"ভেঙ্গে গেলো তরবারি" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা” কাহিনী সংক্ষেপ পলাশীর রক্তাক্ত ইতিহাসে যেই বীর সেনাপতিকে কারার লৌহ কপাট ভাঙা বাঘ’ বলা হয়েছে। যার অক্লান্ত ও প্রাণপণ লড়াইয়ের ফল হিসেবে ‘পানিপথের বিজয়কে উৎসর্গ করা হয়েছে, সেই ‘মােয়াজ্জম আলী’র পরিবারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে ‘ভেঙ্গে গেলাে তরবারির কাহিনী। বিবৃত হয়েছে ঘটনাচিত্র। এগিয়ে গেছে স্বাধীনতার স্বপ্নভঙ্গের করুণ ইতিহাস। বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিপর্যয়ের পর তাঁর বিশিষ্ট সেনানি মােয়াজ্জম আলীর পরিবার-পরিজন সুবে বাংলা থেকে হিজরত করে ভবিষ্যতের নতুন স্বপ্নে রওনা দেন পশ্চিমের দিকে। জাতির ইজ্জত ও স্বাধীনতা রক্ষার উত্তাল আবেগে যােগ দেন ভারতের স্বাধীনতা হত্যার চক্রান্তকারী ও সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতিপক্ষ হায়দার আলীর সেনাবাহিনীতে। আবারও নতুন স্বপ্ন বুকে ধারণ করে আফগানিস্তানের পথে রওনা দেয় মােয়াজ্জম আলীর পরিজন। পরে হায়দার আলীর মৃত্যুর পর উত্থান ঘটে তার সুযােগ্য তনয় অমিতপুরুষ টিপু সুলতানের। কিন্তু মীর সাদিকের বিশ্বাসঘাতকতায় মহীশূরের স্বাধীনতা-সূর্য অস্তমিত হয়ে যায়। এভাবেই ভারতের স্বাধীনতা রক্ষার শেষ তরবারিটিও খান খান হয়ে যায়। পুরােপুরি অস্তমিত হয় স্বাধীনতার বিবর্ণ সূর্য, পাণ্ডুর হয়ে যায় অমিততেজা যুবকের নিয়ত দেখা রঙধনু। ইংরেজ ও জাতীয় শত্রুর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা রক্ষার সেই সংগ্রামের প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ নায়ক উপমহাদেশীয় স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসের সিংহপুরুষ মহীশূর-শার্দূল টিপু সুলতানের উত্থান ও বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত কাহিনীকে উর্দু সাহিত্যের যশস্বী ঔপন্যাসিক নসীম হিজাযী রূপায়িত করেছেন ‘আওর তলওয়ার টুট গেয়ী’ শিরােনামে। বাংলা ভাষাভাষি সত্যসন্ধিৎসু পাঠকের জন্য এরই সরল ভাবানুবাদ- ভেঙ্গে গেলাে তরবারি।
Nosim Hijajee শরীফ হুসাইন (ছদ্মনাম নসিম হিজাজী হিসাবে বেশি পরিচিতি, জন্ম:১৯১৪ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৯৯৬) হলেন একজন পাকিস্তানি উপন্যাসিক ও লেখক, যিনি লেখালেখির সময় নসিম হিজাজি ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। বাল্য ও কৈশোর কাল গ্রামে কাটলেও তার সোনালী যৌবনটুকু দখল করে আছে ঐতিহাসিক লাহোর শহর। এখানেই তিনি লেখাপড়া করেন এবং লাহোর ইসলামীয়া কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একজন উর্দু ভাষার লেখক। হিজাজী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ধারওয়াল শহরের পাশের একটি গ্রাম সুজানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই ১৯৪৭ সালে তার পরিবার লাহোরে বসবাস শুরু করে। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ মার্চ তারিখে ইন্তেকাল করেন।