“ধানের রোগ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল। মােট আবাদী জমির প্রায় ৭৯ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়। অথচ প্রতি বছর উৎপাদিত ধানের এক উল্লেখযােগ্য পরিমাণ রােগ ও পােকা দ্বারা নষ্ট হয়। চাষিরা পােকার আক্রমণ যতটা সহজে বুঝতে পারেন ও তার জন্য দমন ব্যবস্থা গ্রহণ। করেন, রােগের বেলায় তা করেন না। রােগ" সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় মাঝে মাঝে রােগের কারণে কৃষকদের বিপুল ক্ষতি হয়। ধানের রােগ মােটেই অবহেলার নয়। কেননা, ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের নেপথ্যে অন্যতম এক প্রধান কারণ ছিল। ধানের বাদামি দাগ রােগ। বাদামি দাগ রােগের মতাে ব্লাস্ট, খােলপােড়া, টুংরাে, পাতা পােড়া, উফরা প্রভৃতি ধানের প্রধান ক্ষতিকর রােগ। এ দেশে এ পর্যন্ত ধানের ৩২টি রােগ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অনেক সময় অনেক গৌণ রােগও ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধানের ভালাে ফলন নিশ্চিত করতে ধানচাষিদের এসব রােগ চেনা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা থাকা। দরকার। যারা চাষিদের এসব বিষয়ে পরামর্শ দেন, তাঁদেরও সে ধারণা থাকা দরকার। লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায় অনেক দরকারি তথ্য ও ছবি দিয়ে বইটিকে বেশ সমৃদ্ধ করেছেন। আশা করি চাষি, কৃষি সম্প্রসারণবিদ, গবেষক ও কৃষির ছাত্রছাত্রীদের বইটি সহায়ক হবে।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।