ভূমিকা আউটসোর্সিং শব্দটি হয়তো শুনেছেন। আউটসোর্সিং করে অনেকে লাখ লাখ টাকা আয় করে এ কথাও হয়তো শুনেছেন। কিন্তু বিষয়টি কী, কীভাবে, কী করতে হয় এসব কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই, আউটসোর্সিং কী জিনিস? এর মাধ্যমে নাকি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়?’ আপনার সে ভাই উত্তর দিলেন, ‘কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি ইনকাম করেন। আপনি কম্পিউটারের কী কী জানেন?’ আপনি উত্তর দিলেন, ‘আমি তেমন কিছুই জানি না। এমএস ওয়ার্ড জানি, ফেসবুকে আমার একটা অ্যাকাউন্ট আছে, কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান আছে এই আর কি?’ আপনার সে ভাই জানালেন, ‘আপনি কি মনে করেছেন ডলার ইনকাম করা এতোই সোজা? এখানে সারা বিশ্বের প্রোগ্রামারদের সাথে কম্পিটিশন দিয়ে জবে বিড করে কাজ পেতে হয়। আপনি যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ না।’ এ কথা শুনে আউটসোর্সিংয়ের প্রতি আপনার আগ্রহই নষ্ট হয়ে গেল, স্বপ্নটাও মরে গেল। আপনার ওই ভাই যদিও সত্যি কথাই বলেছেন তবু আপনার প্রশ্নের উত্তর এমনও হতে পারত, ‘আপনি কোনো আউটসোর্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে দেখতে পারেন। ওখানে ফেসবুকের বেশ কিছু কাজ পাওয়া যায়। যেমন ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া, ফেসবুকের ফ্যান পেইজে লাইক সংগ্রহ করে দেওয়া, ডেটা এন্ট্রিরও অনেক কাজ আছে। আপনি অল্প রেটে আবেদন করলে সহজেই কাজ পেয়ে যেতে পারেন। আপনি হয়তো শুরুতে বেশি ইনকাম করতে পারবেন না, তবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম বাড়বে। তখন আপনি নিজেই বুঝে যাবেন কীভাবে, কী করতে হবে?’ এ ধরনের উত্তর শুনে আপনি অনেক উৎসাহিত হবেন। এই বইয়ে আমি যতটুকু সম্ভব আউটসোর্সিং বিষয়টিকে সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। বইটি পড়ে যদি পাঠকেরা উপকৃত হয় তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।
আউটসোর্সিং ২ : কাজ শিখবেন যেভাবে
১. ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট শিখবেন যেভাবে ২. গ্রাফিক্স ডিজাইন ৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন যেভাবে ৪. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ৭. ই-মেইল মার্কেটিং ৮. আর্টিকেল রাইটিং ৯. আর্টিকেল রাইটিং শুরু করবেন কীভাবে? ১০. ডেটা এন্ট্রি ১১. গুগল অ্যাডসেন্স ১২. গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছি যে ভাবে ১৩. ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং : ছাত্রছাত্রীদের জন্য করণীয় ১৪. কীভবে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় ১৫. একজন সফল উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার ১৬. অনলাইন আউটসোর্সিং এবং আমার প্রাপ্তি ১৭. একটি বই এবং আমার পথচলা ১৮. কম্পিউটার দোকানে কাজ করে পকেট খরচ চালাতাম ১৯. আমি আর্টিক্যাল রাইটিংয়ের কাজ করছি ২০. আমি ডেটা এন্ট্রির কাজ করছি ২১. আমি অ্যাডপোস্টিংয়ের কাজ করছি ২২. লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই ২৩. অনুপ্রেরণার আদর্শ : স্টিভ জবস
আউটসোর্সিং ৩ : সফল হবেন যেভাবে
ফ্লাপে লেখা কথা আউটসোর্সিংয়ে সফল হওয়ার জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন। ১. কোন কাজে দক্ষতা ২. সুন্দর একটি প্রোফাইল ৩. উপযোক্ত কভার লেটার এবং ৪. ইংরেজিতে বেসিক জ্ঞান। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন কাজে দক্ষতা। বাকি তিনটিও এটির উপর নির্ভরশীল। প্রথমে কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করে আউটসোর্সিংয়ে নামতে হবে। তারপর সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতেও কাজের দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ আপনি যে কাজগুলো জানেন সেগুলো প্রোফাইলে যোগ করবেন, কাজের পোর্টফোলিও যোগ করবেন। আপনি যে ঐ কাজের উপযোক্ত এটা যেন আপনার প্রোফাইল দেখেই বুঝা যায়। তারপর জবের বিজ্ঞাপণ অনুসারে কভার লেটার লিখতে হবে। বিভিন্ন জবের কভার লেটার বিভিন্ন রকম হয়। আপনার কভার লেটারটি এমন ভাবে লিখতে হবে যেন ক্লায়েন্ট এটা পড়েই বুঝতে পারে যে আপনি কাজটি করতে পারবেন। সবশেষে প্রয়োজন ইংরেজিতে বেসিক জ্ঞান ক্লায়েন্টের সাথে ইন্টারভিওর সময় কনভারসেশন (চ্যাট) করার জন্য। ইংরেজিতে জ্ঞান আপনার আগেও লাগবে যখন আপনি জবের বিজ্ঞাপণ পড়বেন। জবের বিজ্ঞাপণ পড়ে আপনাকে বুঝতে হবে এখানে কী কাজের কথা বলা হয়েছে। কাজটি কীভাবে করতে হবে তা আপনাকে ইংরেজিতেই কভার লেটারে লিখবে হবে। ইন্টারভিওর সময় ক্লায়েন্টকে ইংরেজিতেই বুঝাতে হবে আপনি কাজটি কীভাবে করবেন।
আউটসোর্সিং ৪: অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতা থেকে
সূচিপত্র ১. চাকরি করবেন নাকি ফ্রিল্যান্সিং? ২. কোন কাজটি শিখবেন? ৩. আমার গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের অভিজ্ঞতা ৪. আমার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের অভিজ্ঞতা ৫. আউটসোর্সিং : চক চক করলেই সোনা হয় না ৬. ইল্যান্সের সেরা ফ্রিল্যান্সার ৭. প্রোগ্রামিং কেন শিখতে হবে? ৮. যশোর জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার ৯. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ৪৫ ১০. আউটসোর্সিং ও ট্রেনিং সেন্টার বাণিজ্য ১১. আমি যেভাবে ফ্রিল্যান্সার হলাম ১২. আমার সফল হওয়ার গল্প ১৩. রিস্ক না নিলে সাফল্য আসে না ১৪. আমি যেভাবে শুরু করি ১৫. শুরুটা অনেক বন্ধুর ছিল ১৬. ধৈর্য ধরে শুরু করা
পেশায় ফ্রিল্যান্স ওয়েব প্রোগ্রামার মো. আমিনুর রহমান একজন প্রযুক্তিবিষয়ক লেখক। বাংলায় আউটসোর্সিং বিষয়ে সেরা বইগুলোর অন্যতম দুটিই তাঁর লেখা, যেগুলো তরুণ ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে ইতোমধ্যেই। সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করেছেন মো. আমিনুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়েই লেখালেখি শুরু করেন প্রথম আলোর ‘কম্পিউটার প্রতিদিন’ বিভাগে, যা আজও চালিয়ে যাচ্ছেন। ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামে ডাক্তারদের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময়। এ নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয় প্রতিবেদন। তাঁর তৈরি এই সফটওয়্যার আজও ব্যবহার করেন অনেক ডাক্তার। তাঁর উদ্ভাবনের পোকারা তখনই থেমে যায়নি। চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময়ে এসে আবার তৈরি করেন এসএমএস দিয়ে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার কয়েক মাস পরই মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করা শুরু করে। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও আউটসোর্সের সাথে যুক্ত আমিনুর রহমান। মো. আমিনুর রহমান এর বই সমূহ-তে আউটসোর্সিং এর দিকনির্দেশনার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে সফল ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রেরণাদায়ক সব গল্পও। ২০১২ সালের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে লেখকের বেশ কিছু লেখা প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছিল। পাঠকদের ব্যাপক সাড়া ও অনুরোধে পরবর্তী বছরেই প্রকাশিত হয় মো. আমিনুর রহমান এর বই ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে ও শুরু করার পর’। তারই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের বইমেলায় আসে তাঁর আউটসোর্সিং বিষয়ক সচিত্র ও দ্বিতীয় বই ‘আউটসোর্সিং ২ : কাজ শিখবেন যেভাবে’। মো. আমিনুর রহমান এর বই সমগ্র নতুন প্রজন্মের আউটসোর্সারদের জন্য অনুপ্রেরণা ও গাইডলাইন হিসেবে কাজ করছে।