ফ্ল্যাপে লিখা কথা ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে একটা দাঁড়াও করাবার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। বিষয়টা শুধু জটিল বললে ভুল বলা হবে-বেড়াছেড়া লেগে যাবার মত জটিল। শেষ পর্যন্ত জটিল চিন্তাগু... See more
TK. 220 TK. 189 You Save TK. 31 (14%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
ফ্ল্যাপে লিখা কথা ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে একটা দাঁড়াও করাবার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। বিষয়টা শুধু জটিল বললে ভুল বলা হবে-বেড়াছেড়া লেগে যাবার মত জটিল। শেষ পর্যন্ত জটিল চিন্তাগুলি লিখে ফেলতে পেরেছি এটাই বড় কথা। গল্প বলার সময় বিজ্ঞানের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। পাঠকদের কাছে অনেক তথ্যেই উদ্ভট লাগতে পারে। তাঁরা ভুরু কুঁচকে ফেলতেও পারেন। ভুরু কুঁচকানো পাঠকদের সবিনয়ে জানাচ্ছি বিজ্ঞানে উদ্ভট বলে কিছু নেই। বিজ্ঞান রূপকথার জগতের চেয়েও অনেক রহস্যময়। হুমায়ুন আহমেদ
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
গল্পটি প্রথমবার পড়ার পর কিছু বুঝতে পারিনি কিন্তু দ্বিতীয় বার পড়ার পরে বুঝেছি.... অনেক সুন্দর ছিল গল্পটি
Read More
Was this review helpful to you?
By NOOR A ALAM,
15 Apr 2016
Verified Purchase
Seriously I have no voice to explain this book .ওমেগা পয়েন্ট is a real great idea to explain our system
Read More
Was this review helpful to you?
By Ridwan Siddik,
26 Oct 2024
Verified Purchase
অসাধারণ একটা বই।
Read More
Was this review helpful to you?
By Murad Ahmed ,
11 Jun 2022
Verified Purchase
Nice
Read More
Was this review helpful to you?
By Ashik,
10 Jan 2017
Verified Purchase
বইটা হাতে নেয়ার পরে প্রথম যে চিন্তাটি মাথায় এসেছে সেটি হচ্ছে, "ওমেগা পয়েন্ট" শব্দের অর্থটা কি। বইয়ের ভূমিকায় এটা নিয়ে অবশ্য হুমায়ূন আহমেদ স্যার কিছুটা বলেছেন,যদিও সেখানে ওমেগা পয়েন্ট আসলে কি জিনিস সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। ওমেগা পয়েন্ট জিনিসটা খুব জটিল একটি জিনিস। শুধু জটিল বললে ভুল হবে, বেড়াছেড়া লেগে যাবার মত জটিল।
বইটির প্রথম পাতা শুরু হয় ইয়াসীন সাহেবের বাড়ি থেকে। সন্ধ্যার দিকে ইয়াসীন সাহেব লক্ষ্য করেন, ঘরের বাহিরে বউয়ের মত সেজেগুজে কোন এক মেয়ে যেন মাচার নিচ থেকে শশা তুলছে। ইয়াসীন সাহেব ধার্মিক মানুষ, সেই সঙ্গে প্রচন্ড বদরাগীও। তিনি শেফালীর মাকে জোর গলায় ডাকলেন। শেফালীর মা সবকিছু ফেলে ছুটে এলেন স্বামীর কাছে। এ বাড়ির সবাই তাকে যমের মত ভয় করে। শেফালীর মা আসার পর তাকে জিজ্ঞেস করলেন "এই মেয়েছেলে সন্ধ্যাবেলায় এখানে করেটা কি? কে এই মেয়ে?" ।
যেহেতু সাইন্স ফিকশন বই হাতে নিয়েছি, সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই অবচেতনমনে ভেবে নিয়েছিলাম কোন এক স্পেসশীপের ভেতরের মত কোন জায়গার বর্ণনা থেকে শুরু হবে। পড়তে গিয়ে প্রথমেই তাই একটু অবাক হয়েছিলাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বইয়ের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় আসা পর্যন্ত যে কোন পাঠক ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারবেন না যে এটি একটি সাইন্স ফিকশন বই। মনে হবে কোন প্রেমের উপন্যাস।
ইয়াসীন সাহেবের বাসায় রফিক নামে একটা ছেলে থাকে। ছেলেটা এ বাড়ির কেউ না। কার বাড়ির সেটিও ঠিকমত জানে না। শুধু এটুকু মনে আছে, ছেলেটি বড় হয়েছে এতিমখানায়। এ বাড়িতে সে আছে শেফালীকে পড়াবার জন্যে। শেফালীও বেশ আগ্রহ নিয়ে রফিকের কাছে আসে পড়তে। কিন্তু পড়ার জন্যে আসেনা, এমনি বসে থাকতে আসে। এ বয়সে পড়ার চাইতে এমনি এমনি বসে কোন একজনের মুখের দিকে চেয়ে থাকতেই বেশী ভাল লাগে।
শেফালীর মা সেজন্যে মেয়েকে নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। তার মনে হচ্ছে মেয়েটার মনে রফিক ছেলেটা আটকেছে। কাথামুড়ি দিয়ে কারনে অকারনে কাঁদে, মাঝরাতে জানালার কাছে গিয়ে রফিকের ঘুমন্ত মুখ দেখে। আবার বিছানায় এসে কাথামুড়ি দিয়ে শোয়। আবার কেঁপে কেঁপে কাঁদে। মেয়ের কান্নার এ ভঙ্গি শেফালীর মার পরিচিত। ইয়াসিন সাহেবের কান পর্যন্ত যদি এ খবর যায় তবে ঘরে যে কতবড় কিয়ামত হবে সেটি শেফালীর মা বেশ ভালই বোঝেন..
রফিকের একটি অসাধারন গুণ রয়েছে। অংক করার ক্ষেত্রে সে ভয়াবহমাত্রায় প্রতিভাবান। যেকোন অংক তার কখনো খাতায় করে দেখতে হয় না, মুখে মুখেই উত্তর বলে দিতে পারে। এ নিয়ে গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনও হয়। মুখে মুখে অংক করার অনুষ্ঠান। সারা গ্রামবাসী সেখানে রফিকের অসাধারন প্রতিভা দেখবে। গ্রামের চেয়ারম্যান সে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন। তার সাথে এসেছিলেন তার মেয়ের জামাই। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের শিক্ষক। রফিকের প্রতিভা তিনি তন্ময় হয়ে লক্ষ্য করেছিলেন সেদিন।
উপড়ে যা যা বলা হলো, সবই এ বইয়ের অংশ। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে তবুও বইটি সাইন্স ফিকশন। কোন প্রেমের উপন্যাস নয়। কারন রফিক একময় জানতে পারে, সে আসলে রফিক নয়। তার নাম রেফ।
কিভাবে তার নাম রেফ হলো, সেটি পুরো বইটি পড়লে জানা যাবে.. :)
এবার ওমেগা পয়েন্ট আসলে কি জিনিস সে বিষয়ে বলি..
মানবজাতি দিন দিন উন্নতি করছে । যখন মানুষ পৃথিবীতে এসেছিলো, তখন থেকেই উন্নতি করছে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক কিছু জেনেছে। প্রতিনিয়তই জানছে। জানতে জানতে মানুষ আজ এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। মানুষ আরো জানতে চাইছে প্রকৃতির সবকিছু সম্পর্কে। আমরা বলি মানুষের এই জানার কোন শেষ নেই। কোনদিন মানুষ সৃষ্টির একদম সকল কিছু জেনে ফেলতে পারবেনা। কিন্তু আবার এমনও ভাবা হয়, একটা সময়ে নতুন কিছু জানার মত মানুষের জন্য প্রকৃতিতে হয়তো কিছু থাকবেনা। সকল কিছুই মানুষ হয়তো একদিন জেনে ফেলবে। মানুষের মনে আর কখনোই হয়তো "কেন?" "কিভাবে?" জাতীয় শব্দগুলো থাকবেনা। কারন সবই সে জেনে ফেলেছে। আর নতুন করে জানার কিছু নেই। "কেন?" "কিভাবে?" শব্দগুলো মানুষ তখনই বলে যখন তার কিছু জানার থাকে । কিন্তু সে জেনে ফেলেছে সব। চন্দ্র, সূর্য্য , গ্রহ, সৌরজগত, ছায়াপথ সহ একদম সকল কিছু।
যে জায়গায় এসে, বা যে সভ্যতায় এসে মানুষের আর নতুন করে কোনকিছুই জানার কোন কিছু থাকবেনা, সে জায়গাটাই হচ্ছে ওমেগা পয়েন্ট!
এখন ওমেগা পয়েন্টের সাথে বইয়ের গল্পের কি সম্পর্ক, সেটি জানতে হলে পড়ে দেখতে হবে বইটি.. এটুকু বলা যায়, বইটি কাউকে হয়তো নিরাশ করবেনা... :) ।
Read More
Was this review helpful to you?
By jami jahan,
27 Jan 2017
Verified Purchase
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা
বই-ওমেগা পয়েন্ট লেখক-হুমায়ুন আহমেদ ধরন-সায়েন্স ফিকশন পৃষ্ঠা-১১২ মূল্য-১৪০ সময় প্রকাশনা .... ইয়াসীন সাহেব বাড়ান্দায় অজু করতে এসে দেখেন শশা-মাচার নিচে লাল শাড়ি পরা বউ যেন ঘুর ঘুর করছে। তিনি তার ওযু ছেড়ে উঠতে পারছিলেন না, আবার তার জানতেও ইচ্ছা করছিলো কে এটা..? অযু শেষ করেই তিনি বউ কে ডাকলেন।ইয়াসীন সাহেব প্রচন্ড বদমেজাজী । তিনি বাড়ির কর্তা তাই তার অমতে কোথাও কিছু হতে পারে না। তিনি শেফালীর মাকে জোর গলায় ডাকলেন। শেফালীর মা সবকিছু ফেলে ছুটে এলেন স্বামীর কাছে। এ বাড়ির সবাই তাকে যমের মত ভয় করে। শেফালীর মা আসতেই জানতে চাইলেন, মাচার নিচে কে?
ইয়াসীন সাহেবের স্ত্রী অবাক হয়ে বললেন, নিজের মেয়েকেও চিনেন না! তিনি এটা শুনে খুব বিরক্ত হলেন। কেন না মেয়ের পরীক্ষার বআর দুইমাস ও নেই। সে কিনা সন্ধ্যা বেলা মাচার নিচে! বাসায় রফিক নামে একটা ছেলে থাকে। ছেলেটি বড় হয়েছে এতিমখানায়। আগে অন্য জায়গায় থাকত। এ বাড়িতে সে আছে শেফালীকে পড়াবার জন্যে। তিনি রফিক এর কথা জানতে চাইলেন। তাঁর স্ত্রী বললেন, সে ময়মনসিংহ গেছে। তিনি আরও বিরক্ত হয়ে বললেন, তাকে কথা টা জানানো হয় নি কেন? তিনি আরো রেগে বললেন আর কখনো যেন এমন না হয়।
সন্ধ্যার পর রফিক ফিরে আসে। রফিক আসার সময় এক জোড়া ইলিশ মাছ নিয়ে আসে। খাবার এর পর ইয়াসীন সাহেব রফিক এর সাথে কথা বলতে যান। তার সাথে কথার মাঝে জানতে পারেন রফিক দূরবীন তৈরি করার জন্য দুটো লেন্স আনতে ময়মনসিংহ গিয়েছিলো।
রফিক শেফলী কে পড়ায়। তবে পড়ার থেকে রফিকের প্রতিই তার আগ্রহ বেশি ।আর এ ব্যপারটা মায়ের চোখ এড়ায় না। ইয়াসীন সাহেব এর স্ত্রী এটা নিয়ে সংকিত বোধ করেন। কেন না মেয়ের এমন কর্মকান্ড যদি, তার বাবা জানতে পারে তাহলে তো হুলুস্থুল কান্ড হয়ে যাবে।
তবে রফিক ছেলে ভালো। তার অসাধারন মেধা, এবং অংক করার ক্ষেত্রে সে অসম্ভব রকম প্রতিভাবান। যেকোন অংক তার কখনো খাতায় করতে হয় না, মুখে মুখেই উত্তর বের করে ফেলে। এ নিয়ে গ্রামের সন্দিকোনা স্কুলে আয়োজন করে একটি অংক অনুষ্ঠানের ।তিনটা ব্ল্যাকবোর্ড ভর্তি অংক। সেখানে প্রধান অথিতি চেয়ারম্যান এর সাথে ছিল তার মেয়ে জামাই ফরহাদ। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থের শিক্ষক। রফিকের প্রতিভায় তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। পুরো গ্রামের মানুষ অবাক চোখে তাকিয়েছিলো!
কিন্তু এর ভেতরের কাহিনী টা আরো ভয়াবহ! রফিক বুঝতে পারলো তাকে নিয়ে কিছু একটা হচ্ছে। এবং আবিস্কার করে নিজের সম্পর্কে এক অসাধারন সত্য। সে জানতে পারে, সে আসলে রফিক নয়। তার নাম রেফ। গত চার বছর ধরে শেফ নামে এক কম্পিউটার তার দেখাশোনা করছে। তাকে নিয়ে গবেষনা করছে এমরান টি এর মতো বিজ্ঞানী। যিনি বিজ্ঞান কাউন্সিল এর প্রধান। তারা খুব কঠিন পদক্ষেপ নেয় রেফ র বিরুদ্ধে।
ওমেগা পয়েন্ট মূলত একটা অবস্থান। লেখক এর মতে এটা শুধু জটিল বিষয় বললে ভুল হবে -- একেবারে বেড়াছেড়া লেগে যাবার মতো জটিল। অবস্থান টা এরকম, পৃথিবীর বুদ্ধিমান প্রানী মানুষ যখন পৃথিবীর সব আবিস্কার আর নিয়ন্ত্রন করে ফেলবে। তখন কৌতুহল দেখানোর কিছু থাকবে না। থাকবে না কোন প্রশ্ন।তখন কার অবস্থান টাই হচ্ছে ওমেগা পয়েন্ট!
ওমেগা পয়েন্ট হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম সায়েন্স ফিকশন। এটার কাহিনী পাঠক কে ভাবাবে। পাঠক উপন্যাস পড়তে পড়তে সায়েন্স এর মতো জঠিল গহব্বরে প্রবেশ করবে। একই সময় মানুষের দুই জায়গার অবস্থান পাঠক কে এক চিন্তার জগতে ফেলে দিবে। তবে এটা ঠিক যে বিজ্ঞানে উদ্ভট বলে কিছু নেই। বিজ্ঞান রূপকথার থেকেও রহস্যময়!
হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের পাঠক নন্দিত কথাসাহিত্যিক। পাঠক দের জন্য রচনা করেছেন গল্প থেকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পর্যন্ত। ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে লেখক অনেক আগে থেকেই লেখার চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত সফল তিনি। আশা করছি বিজ্ঞানের এই রহস্যময় জগৎ সকল পাঠকেই আকর্ষন করবে।
. #রফিক_এ উপন্যাস এর কেন্দ্রীয় চরিত্র।তার মা,বাবা কেউ নেই এতিম একটি ছেলে।বড় হয়েছে ও এতিমখানায়।এখন সে ইয়াসিন সাহেবের বাড়িতে থাকে। ইয়াসিন সাহেব এর মেয়ে শেফালিকে পড়ায়।ইয়াসিন সাহেবের একমাত্র মেয়ে #শেফালি_এই উপন্যাস এর নায়িকা বলা চলে।
. রফিককে রাখা হয়েছে শেফালিকে পড়ানোরর জন্য।এদিকে শেফালীর সবসময় রফিককে নিয়েই চিন্তা করে ফলে পড়াশোনায় বেশ একটা মনোযোগ দিতে পারেনা। যার ফলে পরীক্ষায় ডাব্বা। অংকে একদম কাচা সে অপরদিকে রফিক যাকে বলা হয় অংকের জাহাজ। কঠিন কঠিন অংকগুলি মুখে করতে পারে তাও কিছু সেকেন্ডে।এ নিয়ে গ্রামের একটি স্কুলে আয়োজন করা হয় অংক অনুষ্ঠানের।তিনটি ব্লাকবোর্ড ভর্তি অংক। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান জনাব জালাল উদ্দিন এবং তার জামাতা ফরহাদ খান।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার লেকচারার।রফিক মাত্র দু মিনিট এ অংকের উত্তর দিয়েছিল। রফিক এর প্রতিভায় তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন।সারা গ্রামের মানুষ তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল।
. রফিক আর শেফার ভালবাসার কথা যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন শেফার বাবা উপায় না দেখে করে ভয়ঙ্কর এক প্লান।এই জীবনে রফিক জানেনা তার দুটি জীবন আছে কিন্তু অপর জীবনে সে বুঝতে পারে তার দুটি জীবন আছে। আর বুঝতে পারে বলেই তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা করছে ভয়ঙ্কর সব এক্সপেরিমেন্ট।
. অপর জীবনে তার নাম রেফ সে চার বছর ধরে মানসিক রোগী।শেফ নামে এক কম্পিউটার তার দেখাশুনা করে।তাকে নিয়ে গবেষণা করছেন #এমরান_টি এর মতে বিজ্ঞানী। যিনি বিজ্ঞান কাউন্সিল এর প্রধান। তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা করছে ভয়ঙ্কর সব এক্সপেরিমেন্ট। যাদের উদ্দেশ্য রফিকের অপর জীবনটাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানেরই উন্নতি সাধন করা। এভাবেই এগোয় কাহিনী।
. কিভাবে সে #রফিক থেকে #রেফ হয়ে যায়? তা রফিক জানতে পারবে? আর জানলেও সে কিভাবে এর থেকে মুক্তি লাভ করবে? সেগুলো জানতে হলে পড়তে হবে ওমেগা পয়েন্ট নামে এই বইখানা।
. #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ ওমেগা পয়েন্ট মূলত একটা অবস্থান।হুমায়ূন আহমেদ এর মতে এটা শুধু জটিল বিষয় বললে ভুল হবে -- একেবারে বেড়াছেড়া লেগে যাবার মতো জটিল।তিনি আরো বলেন,পাঠকের কাছে অনেক তথ্যই উদ্ভট লাগতে পারে। সত্যি তাই, বইয়ের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় আসা পর্যন্ত যে কোন পাঠক ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারবেন না যে এটি একটি সাইন্স ফিকশন বই। মনে হবে কোন প্রেমের উপন্যাস।চমৎকার একটি বই। পড়ে দেখতে পারেন। হাপি রিডিং...
Read More
Was this review helpful to you?
By mostafizur rahman,
22 Nov 2016
Verified Purchase
রফিক চায় সাধারন মানুষের মত বাচতে। কিন্তু সেটা যেন অসম্ভব। পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা তাকে গিনিপিগ বানিয়ে খেলছে নিদারুন এক খেলা যে খেলা আর ভালো লাগছে না রফিকের।
রফিকের দুটি জীবন। দুটি জীবন বয়ে চলেছে পাশাপাশি। একটি জীবনে সে একজনের বাসায় থাকে এবং সে বাসার মেয়ে শেফাকে পড়াশোনা করায়। শেফা ভীষন ভালোবেসে তাকে। কিন্তু রফিকের এমনটা মনে হয়না। শেফালীর সবসময় রফিককে নিয়েই চিন্তা করে ফলে পড়াশোনায় বেশ একটা মনোযোগ দিতে পারেনা। যার ফলে পরীক্ষায় ডাব্বা। অংকে একদম কাচা সে অপরদিকে রফিক যাকে বলা হয় অংকের জাহাজ। কঠিন কঠিন অংকগুলি মুখে করতে পারে তাও কিছু সেকেন্ডে।
রফিক আর শেফার ভালবাসার কথা যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন শেফার বাবা উপায় না দেখে করে ভয়ঙ্কর এক প্লান।এই জীবনে রফিক জানেনা তার দুটি জীবন আছে কিন্তু অপর জীবনে সে বুঝতে পারে তার দুটি জীবন আছে।
আর বুঝতে পারে বলেই তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা করছে ভয়ঙ্কর সব এক্সপেরিমেন্ট। যাদের উদ্দেশ্য রফিকের অপর জীবনটাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানেরই উন্নতি সাধন করা।
এভাবেই এগোয় কাহিনী। এরকম প্লাট মিসির আলী গল্পের নিষাদ গল্পেও পাওয়া যায় তারপরও আমার দারুণ লেগেছে। আশাকরি আপনাদেরও লাগবে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Jobayet Hasan,
22 Oct 2019
Verified Purchase
আমাকে যদি আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কয়েকটি সায়েন্স ফিকশন বেছে নিতে বলা হয় তাহলে তার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের "ওমেগা পয়েন্ট" বইটি থাকবে। হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশন লিখার ধরনটা প্রতিবারই আমাকে মুগ্ধ করে। তিনি সাধারণ জীবনের প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানকে পুঁজি করে রহস্যময়তার এক অদ্ভুত জগৎ পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেন যার ব্যাতিক্রম হয়নি "ওমেগা পয়েন্ট" বইটিতেও। এই গল্পের মূল চরিত্র হচ্ছে রফিক। সে বুঝতে পারে যে, সে একসাথে দুইটি সময়ে বাস করছে। একটি সময়ে সে ইয়াসিন সাহেবের বাড়িতে থাকে আর তার মেয়ে শেফাকে পড়ায়। অন্য একটি সময়ে সে একটি হাসপাতাললে ভর্তি থাকে যেখানে শেফ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি রোবট তার দেখাশোনা করে। সে একসময় জানতে পারে যে সে "ওমেগা পয়েন্ট" নামের একটি প্রজেক্টের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যেটি মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞানের শেষ সীমা। এরপর থেকে উভয় সময়ের জগতেই তার শুরু হয় প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে টিকে থাকার লড়াই। কী ঘটবে শেষ পর্যন্ত? জানতে হলে পড়ে দেখুন "ওমেগা পয়েন্ট" বইটি।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Nayeem Islam Nishat,
03 Feb 2023
Verified Purchase
বইটি আসলে অসাধারণ ছিল। আমি এখনো এই বইটির কথা ভাবলে মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ স্যার যে একজন boss level writer সেটা তার এই উপন্যাসটি পড়ে বেশি মনে হয়েছে। অসাধারণ সায়েন্স ফিকশন।মানে ..I am impressed.👌।