মিলটন রহমান । কবি, গল্পকার, সাংবাদিক। কথাসাহিত্যে তাঁর অবস্থান এখন সুদৃঢ় । কবিতা তাঁকে দিয়েছে খ্যাতির শীর্ষ আলােকস্তম্ভ । গল্প রচনার মাধ্যমে লেখালেখির সূচনা হলেও সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি ভূমি তিনি আবাদ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি সাংবাদিক হলেও তাকে কবি এবং কথাসাহিত্যিক হিসেবে চিহ্নিত করা যায় অনায়াসে। বাংলাসাহিত্যে উচ্চশিক্ষা শেষে ২০০৬ সালের শেষ দিকে চলে যান লন্ডনে। সেখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, ইউরােপের বিশ শতকের লিটলম্যাগ আন্দোলন বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণা, মূলধারার সাহিত্য সংগঠনের সাথে সংযুক্ত হয়ে কবিতা বিষয়ে কর্মসম্পাদনসহ নবসৃষ্টির আভাস দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। পিতা ডা. এ কে এম ওয়াহীদি ও মাতা নুরজাহান বেগমের ঘর আলােকিত করে ১৯৭৫ সালে। মনুষ্যভূখণ্ডের আলাে দেখেন মিলটন রহমান। চট্টগ্রামের প্রকৃতিঘেরা সীতাকুণ্ডের হাজারী তালুক গ্রামে তাঁর জন্ম। তাই তিনি বিভিন্ন লেখায় ও বক্তৃতায় বলেন, “আমার গ্রাম আমাকে লেখক করেছে। তাই প্রকৃতির এই সন্তান তার প্রতিটি রচনাতেই এই ভূখণ্ডের সকল সৌন্দর্যকে তুলে। এনেছেন মহামায়ায় । শিল্প-সাহিত্যের তীর্থভূমি ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে বসবাসের সুবাদে মিলটন রহমানের কাব্যভাষা নিয়েছে স্বকীয় মাত্রা। এই স্বতন্ত্র কাব্যভাষা থেকেই মিলটন রহমানকে আবিষ্কার করা যায়; যা একজন লেখকের জন্য সবচেয়ে বড় পরিচিতি।