"ঢাকা কলিকাতার যত যুদ্ধ" বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: এ ধরনের বই দুই বাংলা, আসাম, ত্রিপুরায় ছাপা। এই প্রথম ভারত পাকিস্তানের দেশভাগের পর হিন্দুর হাতে হাজার হাজার মুসলমান এবং মুসলমানের হাতে অনুরূপ সংখ্যক হিন্দুর জীবনাবসান ঘটলেও এ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ কোন গবেষণা হয়নি। এ গ্রন্থও গবেষণাধর্মী নয়। তবে ভারতের প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্র প্রসাদ, প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়সহ ভারতীয় নেতৃবৃন্দ যেমন এই ঘটনার নায়ক-খলনায়ক তেমনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান, প্রেসিডেন্ট আইউব খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো, মােনায়েম খান প্রমুখও নায়ক এবং খলনায়ক। ১৯৪৭’র দেশ বিভাগ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। উল্লেখিত দুই দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা দুই দেশের সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে যত চিঠি চালাচালি করেছেন তাই নিয়ে এই বই। এসব চিঠিতে হিন্দু মুসলমানদের অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে। আর এরকম প্রামাণ্য গ্রন্থ ইতিপূর্বে আর বাংলা ভাষায় ছাপা হয়নি। ফলে দুই বাংলায় এ বইয়ের পাঠক সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। ঘটনাপঞ্জীতে প্রধান দুটি স্থান হিসেবে দুই রাজধানী ঢাকা ও কলিকাতার প্রসঙ্গই মুখ্য। কেননা ঢাকা তথা পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষে বলেছে পাকিস্তান সরকার অনুরূপ কলিকাতার পক্ষে পাল্টা চিঠি টেলিগ্রাম করেছে ভারত সরকার। এ একেবারে ঢাকা ও কলিকাতার মধ্যকার যুদ্ধ।
কায়কোবাদ মিলন বাংলাদেশের একজন অন্যতম লেখক ও সাংবাদিক। তাঁর জন্ম বরিশাল শহরে। তবে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কাঁঠালিয়া থানার শৌলজিয়ার মিয়া বাড়িতে। পেশায় তিনি পুরোদস্তুর সাংবাদিক। সংবাদমাধ্যমে আছেন প্রায় পাঁচ দশক ধরে। এই সময়ের সিংহভাগই কাজ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়, প্রায় চল্লিশ বছর। পেশাগত জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায়। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নেতৃত্বে ছিলেন বেশ কিছু সময়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের শিশু শিক্ষা উপ-কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন পর পর দুই মেয়াদে। সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ভারত ও নেপাল সফর করেছেন। এরই সাথে তিনি ঢাকা সাব-এডিটর্স কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকায় অবস্থিত বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বরত ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখিও করেছেন তিনি। কায়কোবাদ মিলন এর বই সমগ্র আধুনিক পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাঁর লেখার ধরণ পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কায়কোবাদ মিলনের এর বই সমূহ হলো ‘মোসাদ (দুই খন্ড)’, ‘একাত্তরে পরাশক্তির যুদ্ধ’, ‘ঢাকা কলিকাতার যত যুদ্ধ’, ‘তুমি শুধু তুমি’ ইত্যাদি। তাঁর স্ত্রী দিলরুবা জলিল শাহিন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। কায়কোবাদ মিলন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অঙ্গনে এক অন্যতম উজ্জ্বল নাম। লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে তিনি উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু সাড়া জাগানো লেখা ও প্রবন্ধ। সংবাদ মাধ্যমগুলোয় একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে তিনি সকলের শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র হিসেবে সমাদৃত হচ্ছেন।