→ সংস্কার মুছে শান্তিতে বাস করা যায় না আজকাল যে কোন প্রগতিশীল হিন্দু পরিবারে দেখচি ঐতিহ্যময় ভারতের একটা অস্পষ্ট রূপ। গৃহের কর্তা হয়ত অক্সফোর্ডে ইংরেজি, গ্লাসগোতে ইঞ্জিনিয়ারিং, এডিনবরায় ডাক্তারী বা লিঙ্কনস ইনে ব্যারিস্টারী পড়ে দেশে এসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কর্মজীবনে অর্থ উপার্জন করছেন অজস্র ধারায়। তাঁদের পরণে স্যুট, অশনে সুপ আর আসনে কৌচ। তাদের গৃহিনীরা পার্টি দেয়, ক্লাবে যায়, নিঃসংকোচে পুরুষ বন্ধুদের সাথে ব্রিজ খেলে এবং চুলে নানারকম কায়দা করে। তবে তারা যতই খাটো করে ইংরেজি কায়দায় চুল কাটুক, যতই রঙ করা ঠোঁটের মধ্যে জ্বলন্ত সিগারেট চেপে ফিরিঙ্গি উচ্চারণে ভুল ইংরেজি বলুক, তবু তাদের রক্তে থাকে ঠাকুমা-দিদিমার অন্ধ বিশ্বাসের রেড কর্পাসল। তাই মেয়ের বিয়ে দিন ঠিক করতে আজও খোঁজ পড়ে বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকার। স্বামীর অসুখে স্ত্রী লুকিয়ে লুকিয়ে মানত করে শীতলার কাছে। এছাড়া— (১) ছেলের মঙ্গল কামনায় ষষ্ঠীর দিনে উপোস থাকে। (২) শিক্ষিত পুত্রগণও মা-বাবার শ্রাদ্ধ করেন পুরোহিত ডেকে (৩) রকেট উৎক্ষেপন করার প্রাক্কালে খাঁটি নাস্তিক বিজ্ঞানী শুভ মঙ্গল কামনার হেতু পূজা আচার করে থাকেন । (৪) সংস্কারবশতঃ পূর্ণিমা-অমাবস্যা ও বৃহস্পতিবারে হিন্দুরা মাংস ভক্ষণ করেনি। (৫) সংস্কারবশতঃই পরীক্ষার শুরুতে ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্নপত্রকে প্রণাম করে । (৬) মানুষের পায়ে পা লাগলে আজও সবাই হাত তুলে নমস্কার করে। (৭) আজও সবাই মা বাবাকে প্রণাম করে বিদেশে যায় ।