এই বইটি অ্যাডভান্স শিক্ষার্থীদের জন্য লেখা হলেও নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য সমান উপোযোগী। ফটোগ্রাফি, বিশেষ করে ডিজিটাল ফটোগ্রাফি বুঝতে হলে এ বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যšত খুটে খুটে এবং বুঝে বুঝে পড়তে হবে। বইটি পড়লে বোঝা যায় ফটোগ্রাফির কৌশলগত এবং নান্দনিক দিক থেকে কতটা প্রশস্থ এবং কতটা গভীর। বই-এর চ্যাপটারগুলো সাজানো হয়েছে যথেষ্ট চিšতাভাবনা করে। লেখক প্রতিটি বিষয়ের আলোচনা করেছেন একেবারে সহজ ভাষায়। উদাহরণ, নকশা এবং ছবি দিয়ে জটিল বিষয়গুলোকে এতটাই সহজ করে তোলা হয়েছে যে একজন সাধারণ মেধার শিক্ষার্থীর বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না।
সূচিপত্র * কীভাবে ফটোগ্রাফার হবেন *ডিজিটাল ছবি কী এবং কেমন * ডিজিটাল ছবি কীভাবে হয় * ব্যবহারিক ক্ষেত্রভেদে ক্যামেরা * এবং সহযোগী যন্ত্রপাতি * যন্ত্রপাতির যত্ন * এক্সপোজার; ছবির উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ * ছবির শার্পনেস, কীভাবে পাবেন * লেন্স ও ফিল্টার * লাইট এবং লাইটিং * ফ্ল্যাশ এবং ফ্ল্যাশের ব্যবহার * ফটোগ্রাফিতে রঙ * হোয়াইট ব্যালেন্স * ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার * ডিজিটাল ফটো এডিটিং * পোরট্রেট এবং গ্রুপ ছবি * বিজ্ঞাপনের মডেলিং এবং এর ফটোগ্রাফি * কপি করা * স্টিল লাইফ ফটোগ্রাফি * আপনি কি ফটো ব্যবসায়ী হতে চান? * ছবির ভালো-মন্দ বিচার * শিল্পীর চোখে * ফটো ডিকশনারি * তথ্যসূত্র
যুদ্ধই জীবনের সৌন্দৰ্য জন্ম গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার হােসেনপুর গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে। কৈশোরে পরিচিত হন। সবুজ ঝোপঝাড়, মাঠ, গরু, গুডিড, বানের পানি আর মুক্ত আকাশের সাথে। অক্ষর শেখার আগেই ছবি আঁকা শুরু করেন, তবে কাগজে নয়, মাটির ওপর। আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার বড় সাধ ছিল, নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। ভালো ছাত্র হলেও পরিস্থিতির ঘুর্ণিপাকে থেমে গেছেন অনেকবার। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে শেষ প্রান্তে এসেও শেষ করেননি। জীবনের টানাপোড়নে ঢাকায় এসে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে। ফটোগ্রাফির চর্চা শুরু করেন। উনানব্বই নাগাদ'। ফটোগ্রাফিতে ডিপ্লোমা করেন আলোকচিত্রাচার্য এম.এ. বেগের কাছে। এরপর জীবিকার তাগিদে অ্যামেরিকা চলে গেলে সেখানে ফটোগ্রাফি বিষয়ে দু’বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্স সমাপ্ত করেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালীন সময়ে একটি অ্যাডভারটাইজিং ফটাে স্টুডিওতে ফটােগ্রাফার হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেন।