প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
আবু কায়সার
কবি ও কথাশিল্পী আবু কায়সারের জন্ম ১৯৪৫ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি-পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত জিয়াগঞ্জে। তার বাবা মরহুম শফিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন। বাংলাদেশের জামালপুরের অন্তর্গত পিংনা এলাকার ফুলদহের পাড়া গ্রামের মানুষ। মা শামসুন নাহারের জন্ম টাঙ্গাইলের মীরের বেতকা গ্রামে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ দ্বিখণ্ডিত হলে পরিবারটি কলকাতা থেকে স্বদেশে ফিরে আসে এবং টাঙ্গাইল শহরে থিতু হয়। আবু কায়সারের শৈশব কেটেছে মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায়। কৈশাের টাঙ্গাইলে। শিক্ষা বিন্দুবাসিনী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, সাদত কলেজ ও মওলানা মােহাম্মদ আলী কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি সহ সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকীতে কাজ করেছেন। যেমন ১৯৬৬-৬৯ দৈনিক পাকিস্তান (পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলা) ও একই প্রতিষ্ঠানের মাসিক (পরে সাপ্তাহিক) বিচিত্রা, ১৯৬৯-৭১ দৈনিক ইত্তেফাক, ১৯৭২-৭৪ দৈনিক গণকণ্ঠ এবং ১৯৯০-৯৮ দৈনিক সংবাদ। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি দৈনিক ভােরের কাগজের সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। আবু কায়সার শৈশব-কৈশােরেই কলকাতার সন্দেশ, মৌচাক, শিশুসাথী ও শুকতারার মতাে শিশু-মাসিকে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লেখেন। ঢাকায় শিশু-মাসিক আলাপনী এবং কচি ও কাঁচা ছাড়াও দৈনিক সংবাদের খেলাঘর ও ইত্তেফাকের কচি কাঁচার আসরে তাঁর অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ছােটদের জন্য এখনাে তিনি প্রায় নিয়মিতই লেখেন। গল্প, কবিতা, ছড়া, উপন্যাস ও অনুবাদ মিলিয়ে তার শিশুকিশাের উপযােগী বইয়ের সংখ্যাই বর্তমানে বাইশ। তিনি মুক্তিযােদ্ধা লেখক পুরস্কার, মুক্তিযােদ্ধা সাংবাদিক পদক এবং শিশুসাহিত্যের জন্যে দু’বার অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০০৫ সালে।