"কায়রো ট্রিলজি (সুগার স্ট্রিট)" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ জন্ম ১৯১১ সালে মিশরের কায়রোতে। ১৯৩৪ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে ডিগ্রি নিয়ে সিভিল। সার্ভিসে যোগ দেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘খুফু’জন উইজডম’ প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ সালে। এরপর তার আরও ৩৫টি উপন্যাস এবং ১৫টি ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। তার আত্মজীবনী প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। তাঁর উপন্যাস ও ছোটগল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ত্রিশটির বেশি চলচ্চিত্র। কায়রো আমেরিকান ইউনিভার্সিটি তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল ও ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভূষিত করে। ১৯৮৮ সালে নাগিব মাহফুজ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর গ্রন্থ ইংরেজিসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রো ৪৩ খণ্ডে নাগিব মাহফুজের সাহিত্যকর্ম। প্রকাশ করেছে। কায়রো ট্রিলজি নাগিব মাহফুজের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত। কায়রোর যে এলাকায় মাহফুজ বেড়ে উঠেছিলেন সেই গামালিয়ার একটি পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের তিন প্রজন্মকে তিনি তার তিন খণ্ডের বিশাল এই উপন্যাসে তুলে এনেছেন এবং তিন খণ্ডের নামকরণ করেছেন। তিনটি রাস্তার নামে—‘বায়ান আল-কাসরায়েন বা প্যালেস ওয়াক, ‘কসর আল-শউক বা প্যালেস অফ ডিজায়ার এবং ‘আল-সুক্কারিয়া বা সুগার স্ট্রিট)। তাঁর বাস্তবভিত্তিক উপন্যাস ‘কায়রো ট্রিলজি’ তাঁকে এনে দেয় বিশ্বখ্যাতি। প্রচ্ছদ ধ্রুব এষ
(আরবি: نجيب محفوظ) (জন্ম: ডিসেম্বর ১১, ১৯১১ - মৃত্যু: আগস্ট ৩০, ২০০৬) নোবেল বিজয়ী মিশরীয় সাহিত্যিক। নাগিব মাহফুজ মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি মিশরীয় বিপ্লবে ১৯১৯ অংশ গ্রহণ করেন। তার মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে, তিনি দর্শন বিভাগে ১৯৩০ সালে ভর্তি হন মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয় (বর্তমানে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়)। ১৯৩৪সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন জরেন। এর পর ১৯৩৬ সালে দর্শনের গবেষণা কাজে একটি বছর অতিবাহিত করেন। পরে তিনি গবেষনা পরিত্যাগ করেন এবং একটি পেশাদার লেখক হয়ে যান। মাহফুজ তারপর আল-রিসালায়ের জন্য একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন, এবং এল-হিলাল এবং আল-আহরাম ছোটোগল্প লিখতে অবদান রাখেন। নাগিব মাহফুজ ১৭ বছর বয়স থেকে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৩৯ সালে তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় ৩০টি উপন্যাস লিখেলও ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত কায়েরা ট্রিলজি তাঁকে আরব সাহিত্যের এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেন। এতে তিনি ইংরেজ শাসন থেকেমুক্ত হওয়ার সময়কালে মিশরের ঐতিহ্যবাহী শহুরে জীবনধারা ফুটিয়ে তোলেন । এ উপন্যাসের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৮৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। নাগিব মাহফুজের উপন্যাসের প্রায় অর্ধেকেরও বেশীর চলচ্চিত্রায়ন হয়েছে। উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি ১০০ টিরও বেশি ছোটগল্প রচনা করেছেন। এগুলির বেশীর ভাগই পরে ইংরেজিতে অনুদিত হয়েছে।