“'সময় কাটে না কিন্তু ফুরিয়ে যায়' ফেসবুক দেয়ালে এমন স্ট্যাটাস দেখামাত্র আমার সামনে এসে দাঁড়ালো একটি বিষণ্ন বিকেল ও একজন নিঃসঙ্গ নারীর বেদনাক্লিষ্ট কায়াহীন মুখমণ্ডলের ছবি। যার আকাশজুড়ে শুধুই মেঘের ওড়াউড়ি। কবি শওকত আলীকে অনেকখানি চেনা যাবে এই উদ্ধৃতির মধ্যে। ছোট্ট একটি বিন্দু থেকে তিনি যাত্রা করেন, ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েন দিগন্তে। স্মৃতিপট থেকে সরে যান বিস্মৃতির সিলুয়েটে। অনেকটা সার্চ-ইঞ্জিনের মতো। একটি কোনো শব্দের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক থেকে অপ্রাসঙ্গিকে ছড়িয়ে পড়া। এজন্য তার কবিতা কথাপ্রধান। কখনোবা প্রগল্ভ। তবে তাতে প্রতিমুহূর্তেই নতুন দৃশ্যের উন্মোচন হয়। তার ভঙ্গি ন্যারেটিভ, তবে নিরেট রিয়েলিস্টিক নয়। তাতে চৈতন্যের নানা স্তরবিন্যাস আছে। যেমন—'ডকে দাঁড়িয়ে থেকে বিবর্ণ কফিন চিৎকার করে বলে ওঠে, পেয়েছি, পেয়েছি, নাকছাবি পেয়েছি। একটি রক্তমাখানো কদমফুল বিচারক তার পকেট থেকে বের করে দেয়...' প্রাত্যহকিতারই উদ্যাপন 'মাছরাঙা নির্জনে নিঃশব্দ গান'। ব্যক্তিগত বেদনা সত্ত্বেও পরিপার্শ্বের বিচিত্র অসঙ্গতির মধ্যে সৌন্দর্যের সন্ধান ও নির্মাণ কবির মূল অভিপ্রায়। যেন কোনো ক্ষয়িষ্ণু ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নোনাজলে শ্বাসমূল তুলে বেঁচে থাকার আনন্দ সঞ্চয় এবং কবিতার বিহ্বল বাক্যরাশিতে পাতায় পাতায় তার সঞ্চরণ।” “'সময় কাটে না কিন্তু ফুরিয়ে যায়' ফেসবুক দেয়ালে এমন স্ট্যাটাস দেখামাত্র আমার সামনে এসে দাঁড়ালো একটি বিষণ্ন বিকেল ও একজন নিঃসঙ্গ নারীর বেদনাক্লিষ্ট কায়াহীন মুখমণ্ডলের ছবি। যার আকাশজুড়ে শুধুই মেঘের ওড়াউড়ি। কবি শওকত আলীকে অনেকখানি চেনা যাবে এই উদ্ধৃতির মধ্যে। ছোট্ট একটি বিন্দু থেকে তিনি যাত্রা করেন, ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েন দিগন্তে। স্মৃতিপট থেকে সরে যান বিস্মৃতির সিলুয়েটে। অনেকটা সার্চ-ইঞ্জিনের মতো। একটি কোনো শব্দের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক থেকে অপ্রাসঙ্গিকে ছড়িয়ে পড়া। এজন্য তার কবিতা কথাপ্রধান। কখনোবা প্রগল্ভ। তবে তাতে প্রতিমুহূর্তেই নতুন দৃশ্যের উন্মোচন হয়। তার ভঙ্গি ন্যারেটিভ, তবে নিরেট রিয়েলিস্টিক নয়। তাতে চৈতন্যের নানা স্তরবিন্যাস আছে। যেমন—'ডকে দাঁড়িয়ে থেকে বিবর্ণ কফিন চিৎকার করে বলে ওঠে, পেয়েছি, পেয়েছি, নাকছাবি পেয়েছি। একটি রক্তমাখানো কদমফুল বিচারক তার পকেট থেকে বের করে দেয়...' প্রাত্যহকিতারই উদ্যাপন 'মাছরাঙা নির্জনে নিঃশব্দ গান'। ব্যক্তিগত বেদনা সত্ত্বেও পরিপার্শ্বের বিচিত্র অসঙ্গতির মধ্যে সৌন্দর্যের সন্ধান ও নির্মাণ কবির মূল অভিপ্রায়। যেন কোনো ক্ষয়িষ্ণু ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নোনাজলে শ্বাসমূল তুলে বেঁচে থাকার আনন্দ সঞ্চয় এবং কবিতার বিহ্বল বাক্যরাশিতে পাতায় পাতায় তার সঞ্চরণ।” “'সময় কাটে না কিন্তু ফুরিয়ে যায়' ফেসবুক দেয়ালে এমন স্ট্যাটাস দেখামাত্র আমার সামনে এসে দাঁড়ালো একটি বিষণ্ন বিকেল ও একজন নিঃসঙ্গ নারীর বেদনাক্লিষ্ট কায়াহীন মুখমণ্ডলের ছবি। যার আকাশজুড়ে শুধুই মেঘের ওড়াউড়ি। কবি শওকত আলীকে অনেকখানি চেনা যাবে এই উদ্ধৃতির মধ্যে। ছোট্ট একটি বিন্দু থেকে তিনি যাত্রা করেন, ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েন দিগন্তে। স্মৃতিপট থেকে সরে যান বিস্মৃতির সিলুয়েটে। অনেকটা সার্চ-ইঞ্জিনের মতো। একটি কোনো শব্দের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক থেকে অপ্রাসঙ্গিকে ছড়িয়ে পড়া। এজন্য তার কবিতা কথাপ্রধান। কখনোবা প্রগল্ভ। তবে তাতে প্রতিমুহূর্তেই নতুন দৃশ্যের উন্মোচন হয়। তার ভঙ্গি ন্যারেটিভ, তবে নিরেট রিয়েলিস্টিক নয়। তাতে চৈতন্যের নানা স্তরবিন্যাস আছে। যেমন—'ডকে দাঁড়িয়ে থেকে বিবর্ণ কফিন চিৎকার করে বলে ওঠে, পেয়েছি, পেয়েছি, নাকছাবি পেয়েছি। একটি রক্তমাখানো কদমফুল বিচারক তার পকেট থেকে বের করে দেয়...' প্রাত্যহকিতারই উদ্যাপন 'মাছরাঙা নির্জনে নিঃশব্দ গান'। ব্যক্তিগত বেদনা সত্ত্বেও পরিপার্শ্বের বিচিত্র অসঙ্গতির মধ্যে সৌন্দর্যের সন্ধান ও নির্মাণ কবির মূল অভিপ্রায়। যেন কোনো ক্ষয়িষ্ণু ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নোনাজলে শ্বাসমূল তুলে বেঁচে থাকার আনন্দ সঞ্চয় এবং কবিতার বিহ্বল বাক্যরাশিতে পাতায় পাতায় তার সঞ্চরণ।” “'সময় কাটে না কিন্তু ফুরিয়ে যায়' ফেসবুক দেয়ালে এমন স্ট্যাটাস দেখামাত্র আমার সামনে এসে দাঁড়ালো একটি বিষণ্ন বিকেল ও একজন নিঃসঙ্গ নারীর বেদনাক্লিষ্ট কায়াহীন মুখমণ্ডলের ছবি। যার আকাশজুড়ে শুধুই মেঘের ওড়াউড়ি। কবি শওকত আলীকে অনেকখানি চেনা যাবে এই উদ্ধৃতির মধ্যে। ছোট্ট একটি বিন্দু থেকে তিনি যাত্রা করেন, ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েন দিগন্তে। স্মৃতিপট থেকে সরে যান বিস্মৃতির সিলুয়েটে। অনেকটা সার্চ-ইঞ্জিনের মতো। একটি কোনো শব্দের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক থেকে অপ্রাসঙ্গিকে ছড়িয়ে পড়া। এজন্য তার কবিতা কথাপ্রধান। কখনোবা প্রগল্ভ। তবে তাতে প্রতিমুহূর্তেই নতুন দৃশ্যের উন্মোচন হয়। তার ভঙ্গি ন্যারেটিভ, তবে নিরেট রিয়েলিস্টিক নয়। তাতে চৈতন্যের নানা স্তরবিন্যাস আছে। যেমন—'ডকে দাঁড়িয়ে থেকে বিবর্ণ কফিন চিৎকার করে বলে ওঠে, পেয়েছি, পেয়েছি, নাকছাবি পেয়েছি। একটি রক্তমাখানো কদমফুল বিচারক তার পকেট থেকে বের করে দেয়...' প্রাত্যহকিতারই উদ্যাপন 'মাছরাঙা নির্জনে নিঃশব্দ গান'। ব্যক্তিগত বেদনা সত্ত্বেও পরিপার্শ্বের বিচিত্র অসঙ্গতির মধ্যে সৌন্দর্যের সন্ধান ও নির্মাণ কবির মূল অভিপ্রায়। যেন কোনো ক্ষয়িষ্ণু ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নোনাজলে শ্বাসমূল তুলে বেঁচে থাকার আনন্দ সঞ্চয় এবং কবিতার বিহ্বল বাক্যরাশিতে পাতায় পাতায় তার সঞ্চরণ।”
নব্বই দশক থেকে বর্তমান পর্যন্ত টঙ্গীর সাংস্কৃতিক আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করলে কেন্দ্রে যে মানুষটিকে পাওয়া যায় তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, টঙ্গী’র প্রতিষ্ঠাতা শওকত আলী। পেশায় আইনজীবী হয়েও শিল্পী-সাহিত্যিক ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মেতে থাকেন কবিতার সংসারে। ১২ বছর বয়সে নাইটশো সিনেমা দেখে ফিরে এসে, ঘরে ঢুকতে না-পেরে শওকত আলী রাইসমিলে চুলার পাড়ে বসে, ধান সিদ্ধ করার দৃশ্য দেখতে দেখতে শীতের রাত পার করে দেয়ার সময়, তুষের আগুনের লাল সৌন্দর্যে ওম নিতে নিতে, মুগ্ধ হয়ে ভেবেছিলেন-এভাবেই কি যাবে জীবন-মুক্ত ও নিঃশঙ্ক? সেই থেকে সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় মুক্ত জীবনের প্রতি আসক্ত শওকত আলী। তাকে পাওয়া যায় গভীর রাতের চায়ের দোকানে। আড্ডা দেন বয়সের পার্থক্য ভুলে। ভাসেন বাউলা সুরে। হুটহাট বেরিয়ে পড়েন দূর নির্জনে।