"‘মানসিক সমস্যা’ কথাটা শুনলেই আমাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। তাই মনের সমস্যা হলে চিকিৎসা নেওয়ার বদলে আমাদের মনের ভিতরের ভয়ের সাথে প্রথমে লড়াই করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সত্যটা হলো, মন যেহেতু আছে, জীবনে কখনো না কখনো মনের রোগে আমরা সবাই ভুগব এবং এটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক বিষয়টাকে যেন স্বাভাবিকভাবেই আমরা গ্রহণ করতে পারি এবং মনের জোর ধরে রেখে নিজেকে সঠিকভাবে সাহায্য করতে পারি, সেই উদ্দেশ্যেই মানসিক স্বাস্থ্যের ফার্স্ট এইড বইটির সূচনা। পারিপার্শ্বিক একটু অবহেলা আমাদের যেমন অনেক দূর পিছিয়ে দিতে পারে তেমনি অল্প উৎসাহও আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারে। মনের ভালো থাকা আমাদের চিন্তা-চেতনার উপর নির্ভর করে। মানুষ পরিবর্তনশীল। তার মধ্যে পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে। পূর্বে উপযুক্ত পরিবেশ, উপযুক্ত শিক্ষার অভাব থাকলেও সে নিজেকে তার নিজস্ব চেষ্টায় অনেকাংশেই উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সক্ষম। এর জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং অবাস্তব চাহিদার লাগাম টানা। আমাদের ক্ষমতার সঠিক পরিচয় জানতে এবং ভারসাম্য বজায় রাখার দক্ষতা অর্জনের কৌশল রপ্ত করার প্রচেষ্টাই বিশ্লেষিত হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের ফার্স্ট এইড বইটিতে, যা আমাদের জীবনকে যেমন প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে তেমনি সাফল্যের শীর্ষে উঠতেও আমাদের সাহায্য করতে পারে। "চাপে নেই এমন মানুষ আসলে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসের বিক্রয়কর্মীদের নানারকম স্ট্রেস সামলাতে হয়, স্ট্রেস সামলাতে হয় বিভাগীয় প্রধান থেকে একজন সিইওকে। উদ্যোক্তাদের চাপের কোনো শেষ নেই। আবার যারা নতুন ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে হচ্ছে না, তাদের চাপও কম নয়। ব্যক্তিজীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেও অনেকে চাপে ভোগেন। এই বইয়ে আমরা নেগেটিভ চাপ কী করে দূর করব এবং পজিটিভ চাপের মাধ্যমে কী করে অনুপ্রাণিত হব সেই সব হ্যাকস নিয়ে কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল নিয়ে। আর হ্যাঁ, লাইফস্টাইল, হেলদি লাইফস্টাইল, সেল্ফ কেয়ার কী করে আমাদের জীবনের নেগেটিভ চাপকে পজিটিভ চাপে রূপ দেবে সেইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যারা চাপ সামলে জীবনে সামনে এগুতে চান, যারা নিজেদের জীবনকে সুশৃঙ্খল নিয়মে পরিচালিত করতে চান, হতে চান সফল উদ্যোক্তা, কর্পোরেট লিডার— বইটি তাদের জন্য। টিনএজার থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকরাও উপকৃত হবেন এই বই থেকে, দায়িত্ব নিয়ে বলছি।
দেশের অন্যতম সফল কর্পোরেট আইকন। দুই দশকের কর্পোরেট ক্যারিয়ার তার। মাত্র ২২ বছরে কর্পোরেট ক্যারিয়ার শুরু করে ২৬ বছর বয়সে দেশের বৃহৎ একটি গ্রুপে সি-স্যুইটে যোগদান করে একজন ব্যতিক্রমী কর্পোরেট লিডার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ র্যানকন এর সিইও হিসাবে র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিস লি., র্যানকন ওশিয়ানা লি., র্যানকন সি ফিশিং লি. এবং র্যানকন ম্যারিন ফিশ প্রিসার্ভার কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পেশাগত কাজের পাশাপাশি তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং একজন সোশ্যাল লিডার হিসেবেও সমধিক পরিচিত। তিনি কানেক্ট দ্য ডটস ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা । তানভীর শাহরিয়ার রিমন একজন জনপ্রিয় পাবলিক স্পিকারও বটে। তিনি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নলেজ ইনিশিয়েটিভ গুলোতে কি-নোট স্পিকার হিসেবে নিয়মিত কথা বলছেন। এত কিছুর পাশাপাশি তিনি একাধারে একজন লেখক এবং ব্লগার । ফেসবুক এবং তার ব্লগ সাইটের পাশাপাশি দেশের জাতীয় দৈনিক এবং অনলাইন সাইটগুলোতে নিয়মিত তার লিখা প্রকাশিত হচ্ছে। www.tanvirshahriarrimon.com তার বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায় আছে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট (আত্নউন্নয়ন মূলক, ২০২২) লিডারশীপ ইন্টেলিজেন্স (আত্নউন্নয়ন মূলক, ২০২১) এবং আমি একজন সেলসম্যান, (মোটিভেশনাল, ২০২০)