“শের শাহ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ দীর্ঘদিনের মােগল শাসনের ফাঁকে মাত্র পাঁচ বছরের জন্য সম্রাট হয়েছিলেন শের শাহ। তবে এই অল্প সময়েই তিনি সাম্রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অবিন্যস্ত ও ভঙ্গুর প্রশাসনকে নানা দিক থেকে পুনর্বিন্যাস করেন। শের শাহ প্রথমবারের মত উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ভূমি জরিপ করে উৎপাদিত ফসলের এক-চতুর্থাংশ রাজস্ব ধার্য করেছিলেন। তার সময়েই প্রথম বারের মত ভূমি স্বত্বের দলিল তথা ‘পাট্টা এবং চুক্তির দলিল তথা কবুলিয়াত’ প্রচলিত হয়েছিল। তিনি তাঁর সাম্রাজ্যের প্রত্যন্ত সব এলাকার সঙ্গে রাজধানী আগ্রার উপযুক্ত সংযােগ সড়ক তৈরি করেছিলেন। এই বিশেষ সড়কের দুইপাশে গাছ লাগানাের পাশাপাশি নির্দিষ্ট দূরত্বে সরাইখানা, মসজিদ ও মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগটাও ছিল তাঁর। তিন হাজার মাইল দীর্ঘ বিখ্যাত ‘সড়ক-ই-আযম তথা ‘গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রােড’ তাঁরই কীর্তি। কুশলী সমরনেতা, দূরদর্শী আফগান সংগঠক ও বিচক্ষণ সম্রাট শের শাহের জীবনের নানা দিক নিয়ে আব্বাস খান শেরওয়ানী রচনা করেছিলেন সুবিশাল গ্রন্থ ‘তারিখ-ই-শেরশাহী’। গ্রন্থটির আংশিক ভাবানুবাদের পাশাপাশি প্রয়ােজনীয় ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক সূত্র ব্যবহার করে নানা তথ্যের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে এখানে। পাঠকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আব্বাস খান শেরওয়ানীর বর্ণনা থেকে অংশবিশেষ নিয়ে অনেকটা গল্প-উপন্যাসের মত করে লেখা হয়েছে ‘শের শাহ’ গ্রন্থটি।
Dr. Md. Adnan Arif Salim বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুলে ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। জন্ম পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে। লিখছেন ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে।