সম্পাদকের কথা জননেতা আলমগীর হোসেনকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের ধারণাটি আমিই প্রথম উত্থাপন করেছিলাম। বছর তিনেক আগে আলমগীর সিটিতে বসে এই প্রস্তাব রাখার পর শিপলুর অবয়বে সেদিন কোনো ভাবান্তর কিংবা উৎসাহ লক্ষ করিনি। মূলত শিপলু খুবই স্বল্পভাষী ও চিন্তাশীল ছেলে। এটা বুঝেছি যখন মাস ছয়েক পর সে আমাকে তার বাবার নামীয় ‘জননেতা আলমগীর হোসেন' স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশের দায়িত্ব দিতে চেয়েছে। কিন্তু মাঠে মাঠে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার মতো ধৈর্য কিংবা সময় আমার নেই। তার ওপর বয়সজনিত শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত থাকায় আমার পক্ষে এ দায়িত্ব নেয়া সম্ভব ছিল না । তাই অন্য কারও দ্বারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পর আমি গ্রন্থনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব নেবার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করি। পরে তরুণ সাংবাদিক আমিনুল হক সাদীর মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করিয়ে শিপলু আমাকে তার অফিসে চায়ের আমন্ত্রণ জানায়। তার অফিসে গিয়ে আমি তো হতবাক! সাদী তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ছাড়াও আলমগীর হোসেন সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গের স্মৃতিচারণ, মূল্যবান মন্তব্য ও সাক্ষাৎকার পাণ্ডুলিপিতে সংযুক্ত করেছে। শফিকুল আলম শিপলু পুরো পাণ্ডুলিপি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে লেখাগুলোকে পরিশীলিত করাসহ বিধৃত বিবরণের ক্রমবিন্যাস করে বইটিকে নতুন অবয়বে গ্রন্থনা ও সম্পাদনার অনুরোধ জানায়। শুধু মৌখিক অনুরোধই নয়, রীতিমতো প্রতিষ্ঠানের প্যাডে আমাকে লিখিত আকারে এ দায়িত্ব প্রদান করা হলো। জননেতা আলমগীর হোসেন আমার খুবই প্রিয় মানুষ ছিলেন। আমি তাঁর আন্তরিক স্নেহাস্পর্শ পেয়েছি।