হিব্রু থেকে ইহুদি হিব্রু ভাষা ও জাতির সৃষ্টি থেকে শুরু করে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত সমস্ত ঘটনার ধারাবাহিক বিবরণ রয়েছে এ বইয়ে। আছে বর্তমান ইসরায়েলের হাল অবস্থাও। দূর অতীতে হিব্র“ভাষী ইহুদিদের দেশত্যাগী হয়ে দাস জীবনযাপন, বারবার বিদ্রোহের কারণে শাসকদের কুদৃষ্টিতে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়া, পরাক্রমশালী রোমানদের অত্যাচারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাশ্চাত্যসহ গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রায় দু’হাজার বছর ধরে অব্যাহতভাবে নিগৃহীত হওয়া, অবশেষে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপনের পথ ধরে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত এবং চলমান অশান্তির পটভূমি দলিল-প্রমাণসহ বর্ণিত হয়েছে এই বইটিতে। ঘটনাগুলোর পেছনে লুকিয়ে থাকা নানা তৎপরতার বিবরণও এ বইটির একটি বড় সম্পদ। ইহুদি জাতি ও হিব্রু সভ্যতার অর্জন ও দুর্বলতাগুলোর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এ বইয়ের পাতায় পাতায়। বহু দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্রও সন্নিবেশিত আছে এ বইয়ে। ইহুদী জাতির ইতিহাস সেই কতকাল ধরেই পবিত্র ভুমি হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটিকে নিয়ে চলে আসছে যুদ্ধ। কিন্তু কেন? অগণিত মৃত্যুর কারণ এই জায়গাটিকে ঘিরে ইহুদী ও ইসলাম উভয় ধর্মেরই রয়েছে নিজ নিজ দাবি। গত শতাব্দীতে মুসলিম অধ্যুষিত ফিলিস্তিন আজ হয়ে গিয়েছে ইহুদীদের ইসরাইল। ঠিক এ জায়গাটাই কেন চাই? ইহুদীদের নিজস্ব ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী জেরুজালেম ও এ অঞ্চলের ওপর তাদের ধর্মীয় দাবি কী? জায়োনিজমের উৎপত্তি হলো কীভাবে? তার চাইতেও বড় কথা, সত্যি সত্যি এ অঞ্চলের আদি নিবাসী কারা? মুসলিম জাতিকে কীভাবে দেখে ইহুদী ধর্ম? ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর আবির্ভাবের পর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁকে এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে ইহুদী ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি কী? চূড়ান্ত শিখর থেকে কীভাবে পতন হয় ইহুদী জাতির? এরকম হাজারো প্রশ্ন অনেকেরই মনে ঘুরপাক খেয়ে থাকে। কিন্তু খুব সহজ ভাষায় এ বিষয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাঞ্চলভাবে উপস্থাপিত বইয়ের খুব অভাব বাংলা ভাষায়। এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করার জন্য পাঠকদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইহুদী ধর্মের প্রাচীন সময়ে, হাজার হাজার বছর আগের মধ্যপ্রাচ্য আর মিসরের মরুপ্রান্তরে। একদম গোড়া থেকে ধীরে ধীরে এ বইতে তুলে ধরা হয়েছে ইসলাম, ইহুদী ও খ্রিস্টধর্মের পৃথক পৃথক দৃষ্টিকোণ থেকে এ জাতির ইতিহাসকে, যে জাতি 'বনী ইসরাইল' নামেও পরিচিত। শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ নয়, ইহুদীদের দ্বারা পবিত্র ভূমি দখলের আড়ালের বিশ্বাসটুকু জানতেও সাহায্য করবে এ বইটি। "ইহুদী চক্রান্ত” বইয়ের ভিতরের লেখা: এ পুস্তকখানা মােটামুটি দু'খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে ইহুদী ধর্ম, ইহুদীবাদ ও ইসরাঈল রাষ্ট্র সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ডে ইহুদীদের রচিত একখানা গুপ্ত দলীলের তরজমা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ! ইহুদীবাদের অনুসারী চক্রান্ত বিশারদ ইহুদী নেতাগণ সারা দুনিয়ায় তাদের আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের এক কর্মসূচী প্রণয়ন করেছে। এর নাম হচ্ছে The Protocols of the Learned Elders of Zion. আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস পাঠকমাত্রই বইখানা পড়ে বিস্ময়ে হতবাক হতে বাধ্য হবেন। কারণ ঐ পুস্তকে চক্রান্তজালের যে কর্মসূচী পেশ করা হয়েছে তা পাঠ করার সময় পাঠক অনুভব করতে বাধ্য হবেন যে, তিনি নিজেও এ ষড়যন্ত্র জালের আবেষ্টনীতে আবদ্ধ হয়ে রয়েছেন।
Title
ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল জাতির উত্থান পতনের ইতিহাস কালেকশন
Khandokar Mahmudul Hasan খন্দকার মাহমুদুল হাসান। বাংলাদেশের প্রখ্যাত গবেষক ও শিশু-সাহিত্যিক। জন্ম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫ আগস্ট। তাঁর শতাধিক গ্ৰন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, চলচ্চিত্র, সাহিত্য ও সাময়িকপত্র বিষয়ক তাঁর মূল্যবান গবেষণাগ্রন্থসমূহ ব্যাপকভাবে প্ৰশংসিত। ছোটদের জন্যে তাঁর লেখা গোয়েন্দাকাহিনি, অ্যাডভেঞ্চার গল্প, রহস্যোপন্যাস, শিকার কাহিনি, ভয়- ভূতের গল্প, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, জীবনী, ইতিহাস ও বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থগুলো ঘরে ঘরে সমাদৃত। দুই বাংলার জনপ্রিয় এই সাহিত্যিক সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে শিশুসাহিত্যের জন্য শীর্ষস্থানীয় সম্মাননা অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৪০৮ ও ১৪১১ বঙ্গাব্দ) ও এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার -২০১৪ । পশ্চিমবঙ্গ থেকে গল্পের জন্যে পেয়েছেন টুকলু পুরস্কার (যতীন্দ্রমোহন রায় স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪)। এছাড়াও পেয়েছেন বাংলাদেশ সাহিত্য সংঘ সম্মাননা-২০০৮, স্বভাবকবি গোবিন্দচন্দ্ৰ দাস সম্মাননা, গাজীপুর-২০০৯), রকি সাহিত্য পুরস্কার-২০১০, গবেষক আবদুল হক চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, চট্টগ্রাম-২০১০; সম্মাননা-পেীর মেয়র ও প্যানেল মেয়র-২, বগুড়া-২০১২, সম্মাননা-এগারখান উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, যশোর-২০১৬ । তিনি বাংলা একাডেমি, এশিয়াটিক সোসাইটি, ইতিহাস সমিতি ও ইতিহাস একাডেমির সদস্য।