ভুয়ারপাড়া আর নবগ্রাম। দু'গায়ের মাঝখানে একটা পুরাতন খাল। খালের উপর একটা পুরোনো ব্রিজ। ব্রিজ বললে কিছুটা অত্যুক্তি হবে। কালভার্টের একটু বড় সংস্করণ। ভুয়ারপাড়া গ্রামটা শুরু হয়েছে ভাজন আলীর ইটভাটা থেকে। অর্থাৎ এ গ্রামটাকে আধুনিক যুগের শহরতলী বলা যায়। শহরতলী এ কারণে যে ভুয়ারপাড়ার শুরু বৈরান নদীর হাঁ থেকে। আর বৈরান পেরুলেই গোপালপুর থানা শহর। পাটের কারবারের জন্য ব্রিটিশ আমল থেকে গোপালপুরের হাট বিখ্যাত। গোপালপুরের নিঃশ্বাস খুব কাছে থেকে টেনে নিয়েও ভুয়ারপাড়ার কোনও উন্নতি নেই। এ গায়ের অধিবাসীদের শতকরা নিরানব্বই ভাগ জেলে। বর্ষা এলে হেলেঞ্চ আর শ্যাওড়া বিল আর বর্ষা না হলে বৈরান হয়ে যমুনা। সারা বছর এরা মাছ ধরাতে ব্যস্ত থাকে। মাছ ধরা পর্যন্তই কারবার শেষ। গোপালপুরের মহাজনদের চুক্তি মানতে মানতেই তাদের মৌসুম চলে যায়। গোপালপুরের যোগেন্দ্র মোহন সাহা অথবা বিলাস চন্দ্র সাহাদের দুর্দাণ্ড প্রতাপেই ভুয়ারপাড়ার জেলেদের সারা বছর ধরে নম নম অবস্থা। ভুয়ারপাড়ার সীমানা পুরাতন খাল পর্যন্ত। খালের ঐ পুল পার হলেই নবগ্রামের শুরু। দুই গ্রামের সীমানা বেধে দিয়েছে এই পলেস্তরা খসে যাওয়া প্রাচীন পুলখানা। জনশ্রুতি আছে, হেমনগরের এক রাজা এই পুল তৈরি করেছিলেন তার ষষ্ঠ মেয়ের বাড়ি সহজে যাতায়াতের জন্য। রাজা তার ষষ্ঠ মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন গোপালপুরের সাহা পরিবারে। মেয়ের বাড়ি যাতায়াতে কষ্ট যেন না হয় সে জন্য হেমনগর থেকে গোপালপুর যেতে সোনাটা, বন্নি, নবগ্রাম, ভুয়ারপাড়া, বেলুয়া, কুমুল্লী এসব জায়গায় ছোটখাটো পুল তৈরি করেছিলেন। অচেনা
Lutfor Hasan লুৎফর হাসান এর জন্ম নবগ্রাম, গোপালপুর, টাঙ্গাইল এ । জন্ম তারিখ – ১৬ ফেব্রুয়ারি। লুৎফর হাসান কাজ করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। লিখছেন গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ছড়া, মুক্তগদ্য এবং কবিতা। সব মিলিয়ে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩১ । লেখালেখির বাইরে লুৎফর হাসানের সম্পৃক্ততা আছে গানের সঙ্গেও। ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ শিরোনামের গান গেয়ে গায়ক হিসেবেও তিনি প্রতিষ্ঠিত। গান গাওয়ার পাশাপাশি শতাধিক জনপ্রিয় গানের গীতিকারও তিনি। বর্তমানে দেশের শীর্ষ এক অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন।