`নিখোঁজ রতন` বইয়ের ফ্লাপের লেখা রতনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই বিকেলবেলা খেলে কোথায় যে বেরােল। তারপর থেকেই সে নিপাত্তা। সম্ভব-অসম্ভব, সমস্ত জায়গা এমন কি থানা-পুলিশ কোথাও তার খোঁজ নেই। শেষ পর্যন্ত রতনের একটা নােট-বুক ডায়েরিতে ছােট্ট একটু ক্লুমিলল। দিন তিনেক আগের রােজনামচার পাতায়। সে লিখেছে নাগ পাহাড়ের সেই লােকটার সঙ্গে হঠাৎ দেখা। কিন্তু আশ্চর্য ও যা বলছে তাই কি সত্যি ? তাহলে তাে এখনই হাত-পা ছুড়ে নৃত্য করতে ইচ্ছে করছে আমার। ওর বন্ধু মিলন বলল, —ওই লােকটাই রতনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে গাড়িতে তুলে নাগ-পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। কিন্তু কোথায় এই নাগ - পাহাড় ? শুরু হল। অ্যাডভেঞ্চার—এক দুঃসাহসিক অভিযান। মিলন, সােমেন, মনীশ আর তাদের চেয়ে অনেক সিনিয়র রতীশ। অপরাধ জগতের নানা দুষ্কর্মের সে ইতিমধ্যেই কিনারা করেছে। শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ রতনের কি খোঁজ মিলল ? । ' আর দ্বিতীয় কাহিনিটা হল রাজা চন্দ্রবর্মার।। গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের সঙ্গে যুদ্ধে যাবার আগে। তিনি তার সােনাদানা, মণিমুক্তো, হিরে-জহরত সব রেখে যান শুশুনিয়া পাহাড়ের এক গিরিগহ্বরে। ইতিহাসের কৃতী ছাত্র ভুজঙ্গরের রােখ চেপে গিয়েছিল যে ওই গুপ্তধন সে উদ্ধার করবে। তার সহযাত্রী হল সত্যেন আর প্রলয়। ভুজঙ্গধর নানা বইপত্তর ঘেঁটে একটা নকশা বানিয়েছিল এই গুপ্তধনের কাছে পৌছবার। কিন্তু বিহঙ্গবাবু? যার। আসল নাম কৃতান্ত সে হল পথের বাধা। আর একদল ডাকাত। | শেষ পর্যন্ত কি পরিণাম হল এই অভিযানের? আর ভুজঙ্গধর? সে যে প্ল্যান তৈরি করেছিল তার গােড়ায় গলদ, সেকথা কি প্রলয় বুঝতে পেরেছিল ?
Debol Debborma ভন্ম ওড়িশার ঝাড়সুগদায় মাতামহের বাসস্থলে। পিতা চণ্ডীচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছিল বদলির চাকরি। সেই সুবাদে শৈশব-কৈশাের কেটেছে দূর মফঃস্বলের স্থান থেকে স্থানান্তরে। মেদিনীপুরের পাঁচটি স্কুলে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়া। সালকিয়া অ্যাংলাে-সংস্কৃতি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন। বেলুড় ও বাঁকুড়ায় আই. এস-সি.। বাঁকুড়া ক্রিশ্চান কলেজ থেকে স্নাতক। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। কর্মজীবনের সূচনায় স্কুল-মাস্টারি। মফঃস্বল এবং কলকাতার স্কুলে। মাস কয়েক এ. জি. বেঙ্গলের চাকরি। তারপর ড. বি. সি. এস. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাণিজ্যকর আধিকারিক সহকারী কমিশনার হওয়ার পর অবসর। বর্তমান নিবাস সল্ট লেকে। কলেজ জীবন থেকেই সাহিত্যরচনায় ঝোক। প্রবাসী আয়ােজিত এক গল্প। প্রতিযােগিতায় জীবনের প্রথম বড়দের গল্প। সেই গল্পে বিশেষ পুরস্কারের সম্মান। এরপর থেকে নিয়মিত লেখালেখি। প্রথম অজিত চট্টোপাধ্যায় এই স্বনামে, পরে দেবল দেববর্মা ছদ্মনামে। প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ৬০ এর অধিক। বেতারে-দূরদর্শনে একাধিক কাহিনির সম্প্রচার, নাটক সিরিয়াল রূপে। পছন্দ দূরভ্রমণ, সবুজ রঙ।