• Look inside image 1
  • Look inside image 2
  • Look inside image 3
  • Look inside image 4
  • Look inside image 5
  • Look inside image 6
  • Look inside image 7
  • Look inside image 8
  • Look inside image 9
  • Look inside image 10
  • Look inside image 11
  • Look inside image 12
  • Look inside image 13
  • Look inside image 14
  • Look inside image 15
  • Look inside image 16
  • Look inside image 17
  • Look inside image 18
  • Look inside image 19
  • Look inside image 20
  • Look inside image 21
  • Look inside image 22
  • Look inside image 23
নিক পিরোগ থ্রি এ এম সিরিজ image

নিক পিরোগ থ্রি এ এম সিরিজ (হার্ডকভার)

by নিক পিরোগ

TK. 1,060 Total: TK. 778

(You Saved TK. 282)

27

নিক পিরোগ থ্রি এ এম সিরিজ

নিক পিরোগ থ্রি এ এম সিরিজ (হার্ডকভার)

হেনরি বিনস সিরিজের ৪টি বই (রকমারি কালেকশন)

1025 Ratings  |  663 Reviews
wished customer count icon

1.13K users want this

TK. 1,060 TK. 778 You Save TK. 282 (27%)

Book Length

book-length-icon

614 Pages

Edition

editon-icon

1st Published

কমিয়ে দেখুন
tag_icon

১৮-১৯ নভেম্বর রকমারি ফানডে, ৩৯৯৳+ অর্ডারে নিশ্চিত নোটবুক

book-icon

Cash On Delivery

mponey-icon

7 Days Happy Return

Funday 18-19 Nov image

Frequently Bought Together

Similar Category eBooks

Customers Also Bought

Product Specification & Summary

থ্রি এ এম,
থ্রি : টোয়েন্টিওয়ান এ এম ও থ্রি: থার্টিফোর এ এম,
থ্রি : ফরটিসিক্স এ এম,
থ্রি : টেন এ এমথ্রি এ এম,
থ্রি : টোয়েন্টিওয়ান এ এম ও থ্রি: থার্টিফোর এ এম,
থ্রি : ফরটিসিক্স এ এম,
থ্রি : টেন এ এম

‘থ্রি টোয়েন্টিওয়ান এ এম ও থ্রি: থার্টিফোর এ এম বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে ।বেস্টসেলার ১১টি থৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র।
বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন।
বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১
১৮ই জুন আলেক্সান্দ্রিয়া, ভার্জিনিয়া
ব্যাপারটা আমার প্রতিদিনকার রুটিনের অংশেই পরিণত হয়ে গেছে বলতে গেলে। মাঝে মাঝে শুধু নজর বুলাই, কিন্তু প্রায়ই খোলার উদ্দেশ্যে হাতে নিয়ে বসে থাকি। এভাবেই দুই তিন মিনিট চলে যায় প্রতিদিন। কিন্তু আমার জন্যে ঐ দুই তিন মিনিটই বিশাল ব্যাপার। কারণটা জানেন বোধহয়, প্রতিদিন আমার জন্যে মাত্র ষাট মিনিট বরাদ্দ থাকে। এই সময়টা হয়ত আমি ইনগ্রিডের সাথে কাটাতে পারতাম কিংবা ল্যাসির পেটে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারতাম। বাবার সাথে কার্ড খেলেও পার করা যেত সময়টা। মোটকথা আমার দৈনন্দিন জীবন থেকে মহামূল্যবান দুই-তিন মিনিট নষ্ট করছি প্রতিদিন।
কিন্তু খামটা খোলার সাহস হয় না। তাই এমুহূর্তে ভেতরের লেখা আর ছবিগুলো কল্পনা করা ছাড়া আর উপায় নেই কোন।
“আমাদের বেরুতে হবে এখন। এয়ারপোর্টে যেতে বিশ মিনিট লাগবে,” ইনগ্রিডের গলার আওয়াজ ভেসে এলো লিভিং রুম থেকে।
ফোনের দিকে একবার তাকালাম।
তিনটা বত্রিশ।
পটোম্যাক এয়ারফিল্ড এখান থেকে দশ মাইলের মতন দূরে হবে, নদীর ওপারে। আমরা যদি চারটা বাজার আগেই ওখানে পৌছাই, তাহলে সবার জন্যেই সুবিধা। যদিও আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত, ইনগ্রিড আগে থেকেই একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি দরকার পড়ে।
“আসছি আমি,” জবাব দিলাম। আমার দৃষ্টি এখনও লম্বা লাল খামটার ওপর। আলমারির মাঝখানের তাকে রাখা ওটা।
প্রায় আট মাস হয়ে গেছে প্রেসিডেন্ট সুলিভান আমাকে খামটা দিয়েছেন। দেবার সময় আমাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “খামটা খোলার আগেই আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি, ওখানে কিন্তু.....
অনুবাদকের কথাঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা। শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। থুলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি। আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার।
নিক পিরোগের থ্রি এ এম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। থি টেন এ এম তার দ্বিতীয় অনুবাদ কর্ম।
জাপানি থৃলার লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর 'দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স তার অন্যতম জনপ্রিয় কাজ। খুব শীঘ্রই বাতিঘর প্রকাশনী। থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পায়জামাস উপন্যাসটি।

"থ্রি : টেন এ এম ৩:১০ এ এম" অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনায় ভরপুর হেনরি বিনস সিরিজের দ্বিতীয় অভিযানে আপনাদের স্বাগতম। “থ্রি এ এম” বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ এক ঘন্টা।ষাট মিনিট। তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড। | প্রতিদিন আমার জন্যে কেবল এটুকু সময়ই বরাদ্দ থাকে। এই এক ঘন্টাই আমি জেগে থাকি পুরো চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে। কিন্তু এই ঘটনার পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিয়ে আমি আপনাদের বিরক্ত করতে চাই না, বরং সরাসরি গল্পে চলে যাওয়া যাক। আর সেই গল্পও একখান! এক ঘন্টার মধ্যেই আমাকে সেটা আপনাদের শোনাতে হবে। কিন্তু তা-ও আপনাদের এটুকু জানিয়ে রাখি, এমন কোন ডাক্তার নেই যাকে আমি দেখাইনি, আর যত প্রকারের ওষুধ কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব আমি খেয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমি প্রতিদিন রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠি আর এর এক ঘন্টার মধ্যেই আবার ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর টানা তেইশ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। পরের দিন আবার রাত তিনটায় জেগে উঠি। এভাবেই চলছে আমার জীবন। জানি, এরকম জীবনে হয়ত বেশি কিছু করা যায় না, কিন্তু এটাই আমাকে মেনে নিতে হয়েছে।আমার বয়শ এখন ছত্রিশ।
এই বয়সে অন্যরা প্রায় ২০০০০০ ঘন্টা জেগে কাটিয়েছে। কিন্তু আমি এই সময়ে জেগে ছিলাম ১৪,০০০ ঘন্টারও কম। একটা তিন বছরের বাচ্চার চেয়েও কম। ডাক্তারদের মতে, পুরো পৃথিবীতে মাত্র তিনজন মানুষ আছে যারা কিনা আমার মত এরকম একই মেডিকেল কন্ডিশনের ভুক্তাভোগি হ্যা, মেডিক্যাল কন্ডিশন-এইটাই বলে তারা। কোন রোগ না, কোন অসুস্থতা না, শুধু একটা মেডিক্যাল কন্ডিশন। তাইওয়ানের একটা বাচ্চা মেয়ের আছে এই কন্ডিশন আর আইসল্যান্ডে একটা ছেলের। কিন্তু এই কন্ডিশনের নামকরণ করা হয়েছে আমার নাম অনুযায়ি। কারণ আমার ব্যাপারটাই প্রথম নজরে। এসেছিল সবার। হেনরি বিনস-এটাই বলা হয় এই কন্ডিশনকে। আমি হেনরি বিনস আর আমার হেনরি বিনস আছে বাহ্ সারাংশ এক ঘন্টা।ষাট মিনিট। তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড। সাধারণের জন্য যা খুবই সামান্য হেনরি বিনসের জন্য তাইই মহার্ঘ্য। কেননা চব্বিশ ঘন্টার মাঝে এতটুকু সময়ই তার জন্য বরাদ্দ। রাত ৩টা থেকে ৪ টা। বাকি সময় বিরল মেডিক্যাল কন্ডিশনে ভোগা হেনরির সময় কাটে ঘুমে। এই হেনরিই ঘটনাচক্রে পরে যান এক খুনের ঘটনায়। খুনের সাসপেক্ট স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যে খুনের পরোক্ষ স্বাক্ষী ছিল হেনরি সেই খুনেরই আসামি হিসেবে পুলিশ তাকেই সন্দেহ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেনরিই তার বরাদ্দকৃত ১ ঘন্টা সময় দিয়েই খুনের তদন্ত করে-পড়ামাত্রই যা মনে হয় অবিশ্বাস্য! ‘ থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র।
বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন।
বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১
বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম।
৩:০১।
শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি।
তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে।
আছে , আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা।
কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে।
ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম।
আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।
আর্চি।
কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে।
এখন
ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে।
“ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম।
তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও
কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে।
“খবরদার, আর্চি!”
আবার তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। এরপর আরেকটা ধাক্কা। “আরেকবার ধাক্কা দিলে কিন্তু ভালো হবে না।” সাথে সাথে আবার ধাক্কা দিল ব্যাটা। মেঝেতে পড়ে গেল ঘড়িটা।
“ধুর, আর্চি!”
বিছানা থেকে নেমে ঘড়িটা তুললাম।
ওটার এলসিডি স্ক্রিনটা ফেঁটে গেছে।
ঘড়িটা আগের জায়গায় রেখে দিয়ে তিনমাস বয়সি বিড়াল ছানাটাকে......
অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। খৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার ।
নিক পিরোগের থ্রি: এএম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এপর থ্রি: টেন এএম, খ্রি: টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি: থার্টিফোর এএম, কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত গৃলার-উপন্যাস দ্য ডিভোশন। অব সাসপেক্ট এক্স এবং দ্য বয় ইন দি 'স্ট্রাইপড পাজামাস তার অন্যতম জনপ্রিয়
অনুবাদ কর্ম। নিখোঁজকাব্য তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।
‘থ্রি টোয়েন্টিওয়ান এ এম ও থ্রি: থার্টিফোর এ এম বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে ।বেস্টসেলার ১১টি থৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র।
বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন।
বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১
১৮ই জুন আলেক্সান্দ্রিয়া, ভার্জিনিয়া
ব্যাপারটা আমার প্রতিদিনকার রুটিনের অংশেই পরিণত হয়ে গেছে বলতে গেলে। মাঝে মাঝে শুধু নজর বুলাই, কিন্তু প্রায়ই খোলার উদ্দেশ্যে হাতে নিয়ে বসে থাকি। এভাবেই দুই তিন মিনিট চলে যায় প্রতিদিন। কিন্তু আমার জন্যে ঐ দুই তিন মিনিটই বিশাল ব্যাপার। কারণটা জানেন বোধহয়, প্রতিদিন আমার জন্যে মাত্র ষাট মিনিট বরাদ্দ থাকে। এই সময়টা হয়ত আমি ইনগ্রিডের সাথে কাটাতে পারতাম কিংবা ল্যাসির পেটে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারতাম। বাবার সাথে কার্ড খেলেও পার করা যেত সময়টা। মোটকথা আমার দৈনন্দিন জীবন থেকে মহামূল্যবান দুই-তিন মিনিট নষ্ট করছি প্রতিদিন।
কিন্তু খামটা খোলার সাহস হয় না। তাই এমুহূর্তে ভেতরের লেখা আর ছবিগুলো কল্পনা করা ছাড়া আর উপায় নেই কোন।
“আমাদের বেরুতে হবে এখন। এয়ারপোর্টে যেতে বিশ মিনিট লাগবে,” ইনগ্রিডের গলার আওয়াজ ভেসে এলো লিভিং রুম থেকে।
ফোনের দিকে একবার তাকালাম।
তিনটা বত্রিশ।
পটোম্যাক এয়ারফিল্ড এখান থেকে দশ মাইলের মতন দূরে হবে, নদীর ওপারে। আমরা যদি চারটা বাজার আগেই ওখানে পৌছাই, তাহলে সবার জন্যেই সুবিধা। যদিও আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত, ইনগ্রিড আগে থেকেই একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি দরকার পড়ে।
“আসছি আমি,” জবাব দিলাম। আমার দৃষ্টি এখনও লম্বা লাল খামটার ওপর। আলমারির মাঝখানের তাকে রাখা ওটা।
প্রায় আট মাস হয়ে গেছে প্রেসিডেন্ট সুলিভান আমাকে খামটা দিয়েছেন। দেবার সময় আমাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “খামটা খোলার আগেই আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি, ওখানে কিন্তু.....
অনুবাদকের কথাঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা। শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। থুলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি। আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার।
নিক পিরোগের থ্রি এ এম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। থি টেন এ এম তার দ্বিতীয় অনুবাদ কর্ম।
জাপানি থৃলার লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর 'দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স তার অন্যতম জনপ্রিয় কাজ। খুব শীঘ্রই বাতিঘর প্রকাশনী। থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে দ্য বয় ইন দি স্ট্রাইপড পায়জামাস উপন্যাসটি।

"থ্রি : টেন এ এম ৩:১০ এ এম" অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনসের জীবন তার প্রিয় বিড়াল ল্যাসি আর বান্ধবি ইনগ্রিডকে নিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছিল, কিন্তু একটা ইমেইল উলটপালট করে দিলো সবকিছু। তবে কি এতদিন নিজের মা সম্পর্কে যা জানতো সব ভুল ছিল? তার আসল পরিচয় কি? সিআইএ’র এজেন্ট নাকি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসি? আর এমন অদ্ভুত রোগের পেছনে কি তাহলে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন অদৃশ্য শত্রু?
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনায় ভরপুর হেনরি বিনস সিরিজের দ্বিতীয় অভিযানে আপনাদের স্বাগতম। “থ্রি এ এম” বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ এক ঘন্টা।ষাট মিনিট। তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড। | প্রতিদিন আমার জন্যে কেবল এটুকু সময়ই বরাদ্দ থাকে। এই এক ঘন্টাই আমি জেগে থাকি পুরো চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে। কিন্তু এই ঘটনার পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিয়ে আমি আপনাদের বিরক্ত করতে চাই না, বরং সরাসরি গল্পে চলে যাওয়া যাক। আর সেই গল্পও একখান! এক ঘন্টার মধ্যেই আমাকে সেটা আপনাদের শোনাতে হবে। কিন্তু তা-ও আপনাদের এটুকু জানিয়ে রাখি, এমন কোন ডাক্তার নেই যাকে আমি দেখাইনি, আর যত প্রকারের ওষুধ কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব আমি খেয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমি প্রতিদিন রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠি আর এর এক ঘন্টার মধ্যেই আবার ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর টানা তেইশ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। পরের দিন আবার রাত তিনটায় জেগে উঠি। এভাবেই চলছে আমার জীবন। জানি, এরকম জীবনে হয়ত বেশি কিছু করা যায় না, কিন্তু এটাই আমাকে মেনে নিতে হয়েছে।আমার বয়শ এখন ছত্রিশ।
এই বয়সে অন্যরা প্রায় ২০০০০০ ঘন্টা জেগে কাটিয়েছে। কিন্তু আমি এই সময়ে জেগে ছিলাম ১৪,০০০ ঘন্টারও কম। একটা তিন বছরের বাচ্চার চেয়েও কম। ডাক্তারদের মতে, পুরো পৃথিবীতে মাত্র তিনজন মানুষ আছে যারা কিনা আমার মত এরকম একই মেডিকেল কন্ডিশনের ভুক্তাভোগি হ্যা, মেডিক্যাল কন্ডিশন-এইটাই বলে তারা। কোন রোগ না, কোন অসুস্থতা না, শুধু একটা মেডিক্যাল কন্ডিশন। তাইওয়ানের একটা বাচ্চা মেয়ের আছে এই কন্ডিশন আর আইসল্যান্ডে একটা ছেলের। কিন্তু এই কন্ডিশনের নামকরণ করা হয়েছে আমার নাম অনুযায়ি। কারণ আমার ব্যাপারটাই প্রথম নজরে। এসেছিল সবার। হেনরি বিনস-এটাই বলা হয় এই কন্ডিশনকে। আমি হেনরি বিনস আর আমার হেনরি বিনস আছে বাহ্ সারাংশ এক ঘন্টা।ষাট মিনিট। তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড। সাধারণের জন্য যা খুবই সামান্য হেনরি বিনসের জন্য তাইই মহার্ঘ্য। কেননা চব্বিশ ঘন্টার মাঝে এতটুকু সময়ই তার জন্য বরাদ্দ। রাত ৩টা থেকে ৪ টা। বাকি সময় বিরল মেডিক্যাল কন্ডিশনে ভোগা হেনরির সময় কাটে ঘুমে। এই হেনরিই ঘটনাচক্রে পরে যান এক খুনের ঘটনায়। খুনের সাসপেক্ট স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যে খুনের পরোক্ষ স্বাক্ষী ছিল হেনরি সেই খুনেরই আসামি হিসেবে পুলিশ তাকেই সন্দেহ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেনরিই তার বরাদ্দকৃত ১ ঘন্টা সময় দিয়েই খুনের তদন্ত করে-পড়ামাত্রই যা মনে হয় অবিশ্বাস্য! ‘ থ্রি: ফরটিসিক্স এ. এম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক। পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে । বেস্টসেলার ১১টি গৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র।
বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন।
বইয়ের কিছু অংশঃ অধ্যায় ১
বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম।
৩:০১।
শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি।
তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে।
আছে , আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা।
কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে।
ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম।
আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।
আর্চি।
কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে।
এখন
ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে।
“ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম।
তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও
কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে।
“খবরদার, আর্চি!”
আবার তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। এরপর আরেকটা ধাক্কা। “আরেকবার ধাক্কা দিলে কিন্তু ভালো হবে না।” সাথে সাথে আবার ধাক্কা দিল ব্যাটা। মেঝেতে পড়ে গেল ঘড়িটা।
“ধুর, আর্চি!”
বিছানা থেকে নেমে ঘড়িটা তুললাম।
ওটার এলসিডি স্ক্রিনটা ফেঁটে গেছে।
ঘড়িটা আগের জায়গায় রেখে দিয়ে তিনমাস বয়সি বিড়াল ছানাটাকে......
অনুবাদক পরিচিতিঃ সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকেই লেখালেখির শুরু। খৃলার গল্প-উপন্যাসের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তার ।
নিক পিরোগের থ্রি: এএম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। এপর থ্রি: টেন এএম, খ্রি: টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি: থার্টিফোর এএম, কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত গৃলার-উপন্যাস দ্য ডিভোশন। অব সাসপেক্ট এক্স এবং দ্য বয় ইন দি 'স্ট্রাইপড পাজামাস তার অন্যতম জনপ্রিয়
অনুবাদ কর্ম। নিখোঁজকাব্য তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।
Title নিক পিরোগ থ্রি এ এম সিরিজ
Author
Translator
Publisher
Edition 1st Published, 2017
Number of Pages 614
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

4.16

1025 Ratings and 663 Reviews

sort icon

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Show more Question(s)
loading

Similar Category Best Selling Books

prize book-reading point
Superstore
Up To 65% Off
Recently Viewed
cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from bookshelf?

Write a Review

নিক পিরোগ থ্রি এ এম সিরিজ

নিক পিরোগ

৳ 778 ৳1060.0

Please rate this product