"হাইব্রিড সবজি চাষ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাংলাদেশ শাকসবজি উৎপাদনে সাম্প্রতিক সময়ে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাধীনতার পর বিগত ৪০ বছরে শাকসবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। অথচ জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের কিছু বেশি। যার ফলে ফলন বৃদ্ধির বিবেচনায় সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চীন ও ভারতের পরে তৃতীয় অবস্থান অর্জন করেছে। শুধু ফলন বেড়েছে তা নয়, এখন প্রায় সব সবজিই সারা বছর ধরে পাওয়া যাচ্ছে। আগে লাউ-ফুলকপি শুধু শীতকালে পাওয়া যেতাে। এখন বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের কল্যাণে গ্রীষ্ম-বর্ষাকালেও লাউ ধরছে। বাজারে এখন শসা, করলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, টমেটো ইত্যাদি সবজি অসময়েও পাওয়া যাচ্ছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে হাইব্রিড জাতের কল্যাণে। দেশে এখন প্রায় ৯৮ ভাগ সবজি বীজ ব্যবহৃত হয় হাইব্রিড জাতের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব জাত চাষে সবজি চাষিদের হাইব্রিড সবজি চাষে যতটুকু ধারণা থাকা দরকার তা নেই। হাইব্রিড সবজি চাষে বিশেষ কিছু ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হয়। না হলে ফলন ভালাে হয় না। হাইব্রিড সবজি নিয়ে এ দেশে লেখা এটাই প্রথম বই। আশাকরি, কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায়ের লেখা ‘হাইব্রিড সবজি চাষ' বইটি আধুনিক সবজি চাষিদের অনেক উপকারে আসবে।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।