“পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ-২য় খণ্ড (১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত)" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ “পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ” দুই খণ্ডে সম্পন্ন ইতিহাস। গ্রন্থ। প্রথম খণ্ডটি মধ্যযুগ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে পাকিস্তান আমল। ইতিহাস গ্রন্থ হলেও গতানুগতিক ধারায় ইতিহাস লেখেননি লেখক হায়দার আকবর খান রনাে। প্রথম খণ্ডে প্রধানত ব্রিটিশ আমলের ঘটনাবলী, সাম্রাজ্যবাদ বিরােধী সংগ্রামের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরা হয়েছে। বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিত্বের ভূমিকা, শ্রমিক কৃষকের বৈপ্লবিক সংগ্রাম, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, তার শ্রেণী উৎস এবং রাজনীতিতে তার প্রভাব- এই সকল বিষয়। বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সমাজ, সংস্কৃতি, সাহিত্য শিল্পকলায় কিভাবে বিবর্তন ঘটেছে, সামাজিক চেতনায় তার প্রগতিমুখী উত্তরণ ঘটেছে, সে-সবের চমৎকার বিবরণ আছে। দ্বিতীয় খণ্ডে লেখক পাকিস্তান আমলের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। লেখক বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় কমিউনিস্ট নেতা। ইতিহাসকে তিনি মার্কসীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেছেন, ঐতিহাসিক তথ্য ও ঘটনাসমূহকে অবিকৃত রেখেই। তাই এটা। সকলের জন্য প্রয়ােজনীয় একটি গ্রন্থ।
Hayder Akbor Khan Rano জন্ম : ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ, কলিকাতা। হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতা। একই সঙ্গে জননেতা ও তাত্ত্বিক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেইশটি। রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান ও সাহিত্য নিয়ে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। প্রবন্ধের সংখ্যা অসংখ্য। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ছাত্র থাকা অবস্থাতেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তখনই নিষিদ্ধ ঘোষিত গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন ভাঙা-গড়া ও বাঁকমোড়ে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। ’৬২-র সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, ষাটের দশকে নতুন ধারার জঙ্গি শ্রমিক-আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, ’৭১-এর রণাঙ্গনের সৈনিক, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার হায়দার আকবর খান রনো’র জীবন বৈচিত্র্যে ভরপুর। বারবার কারাবরণ ও আত্মগোপন জীবন এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি তিনি লিখে চলেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।