"দুঃসাহসী ফেল্টু বাহিনী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ফেন্টু বাহিনীর চার সদস্য। ওদের আরেক বন্ধু বন্দু নদীতে হারিয়ে গেছে। নৌকা নিয়ে রুদ্ধশ্বাস অভিযানে নেমেছে চারজন। যেভাবেই হােক ফেন্টু বাহিনীর সদস্যকে খোঁজে বের করতেই হবে। অনেকটা সময় নদীর বুকে ওরা। কিন্তু না, বল্টকে খোজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই খুব হতাশ!! তাহলে কি ফেন্টু বাহিনীর নতুন সদস্যকে খোঁজে পাওয়া যাবে না? সবুজ ঘাসের দ্বীপ। নামটি ফেন্টু বাহিনীর সদস্যরাই দিয়েছে। সবুজ ঘাসের দ্বীপে গিয়ে ওরা বুঝতে পেরেছে আসলেই দ্বীপটি অত্যন্ত চমত্তার। সবাই সিদ্বান্ত নেয়, একটি রাত সবুজ ঘাসের দ্বীপে কাটাবে। রাত নামে সবুজ ঘাসের দ্বীপে। ফেল্ট বাহিনীর সদস্যরা ঘুমােতে যায় না। চমৎকার জোছনা ওঠেছে। আকাশে। ওরা জোছনার আলােয় সবুজ ঘাসের দ্বীপে হাঁটতে থাকে। হঠাৎ দেখতে পায় পরী নেমে এসেছে আকাশ থেকে! সবাই মিলে দেখতে থাকে সাদা সাদা পরীদের। পাহাড়ে একটি ভয়ংকর গাছের সন্ধান পায় ফেন্টু বাহিনীর সদস্যরা। কেউ বলে ওটা রহস্যগাছ, কেউ বলে মানুষখেকো গাছ। সাহসী হয়ে ওঠে ফেল্ট বাহিনীর সদস্যরা। ওরা চলে যায় রহস্যগাছের খুব কাছে। রহস্যগাছের রহস্য উন্মােচন করে শেষমেশ আসলে দুঃসাহসী ফেল্ট বাহিনী একটি রুদ্ধশ্বাস ভরা উপন্যাসের নাম। একটি অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস তাে অবশ্যই।
শাহআলম সাজু সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জাতীয় পর্যায়ে থেকে সাংবাদিকতা করছেন। সততা, পরিশ্রম আর নিজ চেষ্টা দিয়ে ইতিমধ্যে কালচারাল রিপাের্টার হিসেবে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম। হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর সাংবাদিক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতাকে। ১৯৯৬ সালে প্রথম গল্প ছাপা হয় দৈনিক সংবাদ এ। প্রথম উপন্যাস বৃষ্টিভেজা ভালােবাসা প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। প্রকাশিত মােট বইয়ের সংখ্যা ৩০টি। স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে নিজের একটি বড় অবস্থান গড়ার। ভ্রমণপ্রিয় এই লেখক ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করেন। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল ও কলকাতা ভ্রমণ করেছেন। আর পছন্দ করেন প্রিয় মানুষদের সাথে আড্ডা দিতে। শাহআলম সাজুর জন্ম টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।