জাগায়। স্বপ্ন আর দ্বিধার ঘোর কাটাতে কাটাতে পাঠকের হৃদয়ে প্রবেশ করে মনীষা। মনে হয়, এই ভাষ্য তো আমায়ই। পাঠক আমি অথবা আমিই লেখক- 'আবীরা একটা ঝাকুনি দিলো আর ব্রিজেশের মাথার ভেতর কাগজগুলো ক্যামন কালচে হয়ে উঠতে লাগলো। সেখানে সে দেখতে পেলো মাংসগুলো গরম জলে সেদ্ধ করছে কেউ...'-তাতে ব্রীজেশ এর কিছু এসে যায় না। এই গ্রন্থের প্রতিটি চরিত্র এঁকেছেন তিনি স্বাধীনচেতা-স্বপ্নখোর-ফুর্তিবাজ মানুষরূপে। 'ব্যাসার্ধটি নীল', 'হারিকেনের আলো', 'হলুদ খাম' বা 'মোমপুতুলের হাসি' এই গল্পগুলোর মতো বাংলা কথাসাহিত্যে আরো অনেক গল্প দরকার। নব্বই এর দশক থেকে লেখালেখি শুরু করা অভিজিৎ বসুর প্রথম গল্পগ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে 'ব্যাসার্ধটি নীল'। গড়পড়তা হিসাবে তার অন্তত কয়েকটা গ্রন্থ থাকার কথা ছিলো কিন্তু প্রকাশের প্রতি অনিহা কিংবা দ্বিধা থেকে তিনি নিজেকে অন্তরালে সরিয়ে রেখেছেন আর লিখে ফেলেছেন এরই মধ্যে প্রায় ষাটাধিক গল্প, অসংখ্য কবিতা আর অনুবাদ।