প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
হাওয়া আমজাদ
কবি হাওয়া আমজাদ ১৯৫৯ সালে ১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার চালা উত্তর গ্রামে রোজ শুক্রবার জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম রবিউল্লাহ মুন্সী, মাতা মরহুম রুপসী বেগম। ১ বছর বয়সেই পিতাকে হারান। স্নেহময়ী মা ও বড় ভাইদের ভালোবাসায় বড় হন। পড়াশোনার প্রতিটি ক্লাসেই ১ম স্থান অধিকার করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু কিছু সাংসারিক কাজ কর্ম করেছেন। তিনি যখন ৭ম শ্রেণিতে উঠেন। তখন তার মা একদিন তাকে বললেন- তোর আর কোনো কাজ করতে হবে না। শুধু পড়াশোনা আর পড়াশোনা! এ কথা শোনে তিনি খুব খুশি হন। প্রতিদিন স্কুলে গেছেন? বৃষ্টি-বাদল দিনেও যাওয়া বাদ যায়নি। পিতাকে হারিয়ে তিনি কোনোদিন প্রাইভেট পড়ার সুযোগ পাননি। তবুও ১ম স্থান অধিকার করেছেন। শিক্ষকগণ তাকে খুব ভালোবাসতেন। স্কুলে তাকে কখনও বেতন ও পরীক্ষার ফি দিতে হয়নি। তিনি বিভিন্ন গান-গজল ও নভেল বই পড়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পড়ে পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের কালরাত্রে বাঙালি জাতির উপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনির নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি নিজ বাড়িতে কালো পতাকা উত্তোলন করেন। এই ঘটনার ফলে মুক্তিযুদ্ধকালীন তাকে ও তার পরিবারকে পাক হানাদার বাহিনির ও এলাকার চিহ্নিত রাজাকারদের তীব্র রোষানলে পড়তে হয়েছিল। এ ঘটনার স্মরণে তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তার প্রথম দেশাত্ববোধক কবিতা রচনা করেন। এরপর থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তারপর তিনি অসংখ্য কবিতা লিখেছেন। ভাষা আন্দোলনের গান, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেমের কাহিনি পাঠ করে পুরষ্কার লাভ করেছেন। শিক্ষিকতার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনেক অনুষ্ঠানে পিটি নাচ ও গান করে অনেক পুরষ্কার অর্জন করেছেন। ১৯৮১ সালে প্রাইমারি স্কুলে ইন্টারভিউ দিয়ে ৩য় স্থান অধিকার করে বিনা টাকায় চাকরি পান। সুনামের সাথে ৩৬ বছর চাকরি করেছেন। কর্মজীবন থেকে বিদায় অনুষ্ঠানে অনেক ফুলের মালা পেয়েছেন। স্বার্থকতা পেয়েছে তার শিক্ষক জীবন। বর্তমানে বিনা পারিশ্রামিকে বাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও বয়স্ক মহিলাদের কোরআন শিক্ষা দিচ্ছেন। যে কোরআন কিনতে পারে না, তাকে কোরআন শরীফ কিনে দেন। এ কাজটা করেন তিনি তার পেনশনের টাকা দিয়ে। আলোচ্য গ্রন্থটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ।